মতিহার ক্যাম্পাসের ড. ফারুক



আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
ফারুক হোসাইন

ফারুক হোসাইন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফারুকের মৃত্যুর পর ২৬ দিন পেরিয়ে গেছে। অনিন্দ্য উত্তরবঙ্গের মতিহার ক্যাম্পাসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক হোসাইন গত ২৬ ডিসেম্বর মুম্বাই এর টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছে। এত দ্রুত সে চিরতরে চলে যাবে এমন ধারণা করতে পারিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলেও ফারুক আমার কাছে বাচ্চা ছেলে। দুই যুগ আগে ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে যশোরে ওদের বাড়িতে যখন পরিচয় হয়, তখন স্কুলের শেষ দিকে বা সবে কলেজে পা দিয়েছে। পরিচয় ও সম্পর্কের সূত্র ওর বড় ভাই হারুন জামিল। হারুনের বিয়ে উপলক্ষে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। হারুন ততোদিনে আমার পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে গিয়েছিল, এখনও তাই আছে। খোঁজখবর নেয়ার জন্য হোক, কোনো প্রয়োজনে হোক, যখন তখন হারুনকে ফোন করি। ফারুকের সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ না হলেও আমার ফোন করার সময়ে হারুনের সঙ্গে থাকলে কথা হতো।

শেষ কবে কথা হয়েছিল মনে নেই। ওর সঙ্গে কথা না হলেও হারুনের সঙ্গে যখনই কথা হয়েছে ব্যতিক্রম ছাড়া প্রতিবার ফারুকের প্রসঙ্গ এসেছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার আগে হারুনের বাসায় ওর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল, তখন সে সহকারী অধ্যাপক হয়েছে, তখন ওর স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় হয়েছিল। যখনই দেখা হতো হাসি-খুশি প্রাণবন্ত শিশুর মত কথা বলতো, যেন আমার কাছে ওর কোনো আবদার আছে। হাত ধরেই রাখতো।

২০১৯ সালের কোনো এক সময়ে হারুনের কাছেই জানতে পারি ফারুকের গলায় সমস্যা হয়েছে। টাটা মেমোরিয়ালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফারুকের সঙ্গেও কথা হয়, সমস্যা সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছিল, তাতে মোটামুটি একটা ধারণা করতে পারি। ওর ডাক্তাররা আশাবাদী চিকিৎসায় আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমে আমি ওর ভোকাল কর্ডে সিস্ট বা স্ফীতি ধরনের সমস্যা ভেবেছিলাম। এ জন্য মুম্বাই পর্যন্ত কেন যেতে হলো সে প্রশ্নও করেছিলাম। কারণ ঢাকায় এ ধরনের সমস্যায় নিরাময়ে ইএনটি সার্জনরা ভালো করছেন বলে শুনেছি, তা না হলে নাগালের মধ্যেই কলকাতা আছে।

সম্ভবত ওর সমস্যা আমি পুরোপুরি বুঝে ওঠতে পারিনি। আমি আমার নিজের ভোকাল কর্ডে সমস্যার মত ভেবেছিলাম, যে সমস্যা এখনও অনেক সময় অনুভব করি। শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, যখন  কথা বলার সময় আমার কণ্ঠস্বর একটু উঁচুতে ওঠলেই কয়েক সেকেণ্ডের জন্য কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে যেতো। ইএনটি’র ডাক্তার সালাহউদ্দিন দেখে দ্রুত তাঁর শিক্ষক সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইএনটি’র প্রফেসর আবদুল্লাহ’র কাছে পাঠান। তিনি পরদিন সার্জারির জন্য তাঁর চেম্বারে যেতে বলেন।

এসব বিষয় আমাকে তেমন উদ্বিগ্ন করে না। রাতে আমি স্ত্রীকে বলি কাল আমার ভোকাল কর্ডে সার্জারি হবে, কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার, সকালে আমার সঙ্গে যাওয়ার জন্য রেডি থেকো। সে হৈ চৈ বাঁধিয়ে। বাংলাদেশে এ ধরনের সার্জারিতে অনেক ঝুঁকি ইত্যাদি। খোঁজখবর না নিয়ে সার্জারি করতে দেবে না। আমাদের সুহৃদ ডাক্তার বন্ধু বুলবুল সরওয়ারকে ফোন করে। ডা. বুলবুল জানান, এ সমস্যা তারও হয়েছিল, কলকাতায় সিএমআরআই (ক্যালকাটা মেডিকেল রিসার্চ ইন্সটিটিউট)-এ ডা: মিলন চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে সার্জারির পর সুস্থ হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মিলন চক্রবর্তীর ফোন নাম্বার, সার্জারির ব্যয় কত হতে পারে এসব তথ্য সংগ্রহ করি। এরপর কলকাতায় গিয়ে সার্জারি করে আসি। বায়োপসি রিপোর্ট ‘বেনাইন’ বা ক্ষতিকর নয় আসে। বায়োপসি রিপোর্ট ‘মেলিগন্যান্ট’ বা ঘাতক হলেই চিকিৎসার মধ্যে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি ইত্যাদির আশ্রয় নিতে হয়, বহু ধরনের ওষুধ সেবন করতে হয়।   

ফারুকের ক্ষেত্রে বায়োপসি রিপোর্ট এসেছিল ‘মেলিগন্যান্ট’ এবং কষ্টকর ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হচ্ছিল। চিকিৎসার পর্যায়ে আরো একবার কথা হয়েছিল ফারুকের সঙ্গে। আশাবাদী ছিল সে। আমিও আশাবাদী ছিলাম যে ফারুক সেরে ওঠবে। তখন হয়তো সে জানতো না যে, ক্যান্সার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ছে। ক্যান্সারের সঙ্গে অনেক বছর ধরে লড়ে ভালোভাবে টিকে আছেন, কর্মময় জীবন কাটাচ্ছেন, এমন ক’জন ব্যক্তিকে কাছে থেকে দেখেছি। ফারুক তাদের একজন হতে পারতো, কিন্তু সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসার পর ফারুককে এত দ্রুত কেন হার মানতে হলো, তা আমাকে বিস্মিত ও স্তব্ধ করেছে। ফারুকের মৃত্যুর পর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমার পক্ষে হারুনকে ফোন করে সান্তনা জানানো সম্ভব হয়নি। দুই ভাইয়ের মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক ছিল, তাতে ফারুকের মৃত্যুতে হারুনের নিঃসঙ্গতা আমি অনুভব করতে পারি।

সবকিছু সত্বেও আমাদের শেষ পর্যন্ত মেনে নিতেই হয়, আমরা মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, ঠেকিয়ে রাখতে পারি না।  কোরআনে বলা হয়েছে: “কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মউত,” (প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে: আল-ইমরান, আয়াত ১৮৫)। যেভাবেই হোক মানুষকে মরতে হবেই। এই অধ্যায় থেকে কারও কোনো নিস্কৃতি নেই। মৃত্যু হঠাৎ আসে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলেও বোঝা যায় তার মৃত্যু আসন্ন। অনেক সময় মৃত্যু কোনো আভাস না দিয়েই আসে। সেজন্য জীবনের চেয়ে সম্ভাব্য মৃত্যুর প্রতিফলন অনেক শক্তিশালী এবং সেজন্য আমাদের উচিত বেঁচে থাকার মুহূর্তগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রাখা।

হযরত আলী (রা.) আমাদের এ পরামর্শই দিয়েছেন যে, মৃত্যুকে মনের মধ্যে এমনভাবে রাখতে হবে যেন আজকের দিনটিই আমাদের জীবনের শেষ দিন; আবার একই সময়ে আমাদের এমনভাবে বাঁচা উচিত যেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আরও হাজার বছর পড়ে আছে।

ফারুকের শিক্ষকতার জীবনে ওর মেধা ও যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থীকে ওর অনুরাগীতে পরিণত করতে পেরেছিল তা বোঝা যায় ওর মৃত্যুর পর কিছু শিক্ষার্থীর লেখা থেকে। প্রিয় শিক্ষককে হারিয়ে ওরা একজন অভিভাবককে হারিয়েছে। হারুনের কাছে শুনেছি, ফারুকের জানাজায় কত শিক্ষার্থী এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। একজন ভালো মানুষের এটাই প্রাপ্তি। ফারুকের আত্মা এ দৃশ্যে নিশ্চয়ই পরিতৃপ্তি লাভ করেছে।

কবি আল্লামা ইকবালের একটি ফারসি কবিতার দুটি লাইন হচ্ছে: “নিশান-এ-মর্দ-এ মোমিন বা তু গ্যয়াম/চুন মার্গ আয়াদ, তাবাসসুম বর লব-এ-ওস্ত,” (বলতে পারো, বিশ্বাসী মানুষের চিহ্ন কী?/মৃত্যু যখন তার কাছে আসে, তখনও তার ঠোঁটে লেগে থাকে হাসি।) মহান আল্লাহতা’য়ালা ফারুককে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক, বিশিষ্ট অনুবাদক।

   

চবির শীর্ষ ৮ পদে আসছে পরিবর্তন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শীর্ষ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এবার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ গ্রেডের আটটি পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। পদগুলো হলো- রেজিস্ট্রার, গ্রন্থগারিক, হিসাব নিয়ামক, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), চিফ মেডিকেল অফিসার এবং পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা বিভাগ)।


বিজ্ঞাপিত পদগুলোতে আবেদনকারীদের সনদপত্রাদিসহ ১০ সেট দরখাস্ত আগামী ১০ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন- গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদগুলোতে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে পদগুলোতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শীর্ষ এই আটটি পদেই রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০২২ সালে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালকসহ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব প্রদান না করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার এই নির্দেশনা আমলে না নিয়ে চলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের দায়িত্ব নিয়েই পদগুলোতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

;

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে দু'পক্ষের মারামারি, আহত ২



Rasel
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খাবার হোটেলে এক ছাত্রের জামায় তরকারির ঝোল গায়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হোসেন জারিফ ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের হোসাইন রণি তার বন্ধু ও বড় ভাইদের ডাকলে তাদের সাথে মারামারি হয়। এতে আহত হয় ২ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম আহমেদ তরকারি নেয়ার সময় জারিফের গায়ে ঝোল পড়লে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এসময় বন্ধু সিয়ামের পক্ষে এগিয়ে আসেন রণি। তাদের মধ্যে আবার তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে জারিফকে মারার উদ্দেশ্যে রণি তার বন্ধুবান্ধব ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কর্মী তাহসিন আজাদসহ অন্যান্য বন্ধুদের জিয়া মোড়ে ডেকে আনে। পরে জারিফ তার সাদ্দাম হোসেন হলের বড় ভাই ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খানকে ডাকলে দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি শিমুল খান ও রতন রয় সমাধানের উদ্দেশে রণিকে ডেকে চড় থাপ্পড় দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোবায়ের হোসেন রণি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রতন রয়ের অনুসারী। অন্যদিকে মারুফ হোসেন জারিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের অন্য সহ-সভাপতি শিমুল খানের অনুসারী।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী জোবায়ের হোসেন রণি বলেন, আমি ভাইকে চিনতে পারিনি। গায়ে ঝোল পড়া নিয়ে ভাই আমার মা-বাবা ধরে গালি দেয়, এজন্য কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে মারুফ হোসেন জারিফ বলেন, নামাজ পড়ে যখন খাইতে বসলাম, তখন পাশে এক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ও যখন খাবার নিচ্ছিলো, তখন আমার গায়ে একটু ঝোল পড়ে। তখন আমি তাকে বলি সিনিয়রদের গায়ে ঝোল পড়লে একটু স্যরি-টরি বলতে হয় জানো না। তখন সে আমাকে স্যরি বলে। কিন্তু তখনই তার পাশে থাকা রণি আমাকে এসে বলে, কী ব্যাপার ভাই, আপনি এভাবে ব্যবহার করছেন কেন? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে মারার জন্য উদ্যত হয়। তখন সিনিয়র হিসেবে আমি বাসন নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। তখনও মা বাবা নিয়ে গালি দেয়। তারপর দোকান থেকে চলে এসে শিমুল ভাইকে বিষয়টা জানাই। ঐদিক থেকে জিয়া মোড়ে দাঁড়িয়ে রণি বলে, 'আসো, সামনে আসো, দেখি কী করতে পারিস!' তখন কিন্তু শিমুল ভাইও ছিল। তখন শিমুল ভাইয়ের সামনে আইসা বলতেছিল (রণি), ভাই, কুষ্টিয়া যাওয়া লাগবে না? এরপর ভাইয়েরা বিষয়টা সমাধান করে দেন।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খান বলেন, জুনিয়ররা তখন সিনিয়রদের হয়তো চিনতে পারে নাই, তাই একটু ঝামেলা হয়েছিলো। পরে আমরা বিপুল ভাইয়ের উপস্থিতিতে বিষয়গুলো সমাধান করেছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর প্রভাষক মো. ইয়ামিন মাসুম বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যা আমাদের নজরে পড়ে না। আপনাদের নজরে যেহেতু পড়েছে, সুতরাং দু'পক্ষের কোনো একপক্ষ অভিযোগপত্র দায়ের করলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিতে পারে। ঘটনা যেহেতু আজকে বন্ধের দিনে, অফিস টাইমে হয়তো অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এখনও সুযোগ আছে। তারপরও অফিস টাইমে প্রক্টরের সাথে আলাপ করে দেখতে পারি।

;

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ফেরার দিন। তিনি দেশে ফেরত আসার মধ্য দিয়ে এদেশে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপামর জনতা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। সেদিন থেকে তার পথচলা এখনো থামেনি। তিনি এসেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে স্বৈরাচারের পতন করেছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, সমুদ্র সীমা জয় করছেন, আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষ করে আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে পা রাখেন। তাই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। পাশাপাশি তিনি দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানুষকে ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরেই তিনি জন মানুষের ভরসার জায়গায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং তার হাত ধরে আজকে দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।

এসময় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, শিমুল খান, রতন রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ছাত্রলীগের নানা আয়োজন থাকে এই দিনে। 

;

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;