ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্যাম্পাস
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নুর আশিকিন মোহাম্মদ তাইব ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) পরিদর্শন করেছেন। রোববার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ইডিইউতে এসে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
নুর আশিকিন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদেরকে সেমিস্টার বা বছরব্যাপী কোর্সের জন্য ইওরোপের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে থাকে। আমি নিজেও আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রান্সে গিয়েছিলাম এক বছরের কোর্সে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয় এবং তাদের পড়ালেখা ও জ্ঞানে গুণগত পরিবর্তন আসে।’
ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষায় অনন্য শিখরে পৌঁছৈছে। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার মান নিশ্চিতে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, আমাদের পদ্ধতির সাথে সেগুলোর সমন্বয় করছি। ইতোমধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ।’
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ইডিইউর দু’জন শিক্ষক আর্থিক স্কলারশিপের সহযোগিতায় এমফিল ও পিএইচডি করছেন মালয়েশিয়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সেমিস্টার ভিত্তিতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের আওতায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে পড়ে এসেছেন এবং নতুন করে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে কয়েকজন।
ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইডিইউর যোগাযোগ ঘটাতে সেতু হিসেবে হাইকমিশন কাজ করবে আশ্বস্ত করেন আশিকীন। এছাড়া মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যাপারে সহায়তা করার কথাও বলেন তিনি।
এ সময় ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স এন্ড এক্সটার্নাল রিলেশনস ডিরেক্টার মাহমুদুর রহমান, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বিবিএর প্রভাষক রিদোয়ান করিম, ওয়াসার সাবেক সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গত মঙ্গলবার ২১ মে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে পরস্পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনকে চিহ্নিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন মারফতে তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই শেষে ২৩ জনকে চিহ্নিত করে শোকজ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও তদন্ত কমিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ রিফাত রহমান।
তদন্ত কমিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ রিফাত রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর ২৩ জনকে শোকজ করেছি। একসাথে তাদের হল, ডিপার্টমেন্ট ও পরিবারের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল থেকে নিয়ে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তারা কারণ ব্যাখ্যা করবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে দুইটি ঘটেছে প্রথমটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে দ্বিতীয়টি আব্দুর রব হলের সামনে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তদন্তের স্বার্থে শোকজকৃত ২৩ জনের নাম গোপন রাখা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। এ সময় বিজয়ের কর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীক ও সিএফসির কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিজয়ের সালাহ উদ্দিনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এই ঘটনা বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জানতে পারলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা। এছাড়াও এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিল বলে জানা গেছে।
ওইদিনই সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে সহকারী প্রক্টর এনামুল হককে আহ্বায়ক করে সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত রহমানকে সহকারী সচিব ও সহকারী প্রক্টর তানভীর হাসানকে সদস্য করা হয়।
প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে রাবি ও রুয়েট শিক্ষকদের কর্মবিরতি
রাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ক্যাম্পাস
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ জায়গা থেকে রাবির শিক্ষকবৃন্দ এবং সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ২১৭ নম্বর কক্ষের নিচে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং স্বতন্ত্র সুপারগ্রেড প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, আমি রাবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগে চিঠি দিয়েছিলাম। আমার জানামতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন বলেন, সর্বজনীন পেনশন নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করা হলে আমরা আরও বড় কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবো। আগামী ৪জুন আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করব। এরপরও দাবি আদায় না হলে, পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করব।
কর্মসূচিতে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২৬ মে একই দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
আঠারো পেরিয়ে উনিশ বছরে পদার্পণ করেছে লালমাই পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে, বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষাভূমি কুমিল্লার ময়নামতির শালবন বৌদ্ধবিহারের খুব কাছ এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।
ভৌগলিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এটি। দেশের প্রধান দুই মহানগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা বেশ ভালো। এমনিতেই লালমাই অঞ্চল বেশ নিরিবিলি, বড় শহরের জঞ্জাল বেশ দূরে হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জায়গা এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নে প্রশাসনিক ভবনের সাথে মাত্র দুইটি একাডেমিক ভবন ছিল৷ ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ৮ মে জাতীয় সংসদে আইন পাশ হয় এবং ২৮ মে সেই আইন কার্যকর হয়।
২০০৭ সালের ২৫ মে মোট চার অনুষদের অধীনে সাতটি বিভাগের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রথম এই ব্যাচে ১৫ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন ২৬৫ জন।
বর্তমানে ৫০ একরের দৃশ্যমান এই ক্যাম্পাসে চারটি একাডেমিক ভবনে ছয়টি অনুষদের কার্যক্রম চলছে। অনুষদগুলো হলো- কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ এবং আইন অনুষদ। অনুষদগুলোর অধীনের বিভাগগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, প্রত্নতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, আইন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসি, এবং পরিসংখ্যান বিভাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো সম্পূর্ণ আবাসিক নয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি হল আছে এখানে। ছেলেদের তিনটি হল হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। মেয়েদের দুইটি হল হলো- শেখ হাসিনা হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল। এছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আছে চারটি ডরমিটরি। চালু হয়েছে নতুন গেস্ট হাউজ৷ শ্রেণিকক্ষ, আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে আছে দ্রুতগতির ওয়াইফাই সুবিধা।
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে দরকার ভালো একটি লাইব্রেরি। বর্তমান ক্যাম্পাসে জায়গার স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা পরেও উন্নতমানের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের পাঁচ তলায় লাইব্রেরি পাশে নতুন ভাবে চালু হয়েছে আলাদা রিডিং রুম।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের অনেকদিনের দাবি ছিল আরো বড় পরিসরের একটা ক্যাম্পাসের৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করে। বর্তমানে কার্যক্রম চলা ৫০ একরের ক্যাম্পাসের দুই থেকে তিন কি.মি. অদূরেই প্রায় ১৯৪.১৯ একরের নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম চলমান আছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯তম বছরে পদার্পণের ভিশন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে থাকি। এবছর উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মেরিট বৃদ্ধির জন্য ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড চালু করেছি। উন্নত মানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গবেষণা করার সময় ভাবতে হবে তা যেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হল গবেষণা।
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চমানের জার্নালে নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করলে নতুন জ্ঞান তৈরি হবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে সুনাম সৃষ্টি হচ্ছে, তা যেন অব্যাহত থাকে, সেজন্য কোয়ালিটি এডুকেশন এবং কোয়ালিটি রিসার্চের গুণগত মানের প্রতি নজর দিচ্ছি। আমাদের যে ভিশন তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।'
‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল চেয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে ইবি শিক্ষকরা
ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্যাম্পাস
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্য দুই দাবি হলো- প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।
এর আগে, গত রোববার (২৬ মে) একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। আগামী ৪ জুনের মধ্যে সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতিত পালন করছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের জন্য মাঠে নামি নি। আমরা মাঠে নেমেছি অনাগত শিক্ষকদের জন্য। সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হবে না। যত অযোগ্যরা আসবে একটি পক্ষের লাভ হবে। আগামী ৪ জুনের মধ্যে এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’