ঢাবি গবেষণা প্রকাশনা মেলা-২০২২: গবেষণা-প্রকাশায় গতি আনতে করণীয়



ড. এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির
ড. এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির

ড. এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির

  • Font increase
  • Font Decrease

শতবর্ষের আলোয় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাসিত, সে বিষয়টি প্রচার করতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম শতবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠে গবেষণা-প্রকাশনা মেলা-২০২২ আয়োজন করেছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে জানান দেওয়া হলো যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও প্রকাশনায় গতি রয়েছে। সেজন্য ফরমায়েসি কিছু গবেষণার ফলাফলকে শতবার্ষিকী গবেষণা গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশনার মাধ্যমে জনসমক্ষে উন্মুক্ত করা হলো, যার প্রকাশ হলো এই আনুষ্ঠানিকতা। এই গবেষণা-প্রকাশনাগুলোর মান সংরক্ষণে আন্তর্জাাতিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো, যা অবশ্যই প্রসংশার যোগ্য।

এই মেলার অন্যতম লক্ষ্যণীয় দিক হলো এই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের দোহাই দিয়ে সমস্ত প্রকাশনাকেই ইংরেজিতে মুদ্রণ করা হয়েছে। এমনকি মূল মঞ্চ ব্যতীত অন্যান্য সকল পোস্টারে ইংরেজি ভাষার আতিশায্য বিশেষভাবে লক্ষণীয় হয়েছে। অবশ্য গত দুই দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাহ্যিক আভরণে ইংরেজির আতিশায্যের বিষয়টি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংরেজির আতিশায্যের মাধ্যমে যে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক বাংলা ভাষার মর্যাদার বিষয়টিকে এড়িয়ে, ইংরেজি ভাষার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে সেই বিষয়টিই যেনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে ও বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছে।

এ মেলার মাধ্যমে জনসমক্ষে উপস্থাপিত প্রকাশনাগুলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানাঙ্ক (র‌্যাঙ্কিং) বাড়বে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবতা নির্ভর গবেষণার আবহ সৃষ্টি না করা হলে, তা দিয়ে লোক দেখানো গবেষণা হয় বটে, তবে তা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে গবেষণা ও প্রকাশনায় গতি আসে না। দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের অনেকেই প্রায়শই বলে থাকেন যে, প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে গবেষণা কর্ম পরিচলানা করা যাচ্ছে না। এই লোককথা দ্বারা বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, অর্থের অভাবে গবেষণা হয় না, তাই প্রকাশনও হয় না। কিন্তু অর্থ দিয়ে গবেষনার প্রণোদনা দেওয়া যায় বটে, কিন্তু গবেষণা ও প্রকাশনা কর্ম সাধিত হয় অর্থ প্রাপ্ত গবেষকের মেধা, অধ্যবসায় ও শ্রমের সমন্বিত প্রয়াসের ফলশ্রুতিতে। অথচ গবেষকের গবেষণা কর্ম সম্পাদনে যে প্রয়াস, সেটির মূল্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রশাসনের আওতাভুক্ত নয়। কাজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান (মর্যাদা) ও মানাঙ্ক (র‌্যাঙ্কিং)-ই যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হয়: তাহলে ফরমায়েসি গবেষণার পথকে পরিহার করে, গবেষণা কর্মযজ্ঞকে প্রণোদনা দিতে নিম্মের পদক্ষেপগুলো নেওয়া প্রয়োজন:

গবেষকদের সম্মান ও সম্মাননার মাধ্যমে পুরস্কৃতকরণে ক্ষেত্রে

ক) শ্রেষ্ঠ গবেষক পুরষ্কার প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

খ) শ্রেষ্ঠ গবেষকদেরকে উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে বিশেষ অধ্যাপক ও সম্মানসূচক অধ্যাপক ইত্যাদি বিশেষ সম্মানসূচক অধ্যাপক পদ (অতিরিক্ত বেতন-ভাতাসহ) সৃষ্টি করে তাঁদেরকে সে সব পদে পদায়নের রেওয়াজ চালু করা প্রয়োজন।

গ) শ্রেষ্ঠ গবেষকদের ১টি পুল তৈরি করে সেই পুল থেকে ডীন মনোনয়নের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

ঘ) শ্রেষ্ঠ অধ্যাপকদের জাতীয়ভাবে মর্যাদা দানের জন্য জ্ঞানের প্রতিটি শাখার শ্রেষ্ঠ অধ্যাপক পুল থেকে শ্রেষ্ঠতমকে জাতীয় অধ্যাপক সম্মানে ভূষিত করণে রেওয়াজ চালু করা প্রয়োজন।

গবেষণা সঞ্জাত প্রকাশনাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে

ক) গবেষণা পত্রিকাগুলোকে প্রথমত বিমক (ইউজিসি) কর্তৃক জার্নাল সূচীপত্র তৈরির রেওয়াজ চালু করে তাতে অন্তর্ভুক্ত করার রেওয়াজ চালু প্রয়োজন।

খ) জার্নালগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ইনডেক্স, যেমন- scopus, corss-reference -এ অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

গ) জার্নালগুলোকে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সূচীতে অন্তর্ভুক্ত জার্নালগুলো উন্মুক্তভাবে উপলদ্ধ (Open Access)-এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রশাসন যদি উপর্যুক্ত দু ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আশা করা যায় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যেমন তাঁদের উপযুক্ত মর্যাদা পাবে, তেমনিভাবে গবেষণা কর্মগুলোর ফলাফল যথাযথভাবে ও পরিমিতভাবে জনসম্মুখে উন্মুক্ত হবে। এগুলো জনসম্মুখে উন্মুক্তির মাধ্যমে দেশেবিদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি ছড়াবে। আর সে পথেই বাড়বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান (মর্যাদা) ও মানাঙ্ক (র‌্যাঙ্কিং) মান (মর্যাদা) ও মানাঙ্ক (র‌্যাঙ্কিং)।

লেখক: অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ভূতপূর্ব গবেষণা ফেলো, জাপান রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউট; ভূতপূর্ব অভ্যাগত অধ্যাপক, কোবে গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয় ; ভূতপূর্ব অভ্যাগত শিক্ষক, টোকিও বিদেশবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়।

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;