রাবির ১৬ কৃতী শিক্ষার্থীকে রুয়েডা’র বৃত্তি প্রদান



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১৬ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়েডা) এই বৃত্তি প্রদান করে।

অনুষ্ঠানে বৃত্তি প্রদান কমিটির আহ্বায়ক মনজুর হাসান জানান, এই বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অর্থনীতি বিভাগ যে দৃষ্টান্ত স্হাপন করল তা সকলের নিকট অনুকরনীয় হয়ে থাকবে। সকলকে এধরনের কর্মে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে কোনো শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে না যায়। ভবিষ্যতে এই বৃত্তি আরও বৃহৎ পরিসরে প্রদান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

বৃত্তি প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন রুয়েডার সভাপতি আলতাফ হোসেন, বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, বৃত্তি প্রদান কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

   

বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা পাবে জবি শিক্ষার্থীরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান আহসান মঞ্জিলে বিনামূল্যে পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে বেশকিছু নিয়মনীতি। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, আহসান মঞ্জিল জাদুঘরটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার উৎসাহ প্রদানের জন্য জাদুঘর কতৃপক্ষ বিশেষ কিছু নিয়ম অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যাবস্থা রেখেছেন। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাম করে দলে দলে শিক্ষার্থী এসে কোনো প্রকারে পরিচয় বা সুপারিশ পত্র ছাড়াই জোর করে প্রবেশ করতে চান। এতে জাদুঘরের নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এতে করে জাদুঘর ও ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। 

 

বিনামূল্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র হিসেবে সাথে রাখতে হবে নিজ প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। ক্ষেত্র বিশেষ যে প্রতিষ্ঠানে/বিভাগে অধ্যায়ন করেন তার লেটারহেড প্যাডে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক বরাবর বিনামূল্যে প্রবেশের জন্য অনুরোধ পত্র পাঠাতে হবে। অনুরোধ পত্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যাতীত অনুরোধপত্র সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীরা আহসান মঞ্জিল বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। 

সর্বশেষে জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক বলেন, যেকো্নো ধরণের আপত্তিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হলো।

;

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক' পেলেন প্রয়াত বেবি মওদুদ



ঢাবি করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির' উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও মুক্তির দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে। এবার এ পদকটি পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিবিদ প্রয়াত বেবী মওদুদ। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ পদক দেয়া হয়।

পদকটি গ্রহণ করেন বেবি মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভী। পদক গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, মা আজকে বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তিনি যেখানেই আছেন আমার ধারণা এ পুরস্কার পেয়ে তিনি নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন। এ পদকটি দেওয়ার জন্য মাননীয় উপাচার্য ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বেবি আপা (বেবি মওদুদ) সারা জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সেই শান্তির চেতনার মূল্যবোধই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লালন করে। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদেরকে এ পদকের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। প্রথমবারের মত এ পদক দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এমন একজন মানুষকে তাঁরা মনোনিত করেছেন যিনি সারাজীবন নীরবেই এমনভাবে কাজ করেছেন যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রকাশ পায়।

তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ৬ বছর পর প্রবাস থেকে পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য দেশে আসেন তখন তাঁর পাশে ছায়ার মত ছিলেন বেবি আপা। বঙ্গবন্ধুর লেখাগুলো যে আমরা পেয়েছি তার মধ্যে বেবি আপার অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার লেখক হয়ে উঠার পেছনেও বেবি আপার অবদান রয়েছে। কারণ তাঁর ভাবনাগুলো যখনই তিনি বেবি আপাকে বলতেন তিনি বলতেন লিখে ছাপানোর কথা। এজন্যই হয়তো আজ আমরা লেখক হিসেবেও শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।

আয়োজক কমিটির কাছে অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, মরণোত্তর পুরস্কার দু’বছর পর দেয়া আর পাঁচ বছর পর দেয়া একই কথা। তাই যাঁরা বেঁচে আছেন তাদেরকে হয়তো এ বছর পদক না দিলে আগামী বছর মরণোত্তর পদক দিতে হবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টা বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি (বেবি মওদুদ) যে অসামান্য কাজ করেছেন সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ১৯৭৫ সালেই এ পদকটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি পদকের ব্যাপারে বলেন, এ পদক দেয়ার বিবেচনায় যে মৌলিক উপাদানগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হলো তাঁর অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও শান্তির ব্যাপারটা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এজন্যই আমরা তাঁকে পদক দেওয়ার জন্য বিবেচনা করেছি এবং সিলেকশন কমিটি তাঁকে পদক দিয়েছেন। এজন্য সিলেকশন কমিটিকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

;

বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবন থেকে পড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাজী ফিরোজ

কাজী ফিরোজ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কাজী ফিরোজ (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বিজয় বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবনে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত আনুমানিক ১টায় হলের যমুনা ব্লকের পশ্চিম দিকে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনলে তারা ছুটে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রথমে বিজয় একাত্তর হলের কোন শিক্ষার্থী তাকে শনাক্ত করতে পারেনি। পরে জিয়া হল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। হলের ৬ তলা অথবা ১০ তলা থেকে তিনি পড়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন।

কাজী ফিরোজ কিভাবে পড়ে গেলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। এই হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, কাজী ফিরোজ নামের এক ছাত্রকে মেডিকেলে আনার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে জেনেছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনেই আমি হাসপাতালে এসেছি। নিহতের বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে হাসপাতালের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করবো।

;

বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: মামলার প্রতিবেদন ১৬ অক্টোবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: মামলার প্রতিবেদন ১৬ অক্টোবর

বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: মামলার প্রতিবেদন ১৬ অক্টোবর

  • Font increase
  • Font Decrease

তারিকুজ্জামান সানি নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর হত্যা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর ধার্য করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নি:) জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।

ফলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া অন্য ১৫ বন্ধুকে। 

মামলার ১৫ আসামি হলেন, শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

;