প্ররোচনামূলক আত্মহত্যা, বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস ইসলামের মা নাজমা ইসলামের আত্মহত্যাকে প্ররোচনামূলক আত্মহত্যার আখ্যা দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আমার বন্ধু এতিম কেন জবাব চাই জবাব চাই; আমার বন্ধু ঘরছাড়া কেন জবাব চাই জবাব চাই; স্বামী নির্যাতিতা একজন মায়ের সন্তান বলছি; Say no to domestic violence' ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সহপাঠীর (নাফিস ইসলাম) বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তার ভাষ্য অনুযায়ী তার মা’কে বেশ কয়েকবছর ধরেই নিয়মিত নির্যাতন করত। গত ৩০ মে তার মা আত্মহত্যা করে মারা যান। তার মায়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি মারা যাওয়ার আগে একটা সুইসাইড নোট লিখেছেন সেখানে নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেছেন। আমরা মনে করি এটি প্ররোচনামূলক আত্মহত্যা। তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করছি এবং আমাদের সহপাঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় গেল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বাবার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে স্ট্যাটাস দেন নাফিস ইসলাম। সঙ্গে সুইসাইড নোট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তাঁর বাবার ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের ওই শিক্ষার্থী।

স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল:

“পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, একজনও খারাপ বাবা নেই।” -হুমায়ূন আহমেদের তিন ডব্লিউ লেখার এই লাইনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই প্রচলিত। আজকে গল্প শুনাই একজন বাবার,আমার বাবার।

আমার বাবা, মোঃ নুরুল ইসলাম, একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। চাকরিজীবন অনেক সুনামের সাথেই পার করেছেন। বাইরের পৃথিবীতে সবাই সম্মানই করতেন, হয়তো তার ব্যবহারে নাহলে তার চাকরিসূত্রে পাওয়া ক্ষমতার ভয়ে। আড়ালে চলে তার পৈতিক গ্রামে সোনা চোরাকারবারী চক্রকে বিভিন্ন পুলিশি সুবিধা প্রদান আর জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে ইউপি নির্বাচনে জেতানোর সব রকম অনৈতিক চেষ্টা।

পরিবার জীবনে চিত্রটা আরও ভিন্ন।আমার বাবা মায়ের সম্পর্ক কখনই ভালো ছিল না। ছোট খাটো বিষয়ে আমার বাবার আমার মায়ের প্রতি টর্চার ছিল প্রতিদিনেরই ঘটনা। মধ্যবিত্ত পরিবারে যেটা হয়, আমার মা সব সহ্য করেই ৩৫-৩৬ বছর সংসার করে গেছেন, আমাদের দুই ভাইবোনের কথা চিন্তা করে। আমার বাবার অবসরের পর শুরু হয় তার এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার আর আমার মায়ের প্রতি অমানুষিক হিংস্রতা। প্রতিদিনই নেশা করে আমার বাবার সকাল বিকাল চলতো আমার মায়ের ছোট খাটো বিষয় ধরে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন। করোনার সময় লকডাউনে বেড়ে গেল এই হিংস্রতা অনেক গুণ। সে সময়টুকু আমি বাসায় থাকায় যতটুকু পেরেছি সামলানোর চেষ্টা করেছি।উল্লেখ্য আমাদের বাসা রাজশাহীতে, আমি বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করি। বড় বোন বিবাহিত, সে শ্বশুড়বাড়ি থাকে। পরিবারের সবাই এটা বিষয়গুলো জানতো, দাদাবাড়ির সবাই ছিল নীরব, নানাবাড়ির কারও সাথে আমার মাকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হত না।

কোনোভাবে পরিবারে স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে না পেরে সমাজের তথাকথিত সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে যাই যে আমার মাকে বাঁচান।আমার বাবার সহকর্মীদের কাছে আমি এবং আমার বোন যাই। আইনি হোক অথবা পারিবারিক হোক,কোনভাবেই সাহায্য করেন নি।উপায় না পেয়ে আমার মাকে ২০২২ এর জানুয়ারিতে আমার মামার বাসায় পাঠিয়ে দিই, দুইমাস সেখানেই ছিলেন।এ পর্যায়ে আমার বাবা আমার থাকা খাওয়া আর পড়াশোনার খরচ বন্ধ করে দেন। পরে পরিবারের একে ওকে ধরে আমার বাবা আমার মাকে ফিরিয়ে আনেন,আর এই আশ্বাস দেন যে আর শারীরিক নির্যাতন করবেন না।

৩০/০৫/২২ তারিখ দুপুর ২.৪০ এ ক্লাসে আমার কাছে একটা ফোন আসে, জানতে পারি আমার মা আর বেঁচে নেই। নিজেকে সামলে দ্রুততার সাথে রাজশাহী আসি। এসে আমার মায়ের মৃতদেহ দেখি,যে ঘরে আমার মা নামাজ পরতেন, সেই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন, আর তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। আমার বোন আরও আগে পৌঁছেছিল, আপু আমাকে জানায় আঘাতের চিহ্নগুলো আরও পরিষ্কার ছিল আপু যাওয়ার পর পর।রাজশাহী চন্দ্রিমা থানার পুলিশ আমার আগেই উপস্থিত আমাদের বাসায়। চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন এরপর শুরু করলেন আরেক খেলা। আমার মায়ের শরীরের আঘাতের চিহ্নগুলো মৃত্যুর পর শুইয়ে রাখার জন্য হয়েছে এরকম বলতে থাকলো।পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টেও সেরকমই লেখা হল।জানি না আমার বাবা পুলিশের লোক দেখেই হয়তো পুলিশের এই বিষয়টি এত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।


আমার মাকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হল রাত আটটার দিকে। এরপর আমার মায়ের লেখা সুইসাইড নোট খুঁজে পাই আমার ড্রয়ার থেকে। যেখানে আমার মা স্পষ্ট লিখে গেছেন তার সাথে কি কি করা হয়েছিল। রাতেই থানায় যোগাযোগ করলাম অভিযোগের জন্য, ওসি এমরান হোসেন নোট দেখে বললেন, এসব অভিযোগ লাগবে না,অপমৃত্যু মামলার তদন্তেই সব বেড়িয়ে আসবে। আমার বাবা তার চাকরিসূত্রে পাওয়া প্রভাব বা টাকার ক্ষমতা দেখানো শুরু করে ফেলল। পরেরদিন ৩১/০৫/২২ তারিখে আমার মায়ের দাফন শেষে আমার বাবার গ্রামের সোনা চোরাকারবারি জামায়াতের দল আমাকে বাড়ি থেকে মারধোর করে বের করে দিল। আমি আমার বোনের কাছে এসে আশ্রয় নিলাম।

আমার বাবার মামাতো ভাই, রাজশাহী মেডিকেলের নিউরো মেডিসিনের অধ্যাপকের অনুরোধে আমার মায়ের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট দেরী হতে থাকলো, এক মাস পর রিপোর্ট পাওয়া গেল। রিপোর্টে আমার মায়ের শরীরে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। এরপর ওসি এবং তার ইনভেস্টিগেটর অফিসার ঘুরাতে শুরু করলো, তারা বলে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পায়ই নি। এদিকে আমার বাবা ফোনে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন,রাজশাহী গেলে আমাকে কেটে ফেলে দিবে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার দুই মাস পর, আমার মা মারা যাওয়ার তিন মাস পর থানা যাও বা স্বীকার করলো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেছে, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই, কারও বিরুদ্ধে নাকি কোন অভিযোগ হয় না এগুলোর হিসাবে।

আমার দাদাবাড়ির লোকেরা প্রপার্টির লোভে আমাকে দূরে সরাতে পারলে বাঁচে। এক ঝটকায় আমি পরিবারহীন,বাড়িঘরহীন অনাথ হয়ে গেলাম। অভিযোগের জায়গাটা পর্যন্ত নেই। এমন একটা মানুষে পরিণত হলাম যার অস্তিত্ব নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। আমি থাকা বা না থাকা একই কথা। শেষ মুহূর্তে আমার মা কেমন অসহায় একা অনুভব করেছিল সেটা অনুভব করতে পারি। বেঁচে থাকার কোন কারণ কেন খুঁজে পান নি, কেন বেঁচে থাকতে চাননি বুঝতে পারছি।

হুমায়ূন আহমেদ তার তিন ডব্লিউয়ের শেষ পর্যন্ত লিখে গেছেন, "এখন মনে হয় শীলা বুঝে গেছে—পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছে। যেমন, তার বাবা।"

   

সাপের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের কামড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিনুর রহমান সাব্বির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।

সাব্বিরের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পদ্মার পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ সাব্বিরকে কামড় দেয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে দ্রুত সাব্বিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

;

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;

জবিতে বাড়ল একাডেমিক ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ডকুমেন্টস/সেবাসমূহের ফি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-তম সিন্ডিকেট সভায় সেবাসমূহের ফি বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদ, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ানো করা হয়েছে। মূল সনদের ফি ছিল ৪০০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৬০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদের সংশোধন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

অনার্স-মাস্টার্সের সাময়িক সনদ ও সংশোধন ফি পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০ টাকা এবং দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাময়িক সনদ ও সনদের সংশোধনের ফি ছিল ২৫০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৩০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

অনার্সের ট্রান্সকিপ্টে পূর্বের নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা এবং মাস্টার্সের ফি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনার্স-মাস্টার্সের সেমিস্টার গ্রেডশীট ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে তবে ফাইনাল গ্রেডশীটে ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। সেটি পূর্বের নির্ধারিত ২৫০ টাকা রয়েছে।

অনার্স-মাস্টার্সের নম্বরপত্র ও নম্বরপত্র সংশোধনের ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রবেশপত্রের দি-নকল ও সংশোধনের ফি যথাক্রমে পূর্বের নির্ধারিত ২০০ টাকা ও ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রের ফি পূর্বের নির্ধারিত ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় উন্নীত করেছে।

দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সামরিক, আধাসামরিক প্রতিষ্ঠানের ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।

বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রেরণ করা যাবে বিনামূল্যে তবে ডাকযোগে প্রেরণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ ইউএস ডলার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে ডকুমেন্টস সিলগালা করণের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও সকল প্রকার জরুরি সেবার ফি পূর্বের নির্ধারিত ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফি বৃদ্ধির কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

;

হালনাগাদ হয় না জবির ওয়েবসাইট! পুরনো ম্যাপে বিভ্রান্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।

ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।

আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।

এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।

ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।

টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।

;