বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মমুখী কোর্সকে গুরুত্ব দিতে হবে: জবি ভিসি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, প্রায়ই দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদেশে যে কোর্সে পিএইচডি অর্জন করেন সে কোর্সটা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করতে চান। অথচ সেই কোর্সের বাংলাদেশে কোনো প্রয়োজন আর পর্যাপ্ত কর্মক্ষেত্রই নেই। আমাদের এজন্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে এমন কোর্সকে গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আগামী ৫০ বছরের একটা একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছি। যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারবো।

অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক ইস্কান্দার মির্জা শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজম খান এবং সাবেক শিক্ষার্থী চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল এমপি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে দেখা যায় প্রতি বছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির চেষ্টা করে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে যখন পছন্দের বিভাগের কথা জিজ্ঞেস করা হয় সে বলেছে তার ইচ্ছা সে জবির অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হবে। আমি মনে করি এটা এ বিভাগের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। এ সময় তিনি সাবেক শিক্ষার্থীদের অর্থনীতি বিভাগ এবং বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে খেয়াল রাখার কথা বলেন।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাদের শিক্ষা জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। প্রথম অধিবেশনে আলোচনাসভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের পর সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

   

Admission test qualifiers in CU will have to undergo dope test



CU Correspondent, Barta24.com, Chattogram
Photo: Collected

Photo: Collected

  • Font increase
  • Font Decrease

Chattogram University (CU) administration has decided to conduct a dope test for the students who qualified in the admission test. If the dope test report is positive, the administration will cancel the nomination.

On Sunday (05 May) in a meeting of the Deans Committee chaired by CU Vice-Chancellor Professor Md Abu Taher this decision of dope test was taken.

According to the decision, the students will have to pass the dope test before final admission to CU. The entire process will be completed at Chattogram Medical College Hospital(CMC).

CU Vice Chancellor Professor Md. Abu Taher confirmed the matter. The VC told the media that drugs are destroying our society, family and culture. So we have decided to conduct a dope test for students who have passed the admission exam this year. First, those who have successfully cleared the admission test, will be subjected to a dope test. We will then gradually roll out our other students, faculty and staff to ensure accountability and transparency.

The Vice-Chancellor also said that we have spoken to CMC Hospital to start this process. It is not yet clear who will bear this cost. But we are trying to fix a limit—Tk. 200 to Tk. 500.

Professor Siraj Ud Daula, Dean of the Faculty of Sociology told the media, 'We have taken this initiative in the interest of the country. All male and female students are required to submit their blood or urine sample and the results of the test will be submitted to the administration for final tabulation. If someone is positive, then he/she cannot get admission.'

It should be noted that a dope test or drug test is to check whether a specific drug is present in the body of an animal from a sample of any part of its body. Those who regularly take drugs or alcohol, some amount of these addictive substances remain in their bodies. And that was caught through the dope test. A medical test is done to check whether a person is addicted to drugs or not.

In this case, a sample of the person's urine or blood, and sometimes both, is tested. Drug samples can be obtained from oral saliva in the last 1 week, blood samples in the last 2 months, hair samples in the last 12 months or 1 year. 

;

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসলে ভর্তি বাতিল করবে প্রশাসন।

রোববার (০৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ডোপ টেস্টের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমে যারা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তারপরে আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধীরে ধীরে এর আওতায় আনব।

উপাচার্য আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা চমেক হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা—২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা—নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি।

সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা ইউরিনের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না।'

উল্লেখ্য, ডোপ টেস্ট বা ড্রাগ টেস্ট হলো কোনো প্রাণীর শরীরের কোনো অংশের নমুনা থেকে ঐ প্রাণীর শরীরে কোনো নির্দিষ্ট মাদকের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। যারা নিয়মিত মাদক বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের শরীরে ওই নেশাজাতীয় পদার্থের কিছুটা হলেও থেকে যায়। আর সেটিই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ধরা পড়ে। কোনো ব্যক্তি আদৌ মাদকাসক্ত কি না তা যাচাইয়ের জন্য যে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়।

এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মূত্র বা রক্ত, আবার কখনো দুটিরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মাদক গ্রহণ করা ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শেষ ১ সপ্তাহে মুখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছরে চুল পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায় মাদকের নমুনা।

;

জাবিতে ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অনুষদগুলোর আসন্ন ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের বিরুদ্ধে।

রোববার (৫ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন নির্বাচনের বৈধপ্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪ জন শিক্ষক।

পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বর্তমান ডিন ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান। এছাড়া উপাচার্য বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে অবৈধভাবে বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা বাতিল করে আইনানুগভাবে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই শিক্ষকবৃন্দ।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আসন্ন ডিন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। কিন্তু বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পূর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য গত ৩০ এপ্রিল ই-মেইলে এবং ১ মে সশরীরে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করে আবেদনপত্র জমা দেন তারা। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে প্রার্থীদের অনুপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। এরপর তড়িঘড়ি করে গত ২ মে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় কোন ত্রুটি বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তা প্রার্থীকে অথবা মনোনীত প্রতিনিধিকে দেখানোর কথা এবং তা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

আরও জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সে সময়ে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃক সমর্থিত এক প্রস্তাব গ্রহণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রস্তাবটি ছিল, মনোনয়নপত্রে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ডেকে তা প্রতিকার করে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করার। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার আইন এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেননি। এছাড়া ঠিক কি কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে অথবা কি কারণে আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হলো না তা ওই শিক্ষকদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

ডিন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার সময় থেকে এখন পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ডিন নির্বাচন সংক্রান্ত কোন নীতিমালা, আইন, বা প্রচলিত নিয়মসমূহের সংকলন লিখিত অথবা মৌখিকভাবে অবহিত করেননি। মনোনয়নপত্রেও এধরনের কোন নির্দেশনা বা বিশেষ দ্রষ্টব্য ছিলো না। এছাড়া বৈধতালিকা প্রকাশের আগে প্রচারণা চালানো প্রার্থীদের প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়নি।

অভিযোগপত্রে উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, বৈধতালিকা প্রকাশের আগেই একজন যখন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেয় তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবজ্ঞা করা অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সকল প্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত সংবিধির ১.২৪ ধারা মোতাবেক এ বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করছি।

;

ঢাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি দুই মাসেও কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায়, দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এ বছরের ৩ মার্চ অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাচাইয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষ এ কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও ২ মাস পার হলেও এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি। এতে ন্যায়বিচার ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে, প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে যথাযথ বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কমে গেলে লঘু দণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান এবং তিন দিনের মধ্যে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় পুনরায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন এই শিক্ষার্থীরা।

;