চা-শ্রমিক মা ও সন্তানের হার না মানা জীবনের গল্প!



আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চা শ্রমিক মা কমলির সঙ্গে  সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন

চা শ্রমিক মা কমলির সঙ্গে সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মানুষ তাঁর স্বপ্নের বড়, স্বপ্ন মানুষকে লক্ষ্যের পানে ছুটতে যেমনটা তাড়না যোগায় তেমনি সবশেষ সেই স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে স্বপ্নিক মানুষটির গ্রহণযোগ্যতাও বেশ বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিকালে চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির একটি আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনের জের ধরে ধরে মা ও ছেলেকে নিয়ে এক করুণ গল্প গাঁথা স্ট্যাটাস নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।

স্ট্যাটাস দেওয়া সেই যুবক সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন। যার জীবনের একটি বড় অংশ চা বাগান নিয়ে গল্প ছিল, যে গল্প জুড়ে ছিল মজুরি ও নানা বঞ্চনার গল্প। কিন্তু চা শ্রমিক মায়ের সন্তান সন্তোষ নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে আজ ব্যাংকার।

তবে জীবন সংগ্রামের এ যাত্রা কখনোই মধুর ছিল না সন্তোষ রবি দাস অঞ্জনের। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানে বাড়ি সন্তোষের। সালটি ১৯৯৬, ছয় মাস বয়সে বাবা সত্যনারায়ণ রবিদাসকে হারান সন্তোষ। স্বামী মারা যাবার পর, সন্তোষের মা কমলি রবিদাস কিভাবে কি করবেন, একদিকে ছোট ছয় মাসের সন্তোষ। নেমে পড়েন চা শ্রমিকের পেশায়।


 

দৈনিক ১৮ টাকা মজুরিতে চা বাগানে কাজ শুরু করেন কমলি। শুরু হয় এক সংগ্রামের জীবন যে গল্পের চরিত্র সন্তোষ ও কমলি। কিছু জীবনের গল্প রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। দুধের শিশু সন্তোষকে পটে করে দুধ খাইয়ে অন্যের কাছে রেখে শ্রমিকের কাজ করতেন কমলি। জীবন সংগ্রামী কমলি কষ্টের মধ্যে থেকেও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বুক ভরা স্বপ্নই বেঁধেছিলেন, হয়তো একদিন সুদিন আসবে সেদিনে এত কষ্ট থাকবে না।

সেই আশা থেকেই একমাত্র সম্বল ছেলে সন্তোষকে বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিলেন কমলি। ২০০৭ সালে বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণির পাঠ চুকিয়ে ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশনের লংলা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন কমলি রবিদাস। সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা সন্তোষকে পাঠাতেন মা কমলি। তা দিয়েই খাওয়া চালাতে হত সন্তোষকে। সেখান থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করেন সন্তোষ।

মাধ্যমিকের পর যেই কলেজে ভর্তি হবেন, তখন কমলি রবি দাসের স্বপ্নগুলো যেন অধরা হয়ে যাচ্ছিল। কারণ ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন, চারদিকে পাচ্ছিলেন না কোন সাহায্য। তবু হাল ছাড়েন নি কমলি। চা–বাগানের কাজের ফাঁকে ফাঁকে মানুষের বাড়িতে কাজ করা শুরু করলেন। তাতেও যখন কুলাচ্ছিল না, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হয়ে ঋণ নিয়ে বসলেন কমলি। ছেলে সন্তোষকে ভর্তি করান শমশেরনগরের বিএএফ শাহীন কলেজে, সেখানে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সন্তোষের। সন্তোষ বলেন, “সে সময় যখন টিফিন খাওয়ার জন্য বাহিরে যেত। আমি রুমের মধ্যে বসে থাকতাম। কারণ টিফিন খেতে গেলে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হত।”

সেখান থেকে নানান ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে অভাবের মধ্য থেকে চলে আসল এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন। কমলির হাতেও তখন টাকা ছিল না, সেই সময় মা কমলি পঞ্চাশ টাকার একটি নোট ধরে দিয়েছিলেন, বলে জানায় সন্তোষ। শেষ-মেশ এক শিক্ষকের সহায়তায় এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। ২০১৫ সালে শমশেরনগরের বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন সন্তোষ রবিদাস।


জীবন চলার পথে বাঁধা যেন মা কমলি ও সন্তান সন্তোষের পিছু কখনোই ছাড়ে নি। মেধাবী সন্তোষ যেই মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে কোচিং-এ ভর্তি হবেন। তখনও আবার এক মোটা অঙ্কের টাকার বাঁধ সাধে। ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি নিতে সন্তোষকে সিলেটে পাঠান মা কমলি রবি দাস। সঙ্গে কমলির আবার যুক্ত হল অতিরিক্ত পরিশ্রম। চা শ্রমিকের পাশাপাশি কাজ নিলেন মাটি কাঁটার। চা বাগানে কাজ করার মজুরি হিসেবে সেসময় ১০২ টাকা এবং অন্যান্য কাজের পারিশ্রমিক হিসেবেসব মিলিয়ে ৩০০ টাকা পেতেন দৈনিক কমলি রবি দাস।

মায়ের কষ্ট বৃথা যেতে দেয় নি সন্তোষ। শেষমেশ সকল প্রতিবন্ধকতাকে তুঙ্গে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান সন্তোষ। সেই গ্রামের মানুষ, এলাকার বিত্তশালী সকলে টাকা উঠিয়ে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের মার্কেটিং বিভাগে। সাম্প্রতিককালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন সন্তোষ।

বর্তমানে দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন সন্তোষ। জানা যায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই সন্তোষের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকে চাকরি পেলেও সন্তোষ নিজেকে দেশ ও জনগণের সেবাতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। তিনি জানান, আজ এতদূর আসার পেছনে যেমনটা চা শ্রমিকের টাকা রয়েছে। তেমনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের টাকা রয়েছে এতদূর পর্যন্ত আসাতে। তাই জনগণের জন্য কাজ করে যেতে, বিপদে-আপদে পাশে থাকতে সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যেতে চান সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন।

পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের নিজ উদ্যেগে প্রতিষ্ঠা করেছেন “একটি বিদ্যার্থীর দৃষ্টি সংঘ” নামক একটি সামাজিক সংগঠন। ২০১৩ সাল থেকে চলা ওই সংগঠনটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাল্যবিবাহ রোধ, ধর্মীয় রীতিনীতি শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করছে। নিজ বাগানের প্রায় ৮৫ জন শিক্ষার্থীদের ওই সংগঠনের উদ্যোগে পড়াচ্ছেন। ভবিষ্যৎ বড় পরিসরে কিছু করার চিন্তা রয়েছে সন্তোষের, তার মত পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের পাশে সব সময়ই থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন জীবন যুদ্ধের এই লড়াকু সৈনিক।

   

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;

জবিতে বাড়ল একাডেমিক ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ডকুমেন্টস/সেবাসমূহের ফি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-তম সিন্ডিকেট সভায় সেবাসমূহের ফি বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদ, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ানো করা হয়েছে। মূল সনদের ফি ছিল ৪০০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৬০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদের সংশোধন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

অনার্স-মাস্টার্সের সাময়িক সনদ ও সংশোধন ফি পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০ টাকা এবং দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাময়িক সনদ ও সনদের সংশোধনের ফি ছিল ২৫০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৩০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

অনার্সের ট্রান্সকিপ্টে পূর্বের নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা এবং মাস্টার্সের ফি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনার্স-মাস্টার্সের সেমিস্টার গ্রেডশীট ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে তবে ফাইনাল গ্রেডশীটে ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। সেটি পূর্বের নির্ধারিত ২৫০ টাকা রয়েছে।

অনার্স-মাস্টার্সের নম্বরপত্র ও নম্বরপত্র সংশোধনের ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রবেশপত্রের দি-নকল ও সংশোধনের ফি যথাক্রমে পূর্বের নির্ধারিত ২০০ টাকা ও ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রের ফি পূর্বের নির্ধারিত ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় উন্নীত করেছে।

দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সামরিক, আধাসামরিক প্রতিষ্ঠানের ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।

বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রেরণ করা যাবে বিনামূল্যে তবে ডাকযোগে প্রেরণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ ইউএস ডলার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে ডকুমেন্টস সিলগালা করণের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও সকল প্রকার জরুরি সেবার ফি পূর্বের নির্ধারিত ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফি বৃদ্ধির কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

;

হালনাগাদ হয় না জবির ওয়েবসাইট! পুরনো ম্যাপে বিভ্রান্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।

ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।

আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।

এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।

ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।

টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।

;

৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন হওয়ায় আগামীকাল ৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষা কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে, বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ০৮ মে, ২০২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

;