শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করলেন ভাসানী কর্তৃপক্ষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করলেন ভাসানী কর্তৃপক্ষ

শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করলেন ভাসানী কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থী ছাড়াই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস পালন করলেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী ও অধিকার ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, ছাত্র সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া সকল কর্মসূচি 'বয়কট' এর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী এবং এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এ সকল কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যথিত ও মর্মাহত।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জমকালো আয়োজনে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিতকরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টি-শার্ট, প্রতিটা হলে ফিস্ট মিল ও মুক্তমঞ্চে কনসার্টের সুবিধা রাখা হলেও এ বছর রাখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, বিগত বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য যে সকল সুবিধা রাখা হয়েছিল, এবার তার কিছুই রাখা হয়নি। আমরা ভাইস চ্যান্সেলর স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম প্রয়োজনে বিগত বছরের মত ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের দিন পিছিয়ে নিতে। কিন্তু স্যার আমাদের কোন কথা না রেখে একক সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক শীল বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও আমাদের কোন দাবির কথাই রাখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শুভ দে বলেন, আমরা সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সংবাদ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি, এই মুহূর্তে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে ফোন কেটে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন।

   

চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং ল্যাব উদ্বোধন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক্স এবং প্রোটিওনিক্স ল্যাবরেটরি (এফজিপিএল) অত্যাধুনিক স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিন ও ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিং জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করা যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ল্যাবটি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহের। এরপর জীববিজ্ঞান অনুষদের পাশে অবস্থিত গ্রিন হাউজ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন উপাচার্য।

ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১ বছর মাইলফলক উদযাপনসহ নতুন এই মেশিন ও ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তৌহিদ।

এছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা এবং এফজিপি ল্যাবের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকানসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ল্যাবটি সম্পর্কে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকান জানান, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট রূঢ় পরিবেশে চাষযোগ্য নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিনটি এ ল্যাবে সংযুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্যাঙ্গার সিক্যুয়েন্সিং মেশিনের মূল কাজ হল ডিএনএ'র নিউক্লিওটাইডগুলির ক্রম নির্ধারণ করা যাকে সহজ ভাষায় বলে ডিএনএ সিকুয়েন্সিং। এই মেশিনটি বর্তমানে বিশ্বে জীববিজ্ঞানের গবেষণায় অন্যতম শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ব্যবহার করে গবেষকগণ বিভিন্ন অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোনো ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং মেশিন এবং পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন অণুজীব শনাক্তকরণ, জিনের প্রকাশ নির্ণয়, বিভিন্ন রোগের জিনগত কারণ উদঘাটন, দ্রুত এবং সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন রোগনির্ণয় পরীক্ষা, রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানাপূর্বক ওষুধ ও ওষুধের ডোজ নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহার করা যায়।

;

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হলে আটকে রেখে চবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আবাসিক হলের ১ নং কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন- একই ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমাকে রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। এ সময় ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। পালাক্রমে চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস মাহফুজ রাফিদ, ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক, মেহেদি হাসান আমাকে মারধর করে এবং সর্বশেষ আলমাস আমার হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার ১ম বর্ষ 'ফিগার স্টাডি কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাসের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস থেকে আমাদের চারুকলার ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বাস থেকে নামার পরে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র আলমাস মাহফুজ ভাই আমাকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে আরো তিনজনসহ মোট চারজন আমাকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করে এবং জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ও এ ঘটনার বিচার কামনা করেছি।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের পূর্ব কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না, কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার সাথে প্রায়ই ঝামেলা বাধাতে আসত।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলমাস মাহফুজ রাফিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরেক অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন সুমন রুমে আটকে রাখা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমার ব্যাচমেট আলমাস ও জুনিয়র স্বাগতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেহেদী হাসান নামের আরেক অভিযুক্ত। তিনি বলেন, এটা স্বাগত (ভুক্তভোগী) ও আলমাসের (অভিযুক্ত) মধ্যকার ঘটনা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা থেকেই এমন হয়েছে। মারধরের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা এখনো অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে।

;

কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন: পাল্টাপাল্টি দোষারোপ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি-ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর উপাচার্য ড. এফএফএম আবদুল মঈন এবং শিক্ষক সমিতির নেতারা আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সংঘর্ষের পর বিকাল ৫টার দিকে উপাচার্য এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হয়ে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে এবং সেখানে আমার সাথে তারা উচ্চবাচ্য করে, হুমকি-ধামকি দেয়, গালিগালাজ করে। আমি তাদেরকে বারবার বলেছি, আপনারা আসুন, আলোচনা করি। উনারা কোন রেসপন্স করে নাই। আমি উনাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট ডেকে কমিটি গঠন করেছি, কিন্তু উনারা সেটি মানল না। উনাদের সাতটি দাবির চারটি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা কি করলো? ভিসি, আমার ট্রেজারারকে, আমার প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো। ট্রেজারার স্যারকে রাত ৮টা অবধি গেইটে রেখেছে। দপ্তরগুলোতে তালা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে, তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কীভাবে?

তিনি আরো বলেন, আজকে আমি প্রবেশ করতে গেলে উনারা (শিক্ষক সমিতি) আমার উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ত্বের মোর্শেদ রায়হান আরেকজন হলো মার্কেটিংয়ের একজন জুনিয়র শিক্ষক মাহফুজ। এই মাহফুজ ছেলেটা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিলো। উনারা কীভাবে একজন ভিসির গায়ে হাত তুলেন এটা আমার জানা নেই। আমিতো ভিসি ছাড়াও একজন সিনিয়র শিক্ষক!

পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে তিনটি দফতর তালাবদ্ধ ছিল সেগুলো প্রক্টরের নেতৃত্বে অছাত্র-বহিরাগত, বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের দ্বারা তালা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু আমরা কোন সংঘর্ষে যাইনি। উনি আসার সময় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম, উনি (উপাচার্য) আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন, মোর্শেদ রায়হান স্যারকে কনুই দিয়ে আহত করেন, মাহফুজুর স্যারকে ঘুসি মারেন। সকল অছাত্ররা তখন আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ সেখানে যাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করেছি। অথচ কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের মদদে অছাত্র, সন্ত্রাসীরা শিক্ষক সমিতির অফিসে লাথি মারে এবং তালা ভাঙার চেষ্টা করেন।

তিনি আরো বলে, পরবর্তীতে ঐ সন্ত্রাসীরা আবারো আমাদের উপর হামলা করে, সাবেক সভাপতি শামিমুল স্যার লাথি দিয়ে নিচে ফেলে মারধর করে। শুধু তারাই নয়, উপাচার্য নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে হামলা করেছেন, শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি মেরে তিনি কার্যালয়ে গিয়েছেন।

;

ঢাবিতে দু'দিনব্যাপী ফার্মাফেস্ট শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগ, ফার্মেসি অনুষদ এবং ফার্মেসি ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী 'ফার্মাফেস্ট-২০২৪' শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এই ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এবং রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ফেস্ট-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুন। ফার্মেসি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা তালুকদার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশের ফার্মেসি খাতের চাহিদা পূরণে এবং ওষুধ শিল্পে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, শ্রেণিকক্ষ আধুনিকায়নসহ শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী দেশের ওষুধ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ককে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ফার্মাসিস্ট পেশাকে শুধু শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত না রেখে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং কমিউনিটিতে ফার্মাসিস্ট পেশার কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের সামাজিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ফার্মা অলিম্পিয়াড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং বক্তৃতা আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ফেস্ট। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, ফার্মাসিস্ট এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।

;