বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবির রোকেয়া হলের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবির রোকেয়া হলের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবির রোকেয়া হলের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছয়টি ছাত্রী হলের মধ্যে প্রথমবারের মতো রোকেয়া হল আয়োজিত 'প্রথম পুনর্মিলনী ২০২২' অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার পুনর্মিলনীর উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে হলটি।

এদিন শুরুতেই সকাল ৯টায় রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এরপর উদ্বোধনের শুরুতেই হল প্রাঙ্গণে কোরাস দলের নেতৃত্বে সহস্রকন্ঠে গাওয়া হয় উদ্বোধনী সংগীত। 

উদ্বোধনী পর্ব শেষে ঘোড়ার গাড়ি সহযোগে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন হলটির সাবেক ও বর্তমান আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যায়। এরপর শহীদ মিনার বেদীতে হলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে পুনর্মিলনীতে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, যাকে ছাড়া এত বড় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করা অসম্ভব ছিল তিনি হলেন এই পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক নিশাত জাহান রানা। তার উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেছে। আজকে রানার নেতৃত্বে রোকেয়া হলে যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলো, আশা করি সংগঠনটি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি খেয়াল রাখবে। সংগঠনের সদস্যরা মহত্বের পরিচয় দিয়ে এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে সহযোগিতা করবে। 

উপাচার্য আরও বলেন, এই হলটি যখন ১৯৮০ সালে চালু করা হয়, ঠিক তার একশ বছর পূর্বে জন্মেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। যে সময় এদেশে উর্দু, ফার্সি এবং ইংরেজির দাপটে বাংলা ভাষার প্রচলনই ছিলো না। সে সময় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য অনন্য প্রচেষ্টা করেছেন বেগম রোকেয়া। পরবর্তীতে এই বাংলা ভাষাকে অবমুক্ত করে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির কাছে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ ড. জয়ন্তী রানী বসাক বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত হবার প্রেরণা আমরা বেগম রোকেয়ার কাছেই পেয়েছি। তাই তো রাবির ইতিহাসে সব হলকে পিছনে ফেলে প্রথম পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানটি আয়োজনের সাহস দেখিয়েছে এই রোকেয়া হলবাসী। প্রক্তন ও বর্তমানের মিলনে  আজকের এই অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে এক মহা মিলনক্ষেত্র। এই নারীশক্তি প্রতিটি ভলো কাজে যেন দেশে-বিদেশে যুগে যুগে ছড়িয়ে বেগম রোকেয়ার স্বপ্নকে স্বার্থকরূপ দিতে পারে সকলের কাছে এই প্রত্যাশা।

 

হলের প্রাক্তন আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন,পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রাণ হলের প্রাক্তন ছাত্রীবৃন্দ। আপনারা দূরদূরান্ত থেকে এসে এই অনুষ্ঠানটি যেভাবে প্রাণবন্ত করেছেন তাতে আমি ধন্য। পাশাপাশি হলের বর্তমান ছাত্ররা তাদের বড় বোনদের বরন করে নেয়ার জন্য যে উদ্দীপনা দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত। এসময় তিনি হলের প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফেরদৌস আখতারের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য দেন 'প্রথম পুনর্মিলনী ২০২২'র আহ্বায়ক নিশাত জাহান রানা।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে আরও ছিলো বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় প্রাতরাশ, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাবাস বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে স্মৃতি উন্মোচন পর্ব, দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় মধ্যাহ্নভোজ এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সাবাস বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে প্রান্তিক পর্ব।

প্রথমবারের মতো হলের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত হলটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে হলের দ্বিতীয় ব্যাচের ফেরদৌসী বেগম ডলি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর বান্ধবী, সিনিয়র, জুনিয়র সবাইকে পেয়ে আমি আবেগে আপ্লুত। আমি চেয়েছিলাম  যেন আমাদের বন্ধনটা অটুট থাকে। মূলত তাই এই আয়োজন। আয়োজনটি সফল হওয়ায় আমি বেশ অভিভূত। এত বড় একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে করার পেছনে হলের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনস্বীকার্য ভূমিকা  রয়েছে। আর তাদের আচার ব্যবহারেও আমি মুগ্ধ। 

রোকেয়া হলের সাবেক এই আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, তিনি রাবির সাইকোলোজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর হলো তিনি অবসরে গেছেন।

চার দর্শক পূর্বে হলে অবস্থান করা আপুদেরর সংস্পর্শ পেয়ে মুগ্ধ হলটির বর্তমান আবাসিক শিক্ষার্থী তাসনিম হোসাইন। তিনি বলেন, এক-দুই নয় দীর্ঘ ৪০ বছর আগের আপুদের সংস্পর্শ পেয়ে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি মুগ্ধ। দীর্ঘ বিরতির পরও হলের প্রাক্তন আপুদের সঙ্গে যে সহজেই আমাদের একটা মধুর সম্পর্ক তৈরি হলো এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে এটা অত্যন্ত ভালো লাগার বিষয়। রোকেয়া হল কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ ভবিষ্যৎতেও চলমান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী। 

উল্লেখ্য, হল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে প্রথমবারের এই পুনর্মিলনীতে হলের সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;