জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরণের সভা সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সমাজে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া যায়।পারিবারিকভাবে সঠিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে বয়োবৃদ্ধদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করা যায় সাথে সাথে প্রবীণদের প্রতি আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সর্বপ্রথম আমাদের দেশে বয়স্ক ভাতা চালু করেন, যার ফলে তাদের জীবন যাত্রার মান আরো সহনীয় হয়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাঈফুদ্দীন।
সেমিনারের প্রথম সেশনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান এবং 'পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রবীণ সুরক্ষা: বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ করণীয়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে ‘মনের মানুষ’ ব্যান্ড দলের অংশগ্রহণে লোক গানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই ও আগস্ট মাসের ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যা। এ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী সাংস্কৃতিক মঞ্চ। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা' আয়োজিত হয়।
এ আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস, কুমিল্লাস্থ শিল্পীবৃন্দের আয়োজনে দ্রোহের গান, কাওয়ালী পরিবেশনায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি দল 'সঞ্চারী' এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি দল আজাদী।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় ভিন্নমতের মানুষরা মত প্রকাশ করতে পারতো না। সেই ধারবাহিকতায় ঢাবিতে যখন কাওয়ালির আয়োজন করা হয়, তখন তাতে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ।'
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনকে দলাল, চাটুকার, তেলবাজ ও দূর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে চাকরিচ্যুত ও অপসারণের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন শিক্ষর্থীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় চারুকলা প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে এ দাবি জানান এবং প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের কাতিপয়:
১. তিনি শিক্ষাজীবন থেকে শ্রেণিকোর্সের কাজ না জেনে অন্যের শ্রেণিকাজ চুরি করে স্নাতক-স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণি পান।
২. চারুকলার প্রতিটি বিষয় ব্যবহারিক সম্পর্কিত হওয়া সত্ত্বেও ড. সুজন সেনের কর্মজীবনের পুরো সময়ে কোনো শিক্ষার্থী তাকে সরাসরি শ্রেণির ব্যবহারিক বিষয় হাতেনাতে শিখিয়ে দিতে দেখেননি।
৩. কিছু না শিখিয়ে তিনি জোরপূর্বক তথা স্বেচ্ছাচারী আচরণের মাধ্যমে কোর্সের কাজ আদায় করে মনগড়া মার্কিং করেন। এক্ষেত্রে পছন্দের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক বেশি নম্বর দেন, কিন্তু অন্যরা কেন কম নম্বর পায় সেটার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা তিনি দেন না।
৪. বিভাগের অন্য শিক্ষকের সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক থাকলে কিংবা নিজের মতাদর্শের বাহিরের কোনো শিক্ষার্থী থাকলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেন।
৪. পরীক্ষার হলে নির্দিষ্ট সময়ে খাতা না দিয়ে সময় শেষ হওয়ার পূর্বে নিজের খেয়ালখুশী মতো খাতা নিয়ে নেন।
৫. পছন্দের শিক্ষার্থী বড় অপরাধ করেও কৌশলে বাঁচিয়ে দেওয়া এবং পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র এবং লুজশিট সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে।
৬. কোনো শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম পছন্দ হলে তা নিয়ে নেন, কখনও ফেরত দেন না। সেসকল কাজ তিনি নিজের নামে পরবর্তীতে চালিয়ে দেন।
৭. চলতি বছরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফিল্ড স্টাডিতে যান তিনি। সাজেক, সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি ০২ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান করেন। ছুটিও নেন সেই তারিখের সঙ্গে মিল রেখে। তবে টিএ/ডিএ’র জন্য তিনি ০৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির ভুয়া তারিখ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষাসফরেও যান তিনি। একদিনের শিক্ষাসফরে গিয়ে তিনি আটদিনের ছুটি নিয়ে অতিরিক্ত/টিএডিএ তোলার চেষ্টা চালিয়েছেন।
৯. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বশরীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপরীতে অবস্থান নেন তিনি।
১০. বিভাগের পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের তিনবছর মেয়াদে (এপ্রিল ২০২১- এপ্রিল ২০২৪) প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালে নাস্তা, খাবার, ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি, তৈজসপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি ক্রয়ের শতকরা ৮০ ভাগ ভাউচারেই তার জালিয়াতি রয়েছে।
১১. হল ফান্ডের টাকা থেকে তিনি চকলেট (সংযুক্তি-০৯) থেকে শুরু করে ওডোনিল, হারপিক, এয়্যার ফ্রেশনার, অ্যারোসোল, ডেম ফিক্স ক্রয় করে নিজের বাসার জন্য ব্যবহার করতেন।
১২. ৮ হাজার ৮০০ টাকার একটি ব্যক্তিগত ভাউচারে ফ্লুইড দিয়ে ঠিকানা পরিবর্তন করে হলের বলে ইন্টারনেট তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা বলেন ড. সুজন সেন কখনই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি। নিজ স্বার্থ হাসিলে তিনি সর্বদা পক্ষপাতমূলক আচরণ করতেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. সুজন সেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. বনি আদম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দেওয়া অনুলিপি পেয়েছি। আগামীকাল বিভাগের শিক্ষকরা বসে সিন্ধান্ত নিবো। অধিকাংশ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান যোগদান করেছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পুরাতন রেজিস্টার ভবনের সিনেট হলে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার (রুটিন দায়িত্ব) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান৷
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১২টায় পুরোনো ফজিলাতুন্নেসা হল সংলগ্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নবনির্মিত ছাত্র-জনতা শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এ সময় নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি ও আচার্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শিক্ষক প্রয়াত মোহাম্মদ আবদুছ সোবহান ও মা প্রয়াত মাহফুজা বেগম৷ পিতা চাকরির সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শৈশব কাটান এবং আরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং রামগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ কামরুল আহসান দর্শন বিভাগ থেকে ১৯৮৯ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ১৯৯৩ সালে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে বুলগেরিয়ার সোফিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের কারডিফ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সভাপতি, লিও ক্লাবের উপদেষ্টা, দর্শন বিভাগ থেকে প্রকাশিত কপুলা সাময়িকীর নির্বাহী সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কর্ম দক্ষতা এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য এবং ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন৷
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার এবং গবেষণা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য তিনি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। একজন সমাজ-সচেতন, সজ্জন, জনপ্রিয় এবং দলমত নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত।
দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যবিহীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) চবি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্দোলনের মাধ্যমে এই আল্টিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও চবির সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দক্ষ, যোগ্য, মেরুদণ্ড সম্পন্ন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবান্ধব এবং বিশ্বমানের পাঠ-পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত এমন একজনকে ভাইস চ্যান্সেলর বা উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়াও আগামী দিনগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ও প্রত্যাশা রাখেন তারা।
প্রসঙ্গত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য, পর্যায়ক্রমে দুই উপউপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল আবাসিক হলের প্রাধ্যাক্ষরা, আবাসিক শিক্ষক, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রেস প্রশাসক। এতে কার্যতই প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। স্থবির হয়ে আছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।