কংক্রিটের আস্তরণে শেকৃবির সবুজের সমারোহ ম্রিয়মাণ



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।

সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের। 

সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।


অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল ভবনে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;