দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙালেন ঢাবি উপচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার মান উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ৬ দফা দাবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ওই মেডিকেল সেন্টারে ৭২ ঘণ্টা অনশনে বসা শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্ম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অধ্যায়নরত ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিকে ডাবের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যেই কিছু দাবির বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বোলিত নতুন একটি ভবন দুই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে। এসময় তিনি রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শনিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলায় ৬ দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি তার পায়ের অসুস্থতা নিয়ে মেডিকেল সেন্টারের ভর্তি হতে উপযুক্ত সেবা না পেয়ে অনশন শুরু করেন।
গতকাল রবিবার (১০ এপ্রিল) রনিকে দেখতে গিয়ে তার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও। এসম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রনির দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
রনির দাবিগুলো হলো:
- মেডিকেল সেন্টারের এন্ট্রি পয়েন্টে ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন করা।
- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক লিফট, র্যাম্প, হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা।
- ৩. মেয়ে শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তীকালীন শারীরিক সমস্যার সব চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান।
- ৪. অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপন।
- ৫. অতিদ্রুত মেডিকেল সেন্টার কর্তৃক নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ও ক্যান্টিন স্থাপন নিশ্চিত করা।
- ৬. অতিদ্রুত হাইকমোড তথা হাইলি ডেকোরেটেড স্যানিটেশন সিস্টেমে টয়লেট, বাথরুম তৈরি করা।