ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র‍্যাংকিং-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে। এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)নামে উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় আছে ৬০১–৮০০ ক্রমের মধ্যে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১২০১-১৫০০ ক্রমের মধ্যে। গত বছর এই তালিকায় (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২২) ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল এক হাজারের ওপরে। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে সেরা এক হাজারে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করতে পারেনি। ২০১৬ সালে এই র‍্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে। এরপর ২০১৭ সালে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা হয়নি দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের।

১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে। বিভিন্ন মূল্যায়ন সূচকে মান যাচাই-বাছাই করে টাইমস হায়ার এডুকেশন। শিক্ষাদান (টিচিং), গবেষণা (রিসার্চ), গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশন), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক) এবং ইন্ডাস্ট্রি ইনকামের (শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়) ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা করা হয়।

টাইমসের তালিকায় গত পাঁচ বছরের মতো এবারও এক নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেরা পাঁচে আছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।

টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে র‌্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণে বিবেচিত সূচকগুলোর বিশদ ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষাদান সূচকটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান, অর্থাৎ র‌্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দ্বিতীয় সূচক গবেষণায় দেখা হয়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের খ্যাতি-জরিপ, গবেষণা থেকে আয় এবং গবেষণার সংখ্যা ও মান। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সূচক হলো গবেষণা-উদ্ধৃতি। এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত কাজ বিশ্বব্যাপী গবেষকেরা কতবার উদ্ধৃত করছেন, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-কর্মী অনুপাতের সঙ্গে দেখা হয় আন্তর্জাতিক যুক্ততাও। ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও পরামর্শের মাধ্যমে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকে সহযোগিতার সক্ষমতা দেখা হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা গবেষণায় অর্থ ঢালতে কতটা উৎসাহী এবং বাণিজ্যিক বাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু সক্ষম, সেটিই এ সূচকের মূল কথা।

বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং দেখতে এখানে ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

   

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরসহ মোট ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) মধ্য রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এতে বিবাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম। এছাড়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাকিব হোসেন ও দ্বীপ চৌধুরী।

সভাপতি আবু তাহের অভিযোগে উল্লেখ করেন, নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন নিজে সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করেন। এ সময় আরো অন্তত ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্য কার্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান উক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের উপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টোরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকিধামকি প্রদান করেন। এভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা ও হুমকিধামকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'গতকাল রাতে আমরা প্রায় ৫০ জন শিক্ষক থানায় অভিযোগ করে এসেছি। গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে উপাচার্য স্যার নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বারংবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করিয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ অভিযোগের ২০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'

;

প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সকল প্রকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘গতকালের যে সন্ত্রাসী হামলা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং বহিরাগতরা শিক্ষকদের উপর চালিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ এই পদে থাকার যোগ্য না। তারা সন্ত্রাসী, তাই তাদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনোপ্রকার শিক্ষা কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবো না। তবে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।’

জরুরি সাধারণ সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। এছাড়া যে সকল শিক্ষক-শিক্ষকদের উপর হামলার সাথে জড়িত তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে, শিক্ষকদের উপর গত ২৮ এপ্রিল যে-সকল বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের নামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

;

চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং ল্যাব উদ্বোধন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক্স এবং প্রোটিওনিক্স ল্যাবরেটরি (এফজিপিএল) অত্যাধুনিক স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিন ও ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিং জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করা যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ল্যাবটি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহের। এরপর জীববিজ্ঞান অনুষদের পাশে অবস্থিত গ্রিন হাউজ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন উপাচার্য।

ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১ বছর মাইলফলক উদযাপনসহ নতুন এই মেশিন ও ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তৌহিদ।

এছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা এবং এফজিপি ল্যাবের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকানসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ল্যাবটি সম্পর্কে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকান জানান, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট রূঢ় পরিবেশে চাষযোগ্য নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিনটি এ ল্যাবে সংযুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্যাঙ্গার সিক্যুয়েন্সিং মেশিনের মূল কাজ হল ডিএনএ'র নিউক্লিওটাইডগুলির ক্রম নির্ধারণ করা যাকে সহজ ভাষায় বলে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং। এই মেশিনটি বর্তমানে বিশ্বে জীববিজ্ঞানের গবেষণায় অন্যতম শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ব্যবহার করে গবেষকগণ বিভিন্ন অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং মেশিন এবং পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন অণুজীব শনাক্তকরণ, জিনের প্রকাশ নির্ণয়, বিভিন্ন রোগের জিনগত কারণ উদঘাটন, দ্রুত এবং সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন রোগনির্ণয় পরীক্ষা, রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানাপূর্বক ওষুধ ও ওষুধের ডোজ নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহার করা যায়।

;

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আবাসিক হলের ১ নং কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন- একই ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমাকে রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। এ সময় ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। পালাক্রমে চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস মাহফুজ রাফিদ, ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক, মেহেদি হাসান আমাকে মারধর করে এবং সর্বশেষ আলমাস আমার হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার ১ম বর্ষ 'ফিগার স্টাডি কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাসের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস থেকে আমাদের চারুকলার ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাস থেকে নামার পরে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র আলমাস মাহফুজ ভাই আমাকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আরো তিনজনসহ মোট চারজন আমাকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করে এবং জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ও এ ঘটনার বিচার কামনা করেছি।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের পূর্ব কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার সাথে প্রায়ই ঝামেলা বাধাতে আসত।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাস মাহফুজ রাফিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন সুমন রুমে আটকে রাখা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমার ব্যাচমেট আলমাস ও জুনিয়র স্বাগতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান নামের আরেক অভিযুক্ত। তিনি বলেন, এটা স্বাগত (ভুক্তভোগী) ও আলমাসের (অভিযুক্ত) মধ্যকার ঘটনা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা থেকেই এমন হয়েছে। মারধরের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা এখনো অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।

;