নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার অভিযোগ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার অভিযোগ

নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙে দু’টি করবী ফুলের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ইন্সটিটিউটের পরিচালক বলছে, যা কিছু হচ্ছে নিয়ম মেনেই হচ্ছে।

সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটতে গেলে গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আরবরি কালচার সেন্টারকে অবগত করতে হয়। পরবর্তীতে তাদের তদারকি সাপেক্ষে গাছ কাটার বিষয়টি সম্পন্ন হয়ে থাকে। অভিযোগ উঠেছে গাছ দুটো কাঁটার ক্ষেত্রে এমন ব্যতয় ঘটেছে। জানা যায়, গত সোমবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়টির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং -র জায়গা বৃদ্ধিতে ওই গাছ দুটো কাঁটা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি মানস মন্ডল অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিচালক ভাষা ইনস্টিটিউটের সিএন্ডডি কমিটির অনুমতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির আরবরি কালচার সেন্টারকে অবগত না করেই তার একক সিদ্ধান্তে গাছগুলো কেটেছেন।

এদিকে গাছ দুটো কাঁটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শিশির মনির নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে গাড়ি পার্কিং বানানোর অজুহাতে কেটে ফেলা হয় ত্রিশ বছরের পুরনো দু’টি করবী গাছ। গাছ অক্ষত রেখে পার্কিং তৈরির চিন্তা কি করা যেতো না?

মারিয়াম মুন্নী নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, আমাদের ইন্সটিটিউটে পূর্বেও এই জায়গার গাছ কাটা হয়েছিল। এখন আবার পার্কিং এর জায়গা বরাদ্দ বলে ৩০ বছর পুরনো করবি গাছ (ফুল গাছ) কাটা হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক। গাছটা খুব সুন্দর দেখাতো।

এদিকে ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ও সিএন্ডডি সদস্য ড. সায়েদুর রহমান বলেন, পার্কিং বাড়ানোর জন্য অনুমোদন দিয়েছে ঠিক কিন্তু গাছ কাঁটার কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সব সময় একক সিদ্ধান্ত নেন, পরবর্তীতে সিএন্ডডি সদস্যদের উপর তা চাপিয়ে দেয়।

অধ্যাপক সায়েদুর আরও বলেন, ৩০ বছর বয়সী করবী গাছটির চোখের সামনে মৃত্যু ঘটেছে; ফুলে ভরা ছিল গাছটি। মুহূর্তের মধ্যে ফুলসহ কেটে ফেলা হল, সত্যি বিষয়টি মর্মান্তিক। এই মুহূর্তে আমাদের কোন পার্কিং -র প্রয়োজন ছিল না। তাছাড়া পার্কিং করা হলেও গাছগুলো থাকলে খুব একটা অসুবিধা হত না বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির বলেন, আমার একক কোন সিদ্ধান্তে কোন কিছুই হচ্ছে না। যা কিছু হচ্ছে সিএন্ডডি কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে হচ্ছে। তাছাড়া ভবন কাঠামো অনুযায়ী গাড়ির পার্কিং থাকে। সেই মোতাবেক পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে।

গাছ কাটার বিষয়ে অধ্যাপক রেজাউল করিম ফকির বলেন, এটা কে গাছ কাঁটা বলে না। বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়মিতই গাছ দুটো ছেঁটে দিচ্ছিল। বাকি শুধু কাণ্ড ছিল। তাছাড়া আরবারি কালচারের লোক এসেছিল বলে জানান অধ্যাপক রেজাউল করিম।

আরবারি কালচার ইনস্টিটিউটের ভাষা মঞ্চের নিকটের কড়ই গাছ কাঁটতে বলেছে এছাড়াও বৈদ্যুতিক খুঁটির চারপাশে কিছু গাছের ডাল ছাটাই করতে বলেছে এবং তারা (আরবারি কালচার) আমাদের চিঠি দিতে বলেছে, বলে জানান অধ্যাপক রেজাউল করিম ফকির।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টারের পরিচালক ও উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গাছ কাটতে গেলে আরবরি কালচার সেন্টারকে চিঠি দিতে হয় ৷ পরবর্তীতে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি ৷ কিন্তু আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে আরবরি কালচার সেন্টারে এ ধরনের কোনো চিঠি আসেনি ৷

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট গাছ কাটাটি বিশবিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কাটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মিহির লাল সাহা বলেন, যেহেতু গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের অবহিত করা হয়নি, কোন চিঠি আসেনি ৷ তাই বলা যায় গাছ কাটার কাজটিতে নিয়ম মানা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং বৃক্ষায়ণ ও সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ সামাদ৷ তিনি বলেন, গাড়ি রাখার জায়গা কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা যেত ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে গাছ কাটা ঠিক হয়নি ৷ আরবরি কালচার সেন্টারের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে আমরা খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ৷

   

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই



জবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিক (২৮) সহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রোববার (০৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক (২৮), দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার (২৭), তৃতীয় রিপন (২৮), চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় (২৮) এবং পঞ্চম হিমু (২৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিগণ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হতে বিরত থাকে। গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য করে তার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌঁছানো মাত্র ১নং আসামি মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিগণ বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামিগণ বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামি বাদীকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ১নং আসামি বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামি বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামিগণ বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামিগণ বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে, অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

যেহেতু আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে মারাত্মক আঘাত করে আহত করে এবং হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে ২ লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এবং বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে বাদী এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ, মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।

;

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;