কংক্রিটের আস্তরণে শেকৃবির সবুজের সমারোহ ম্রিয়মাণ



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।

সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের। 

সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।


অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল অনুষদে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।

   

ঢাবিতে দু'দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
ঢাবিতে দু'দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন

ঢাবিতে দু'দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগে 'বাংলাদেশ ও ইরানের শিশু-কিশোর সাহিত্য' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এই সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিভাগের প্রবীন অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানি দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর সৈয়দ রেজা মিরমোহাম্মাদি এবং ঢাকাস্থ আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়ালমুসলেমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখী রাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইরানের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. বাহাদুর বাঘেরি। 

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বলেন, শিশু ও কিশোরদের মানসিক বিকাশ এবং সুন্দর জীবন-যাপনে শিশু সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম। শিশু-কিশোরদের মাতৃভাষা শিখতে, নিজের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতির ভাষা এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে শিশু-কিশোর সাহিত্য চর্চা আরও বৃদ্ধি হওয়া উচিত। শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতিমনা, সুশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে তিনি পারিবারিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বাংলাদেশে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য প্রসারে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, শিশুদের সুচরিত্র গঠনে, চিন্তাশীল করে গড়ে তুলতে, অপরকে শ্রদ্ধা করতে এবং সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে শিশু সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং দু'দেশের সাহিত্য অঙ্গন আরও বিকশিত হবে।

উল্লেখ্য, দু'দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ৪টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং ৩৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। 

;

অবহেলায় বেহাল ঢাবির হল অডিটোরিয়াম, থমকে সাংস্কৃতিক চর্চা



কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অযত্ন-অবহেলায় বেহাল ঢাবির হল অডিটোরিয়াম, থমকে সাংস্কৃতিক চর্চা

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল ঢাবির হল অডিটোরিয়াম, থমকে সাংস্কৃতিক চর্চা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে রয়েছে বিশাল ও সুপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত অডিটোরিয়াম। কিন্তু অডিটোরিয়াম থেকে টিভি রুম ও স্পোর্টস রুমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যার অভাবে বহুবছর যাবৎ পর্দা উঠছে না অডিটোরিয়ামের মঞ্চে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কাঠামো এবং বিলুপ্ত হচ্ছে হলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চর্চা। এটাকে ‘সাংস্কৃতিক দৈন্য দশা’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ১৯৩১ সালের ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়। ১৯৬৬ ও ১৯৬৭ সালে তৎকালীন সর্ববৃহৎ আবাসিক হল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় মাস্টারদা সূর্যসেন হল ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল। হলের অভ্যন্তরে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুস্থ বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চর্চার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয় অডিটোরিয়াম। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের অডিটোরিয়ামটি এখন টিভি রুম হিসেবে পরিচিত, সূর্যসেন হল অডিটোরিয়াম শহীদ এইচ এম ইব্রাহীম সেলিম মিলনায়তন ও মুহসিন হলেরটি মুহসিন হল অডিটোরিয়াম হিসেবেই পরিচিত। এ অডিটোরিয়ামগুলোতে রয়েছে প্রমাণ আকারের মঞ্চ ও বিশাল দর্শকসারির স্থান। মঞ্চের পাশেই রয়েছে মঞ্চ ব্যবহারকারীদের জন্যে প্রয়োজনীয় হল অডিটোরিয়াম কার্যালয়, টয়লেটসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সুবিধাদি।

তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুহসীন হলের অডিটোরিয়ামে হয় টেবিল টেনিস খেলা এবং বিশাল স্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কারুশিল্প নির্মাণ কাজ। কারুকাজে ব্যবহৃত উপাদান ও ছড়ানো-ছিটানো আবর্জনায় নোংরা পরিবেশ হয়ে আছে পুরো মিলনায়তন। মঞ্চে পর্দা টানিয়ে পেছনে সপরিবারে বসবাস করছেন কিছু মানুষ। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে হলের কর্মচারীর পরিবার বলে পরিচয় দেন। মঞ্চের পেছনেই দেখা যায় ‘হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল অডিটোরিয়াম কার্যালয়’ যা মুহসীন হল কল্যাণ সমিতি দ্বারা স্থাপিত। এই কার্যালয়টি এখন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অডিটোরিয়াম কার্যালয় এর অস্তিত্বের ব্যাপারে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী অজ্ঞাত। দু পাশের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলে দেখা যায় কর্মচারীদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। আবার,বিভিন্ন স্থানে ও ছাদ থেকে খসে পড়েছে সিমেন্ট। অধিকাংশ স্থানে ছাদের লোহা দৃশ্যমান।


এদিকে সূর্য সেন হলের শহীদ এইচ এম ইব্রাহীম সেলিম মিলনায়তনের অবস্থাও ভয়ংকর। এখানে ২টি প্রবেশদ্বারই তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে দীর্ঘদিন। ভেতরে হলের যাবতীয় আসবাবপত্র রাখা আছে। দু পাশের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলে দেখা যায় কর্মচারীদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে থেকে দেখা যায় উপরের রেলিং খসে গেছে।

এ হলে বহু বছর যাবৎ কর্মরত ব্যক্তিবর্গের সূত্রে জানা যায়, বহু বছর যাবৎ এখানে কোন অনুষ্ঠান হয় না। মিলনায়তনের রেলিং ধসে কয়েক বছর আগে ছাত্র ও কর্মচারীরা আহত ও হয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মিলনায়তনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাই এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের প্রোগ্রামগুলি টিভিরুম এবং বিভিন্ন বড় রুম আছে সেগুলোতে হয়। অডিটোরিয়ামগুলি সংস্কার যদি আমরা করতে পারি তা করব। আমি যতদূর জানি,এটা ভেঙে ২০ তালা করার কথা, একটা প্ল্যান আছে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যাক্ষ ড. মাকসুদুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১৭-১৮ সেশনের আবাসিক ছাত্র মাহিন আহমেদ চান হলের অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো মঞ্চায়িত হোক।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সহাবস্থান থাকলে প্রশাসনের ওপর একটা চাপ থাকে। চাপ থাকলে প্রশাসন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে এক প্রকার বাধ্য হয়। হলে অন্য কেউ নাই যদি থাকে তাহলে চাপ কারা প্রয়োগ করবে? হল সংসদগুলো অকার্যকর হয়ে আছে। হল সংসদ অকার্যকর থাকলে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামগুলো নেবে কারা? এদিকে সাংস্কৃতিক ছাত্র সংগঠন নাই, সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুপস্থিতি এই সব কিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগুলো এক প্রকার ব্যবহারহীন হয়ে পরে থাকে। এজন্যই গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের প্রয়োজন। নইলে প্রশাসন এখনের মতো দায়মুক্ত হয়ে থাকবে এবং দায় টা অনুভব করানোর জন্যই গণতান্ত্রিক সহাবস্থান দরকার’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভির নাহিদ খান শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক ও নাট্যচর্চার গুরুত্বের ব্যাপারে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাটকের শীর্ষ স্থান ছিল। ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হল তখন এই অঞ্চলের নাট্য চর্চা ঢাবিকে কেন্দ্র করেই হত। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শহীদুল্লাহ হল জগন্নাথ হল এর অডিটোরিয়াম ছিল নাটকের উপযোগী। ওই সময় আমাদের দুই ধরণের নাট্য চর্চা হত। এক দল প্রগতিশীল নাট্যকারদের যারা ভাষা ও জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক নাট্য চর্চা করত। আরেকটা দল তাত্ত্বিকদের মতে ইসলামী রক্ষণশীল নাট্যচর্চা করত। ঢাবির শিক্ষক যারা ছিলেন, মুনির চৌধুরী, আখতার ইবনে সাঈদ,সাঈদ আহমেদ, সৈয়দ ওয়ালিওল্লাহ এদের নাটক ও ঢাবিতে দারুণ চর্চা ছিল, হল ভিত্তিক এ চর্চা গুলো চমৎকার ছিল। ডাকসুর একটি নাটকের দল ছিল ‘নাট্যচক্র’। এগুলো যে হচ্ছে না তাকে এক ভাবে বলতেই পারেন ‘সাংস্কৃতিক দৈনদশা’।

কয়েকবছর আগেই উদ্যোগ নিয়ে হলে হলে নাটকের উৎব হয়েছে। ডাকসুতে যখন নির্বাচনের পর আয়োজন হল তখনো হলে হলে ডাকসু থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হত। এগুলো হওয়াতো উচিত। না হওয়ার ফলে এখন আর গুণীজন উঠে আসে না। হল ভিত্তিক নাট্য চর্চা হলে অনেকে অভিনয় করত, নাটক লিখতো, নাটকের নির্দেশনা দিত এরাই পরে মেইন স্ট্রিমে বা জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখে। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশের বিখ্যাত নাট্যকাররা কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ভিত্তিক চর্চা করেই আসছেন। যেমন রামেন্দ মজুমদার,ম হামিদ, মামুনুর রশীদ এরকম গুরুত্বপূর্ণ নাট্যকাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেই আমাদের জাতীয় পর্যায়ের নাট্যচর্চা কে বেগবান করেছেন।

কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা নাট্যচর্চা না করে মোবাইলে ফেসবুকিং করে সময় কাটাচ্ছে। টিভি রুমেও খেলা ছাড়া শিক্ষার্থী ওইরকম যায় না। তাই নাটকের অডিটোরিয়ামগুলো নাটকের কাজেই ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা বেগবান হবে।একজন মানুষ যখন নাটকের সাথে যুক্ত হয় তখন সে সুন্দর ভাবে কথা বলা শেখে, থিয়েটারে কাজ করার ফলে সময়ানুবর্তিতা শেখে, দলগত হয়ে কাজ করা শেখে, সৃষ্টিশীল চর্চা হয়, সমাজের সমকালীন ঘটনা গুলো নাটকের লেখায় চলে আসে। এগুলো মানুষ কে মননশীল করে তোলে। কিন্তু এ সুস্থ চর্চা না করে অনেক শিক্ষার্থী মাদকের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে, থিয়েটার করতে হলে পড়াশোনা করতে হয় এগুলো না করার ফলে অনেকে পড়াশোনা থেকে সরে যাচ্ছে।

;

রাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে

শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।

রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. বিনায়ক সেন বলেন, শেখ হাসিনা যে সাহসী তাতে কারো সন্দেহ করার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে বাংলাদেশের। আমি যখন বাংলাদেশের আগামী দশ বছরের কথা চিন্তা করি তখন আমি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবি না। এটা আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা। ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তখন আমার চিন্তা আবর্তিত হতে থাকে। সেই ব্যক্তিটি এই মুহূর্তে আমি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে পাই না। বাংলাদেশ আজ যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে তিনি ছাড়া সেখানে পৌঁছাতে পারত না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু বৈষম্যও বাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। এমনকি আঞ্চলিক বৈষম্যও বাড়ছে। সেই বৈষম্য মাঝে একটু কমে আসলেও এখন আবার বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চল-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য আছে। এসব বৈষম্য ছাড়াও সুশাসনের প্রতি, স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য আমার কাছে মনে হয় বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র বিষয়ক এ আলোচনা।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাদ থেকে একসময় একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে ওঠে। কিন্তু পুঁজিবাদ এবং একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিলো একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণে সম্মতি না দেওয়া। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কোনো ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। কারণ পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবার গড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তাঁর মনে দগ্ধভাবে গেঁথে ছিল। বঙ্গবন্ধু একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে উঠতে দিলে তার মালিকরা  রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে উঠতো এবং ছোট, বড়, মাঝারি কোনো পুঁজিরই বিকাশ ঘটত না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য বলেন, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই আমাদের বেঁচে থাকার যে আলো, সে আলোর উজ্বল রশ্মি। তিনি ৪২ বছর ধরে কি দিয়েছেন তা বলতে হয় না। কারণ সূর্য উঠলে ঢোল পিটিয়ে বলতে হয়না সূর্য উঠেছে। এখানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার সূর্যটাকে কীভাবে দেখছি। উনি না থাকলে দেশ কোথায় যেত তা বলা মুশকিল। ১৯৮১ সালের পর এসে উনি দেশের কল্যাণের জন্যে কী করেছেন সেটিও আপনি বলবেন। উনার আগামী যে পরিকল্পনা সেখানে একটা আগামীর দিশা আছে, সেটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এখন শুধু আমাদের অপেক্ষা, তার সেই স্পর্ধিত বিষয়টি স্পর্শ  করা। আমরা তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। ২০৪১ এর আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা একটি আলোকিত বাংলাদেশে চলে যাব।

অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আমরা বিভিন্নভাবে বলি উনি মানবতার মা, উনি আপোষহীন নেত্রী, উনি দেশরত্ন, উনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা অনেক সময় অনেক কথা বলি। আমরা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনা জানি। ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা আমরা জানি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টার কথা জানি। সেসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি যাকে আঘাত দিয়েছে, কষ্ট দিয়েছে তিনি আমাদের মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এত দুঃখ কষ্ট বুকে নিয়েও বাংলার মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহাও বক্তৃতা দেন। এসময় জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ প্রায় তিন শত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।

;

জন্মদিন উপলক্ষে কুবি উদ্বোধন করল শেখ হাসিনা ম্যুরাল



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে শেখ হাসিনার একটি ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় পায়রা উড়িয়ে ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে একই দিনে উদ্বোধন করা হয় শেখ হাসিনা হলের নামফলক এবং কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মোঃ সাহেদুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহুরা মীম।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, প্রথমেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ওনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এই হলের নামকরন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়াতে হলের প্রতি একটা আলাদা টান আছে। আমি আসার পর যখন দেখি এই হলের কাজ ধীর গতিতে চলছিল তখন আমি নিজে হল পরিদর্শন করেছি অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য এবং সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মোঃ সাহেদুর রহমান বলেন, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি তখন কুবিতে একটি মাত্র ছাত্রী হল ছিল যা সকল ছাত্রীর জন্য সংকুলান ছিল না। প্রাধ্যক্ষ হিসেবে হলে যোগদানের পর দেখতে পাই ফাঁকা রুম ব্যতীত কিছুই নেই। ধীরে ধীরে উপাচার্য স্যারের তত্ত্বাবধানে আসবাবপত্র, ডাইনিং চালু তথা গ্যাস সংযোগ সহ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি হলের সৌন্দর্য বর্ধনে হলের ফিল্ডে উপাচার্য স্যারের উদ্যোগে ফুলের বাগানও করে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হলের বিভিন্ন স্থানে বিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে এবং সে অনু্যায়ী কাজও অব্যহত আছে। আশা করি খুব শীঘ্রই শেখ হাসিনা হল একটি রোল মডেল হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর হাসেনা বেগম, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা: হাবিবুর রহমান, আইকিউএসির পরিচালক ড. মোঃ রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দিপক চন্দ্র মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন সহ আরও অনেকে।

;