ঢাবির শতবর্ষ উদযাপনে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবির শতবর্ষ উদযাপনে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা

ঢাবির শতবর্ষ উদযাপনে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে রোববার (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠান উদ্বোধনী ঘোষণার আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংগীত বিভাগের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত ও শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিম সংগীত পরিবেশিত হয়।

একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে এ মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলে জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সহ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর বছর পূর্তিতে আমরা অনেক গবেষণা পরিচালনা করেছি। অনেক শিক্ষকই গবেষণা কর্ম সম্পন্ন করেছেন, জার্নালে বিশেষ ইস্যু বের হয়েছে। সবগুলো কমপাইল করে আজকের এ গবেষণা মেলা। শিক্ষক হিসেবে আমাদের যেটি কাজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা, আর এ শিক্ষাদানের পেছনে রয়েছে নতুন নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন করা। যেটি সম্ভব হয় গবেষণার মাধ্যমে। গেল কয়েক বছর ধরে আমরা নানানভাবে গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণ গবেষকেরাও অনেক অনুপ্রাণিত হবেন বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব বাজেটের মধ্যে গবেষণা খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা মোট বাজেট ১.৬৩ শতাংশ। যা দিয়ে বড় ধরনের গবেষণা করা সম্ভব হয় না। দেশের স্বার্থে উন্নত বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়নে যেসব গবেষণাগুলো প্রয়োজন, সেসব গবেষণাগুলোতে সরকার বিশেষ অর্থায়নের ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করি। গবেষণার মাধ্যমে লব্ধকৃত জ্ঞানগুলো ইন্ডাস্ট্রি ও কর্পোরেট হাউসগুলো ব্যবহার করবে তাতে দেশটি এগিয়ে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতি গঠনে যেমনটা ভূমিকা রেখেছে, তেমনি জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রচার ও প্রসারে জাতিযে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি এ মেলায় প্রতিফলিত হবে। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার আগে গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। যদি গবেষণা না হয় শিক্ষায় নতুন জ্ঞান আসবে না। তাছাড়া জাতি, সমাজ ও কর্পোরেট সেক্টরগুলোকে সমৃদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতি গঠন ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেন অবদান রাখতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি যদি কোলাবরেশন না থাকে বিশ্ববিদ্যালয় এগোতে পারে না। দক্ষিণ কোরিয়াতে জিডিপির ৪.৫ শতাংশ গবেষণাক্ষেত্র ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়। উন্নয়ন নির্ভর করে গবেষণার উপর। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা সেটি এখনও নিশ্চিত করতে পারি নি। আমরা অনেক টাকা খরচ করে বহিরের দেশের লোকবল এনে দেশে ইটিপি (শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত তরলবর্জ্য পরিশোধন করার জন্য শোধনাগার) স্থাপন করেছি। তারপরেও কেন যেন সেটি খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি। দেশের প্রত্যেকটি উন্নয়নে আমরা যদি দেশি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক-গবেষকদের ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, বিজ্ঞান-কলা-সামাজিক বিজ্ঞান সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণার মধ্য দিয়ে সমাজ ও সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তেমনও বিজ্ঞানের একটি উল্টোদিকে রয়েছে সেটি হল যুদ্ধ। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক চাহিদা নিরূপণ, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা আরও সহজ করা দরকার।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান প্রজনকে সুদক্ষ কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখী করতে হবে। গবেষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি শিল্প মালিক ও অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি কর্মদক্ষ ও যুগোপযোগী অ্যাজুয়েট তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ফান্ড প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি।

উদ্বোধন শেষে অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

উদ্বোধনী দিনে বিকেল ৩টায় কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসী অনুষদ, আর্থ এন্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, সকল ইনস্টিটিউটের পক্ষে ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্র/ব্যুরো'র পক্ষে ১টি উপস্থাপনা থাকবে। বিকেল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হবে। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টারের পোস্টার সমূহ থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হবে। দু’দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ হওয়া প্রকাশনাসহ ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রতিবেদন, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার বা ব্রুশিয়ার। মেলায় একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন অনুষদের ১০টি ও ইনস্টিটিউটের একটি প্যাভিলিয়ন। এতে ৮৩ বিভাগ এবং ১২ ইনস্টিটিউটের স্বতন্ত্র স্টল রয়েছে। প্রকাশনা সংস্থার একটি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটিসহ ১৩টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;