লাল সবুজের পতাকা যেন শকুনের হাতে না যায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক শোভাযাত্রা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক শোভাযাত্রা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল সবুজের পতাকাকে আগলে রাখার শপথ নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।

বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় খুবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘ত্রিশ লক্ষ প্রাণ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল-সবুজের পতাকা আবার যাতে শকুনের হাতে না যায়, ঘাতকের গাড়িতে না ওঠে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বিফলে না যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতে হারিয়ে না যায়।’

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের প্রাক্কালে এক শোক শোভাযাত্রা বের করা হয়

এরপর বিভিন্ন অনুষদ, আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, কর্মচারীবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠেনর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তমঞ্চে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এ কে এম নুরুন্নবী, খুবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী হুমায়ুন কবীর, উপ-পরিচালক (অডিট) শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

   

১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



অনন মজুমদার, কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

আঠারো পেরিয়ে উনিশ বছরে পদার্পণ করেছে লালমাই পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে, বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষাভূমি কুমিল্লার ময়নামতির শালবন বৌদ্ধবিহারের খুব কাছ এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।

ভৌগলিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এটি। দেশের প্রধান দুই মহানগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা বেশ ভালো। এমনিতেই লালমাই অঞ্চল বেশ নিরিবিলি, বড় শহরের জঞ্জাল বেশ দূরে হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জায়গা এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নে প্রশাসনিক ভবনের সাথে মাত্র দুইটি একাডেমিক ভবন ছিল৷ ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ৮ মে জাতীয় সংসদে আইন পাশ হয় এবং ২৮ মে সেই আইন কার্যকর হয়।


২০০৭ সালের ২৫ মে মোট চার অনুষদের অধীনে সাতটি বিভাগের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রথম এই ব্যাচে ১৫ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন ২৬৫ জন।

বর্তমানে ৫০ একরের দৃশ্যমান এই ক্যাম্পাসে চারটি একাডেমিক ভবনে ছয়টি অনুষদের কার্যক্রম চলছে। অনুষদগুলো হলো- কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ এবং আইন অনুষদ। অনুষদগুলোর অধীনের বিভাগগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, প্রত্নতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, আইন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসি, এবং পরিসংখ্যান বিভাগ।


বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো সম্পূর্ণ আবাসিক নয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি হল আছে এখানে। ছেলেদের তিনটি হল হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। মেয়েদের দুইটি হল হলো- শেখ হাসিনা হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল। এছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আছে চারটি ডরমিটরি। চালু হয়েছে নতুন গেস্ট হাউজ৷ শ্রেণিকক্ষ, আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে আছে দ্রুতগতির ওয়াইফাই সুবিধা।

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে দরকার ভালো একটি লাইব্রেরি। বর্তমান ক্যাম্পাসে জায়গার স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা পরেও উন্নতমানের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের পাঁচ তলায় লাইব্রেরি পাশে নতুন ভাবে চালু হয়েছে আলাদা রিডিং রুম।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের অনেকদিনের দাবি ছিল আরো বড় পরিসরের একটা ক্যাম্পাসের৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করে। বর্তমানে কার্যক্রম চলা ৫০ একরের ক্যাম্পাসের দুই থেকে তিন কি.মি. অদূরেই প্রায় ১৯৪.১৯ একরের নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম চলমান আছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯তম বছরে পদার্পণের ভিশন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে থাকি। এবছর উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মেরিট বৃদ্ধির জন্য ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড চালু করেছি। উন্নত মানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গবেষণা করার সময় ভাবতে হবে তা যেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হল গবেষণা।

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চমানের জার্নালে নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করলে নতুন জ্ঞান তৈরি হবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে সুনাম সৃষ্টি হচ্ছে, তা যেন অব্যাহত থাকে, সেজন্য কোয়ালিটি এডুকেশন এবং কোয়ালিটি রিসার্চের গুণগত মানের প্রতি নজর দিচ্ছি। আমাদের যে ভিশন তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।'

;

‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল চেয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে ইবি শিক্ষকরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্য দুই দাবি হলো- প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।

এর আগে, গত রোববার (২৬ মে) একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। আগামী ৪ জুনের মধ্যে সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতিত পালন করছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের জন্য মাঠে নামি নি। আমরা মাঠে নেমেছি অনাগত শিক্ষকদের জন্য। সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হবে না। যত অযোগ্যরা আসবে একটি পক্ষের লাভ হবে। আগামী ৪ জুনের মধ্যে এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

;

বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সারোয়ার আহমাদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান করা হয়েছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সারোয়ার আহমাদ ।

রবিবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

জানা যায়, বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ দুই মাস ধরে শূন্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হলে বিভাগের ৩ শিক্ষক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নজরুল ইসলামের পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের পাওয়ার কথা। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে তাকে দায়িত্ব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বিভাগীয় প্রধানের পদ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার, সারোয়ার আহমাদ ও মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাসহ জটিলতায় পড়ে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে। কিন্তু তিনিও এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন।

সারোয়ার আহমাদকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিভাগের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে মো. সারোয়ার আহমাদকে একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব প্রধান করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়,এই নিয়োগ আদেশ ২৬ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ বলেন, বিভাগে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীরা সেশনজটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। আশা রাখি এই সংকট কাটিয়ে বিভাগের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।

;

বেরোবিতে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির বনআসরা ফুল



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির বনআসরা ফুল। পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুলে অসাধারণ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দুর্লভ এ ফুল।

মাঝারি আকারের গাছে শতাধিক ফুলের সৌন্দর্য উপভোগে মাতোয়ারা প্রকৃতিপ্রেমীরা। প্রতিরাতে বনআসরার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, এবং ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করে রাখছেন। অতি বিরল এই ফুলটি দেখতে আগ্রহ বাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। কেউ কেউ এই ফুলকে ‘আছর’ নামেও ডেকে থাকেন।

জানা গেছে, এই ফুল গাছের পাতা স্বল্প বোঁটাযুক্ত বড়শির ফলার মতো। অগ্রভাগ চোখা, ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বনআসরা পাতার উপরের দিক সবুজ এবং নিচ দিক পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুল। হালকা সবুজ বৃদ্ধি এবং নকশা করা উপবৃত্তিসহ অসাধারণ রূপ ধারণ করে। ফুলে রয়েছে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ। এই দুর্লভ ফুল রাতে দেখা গেলেও দুপুরের আগেই চুপসে যায়। এরপর ঝরে পরে। সাধারণত বীজ থেকেই বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়।


দুর্লভ ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, সত্যিই এই ফুলের গন্ধ মুগ্ধ করার মতো। অতি বিরল এই ফুল দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে। এটি দুর্লভ গাছ বীজ সংরক্ষণ করে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আমরা খুব সহজেই এই ফুলের সৌন্দর্য এবং গাছ দেখতে পারব। প্রজন্মকে জানান দেওয়ার জন্য দুর্লভ গাছগুলো সংরক্ষণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

বনআসরা গাছটি লাগানের মূল কারিগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, চারবছর আগে ঢাকা থেকে এই গাছটির চারা এনে রোপণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২০ ফুটের ওপরে। এর উচ্চতা আরও বাড়বে। এই ফুল রাতে ফোটে। দুপুর হতে হতেই নেতিয়ে পড়ে। এর গন্ধ মানুষকে মুগ্ধ করে। এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

;