জাবির ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নতুন মানবন্টন প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৭-১৮ নভেম্বরের মধ্যে এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

রেজিষ্টার অফিস জানায়, ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে ডিনদের নিকট সময়সূচি পাঠানো হয়েছে। এরপর এ সূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাক্ষর করলে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। তবে এ সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ভর্তি পরীক্ষার এই সূচি অনুযায়ী, রোববার ও সোমবার (০৭ ও ০৮ নভেম্বর) এ ইউনিটের অধিনে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ, মঙ্গল ও বুধবার ‘ডি’ ইউনিটের অধীনে জীববিজ্ঞান অনুষদ, বৃহস্পতিবার 'এইচ' ইউনিটের অধীনে আইআইটি এবং ‘জি’ ইউনিটের অধীনে আইবিএ।

পরের সপ্তাহের রোববার ‘বি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, সোমবার ‘এফ’ ইউনিটের অধীনে আইন অনুষদ, ‘আই’ ইউনিটের অধীনে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, মঙ্গলবার ‘ই’ ইউনিটের অধীনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ‘সি-১’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ‘সি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিকী অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক দিনের পরীক্ষা ৫ শিফটে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রতি শিফটে ৪৫ মিনিট করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি সূত্র জানিয়েছে, ‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ): গণিত ১৬, পদার্থবিজ্ঞান ১৬, রসায়ন ১৬, বাংলা ৩, ইংরেজি ৩ এবং সাধারণ জ্ঞান ৬ নম্বর।

বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ): বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, গণিত ১০, সাধারণ জ্ঞান ২০ এবং বুদ্ধিমত্তা ১০ নম্বর। 'সি' ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ: নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ ব্যতীত) বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং বিষয়ভিত্তিক ৩০ নম্বর।

সি-১ ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ: নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ): বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব ২০ এবং চারুকলা ২০ নম্বর। 'ডি'

ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ): বাংলা ৩, ইংরেজি ৩, বুদ্ধিমত্তা ৩, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৬, প্রাণিবিদ্যা ১৭ এবং রসায়ন ১৮ নম্বর।

ই ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ): ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বাংলা ১১, ইংরেজি ২০, গণিত ১১, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১৫ নম্বর। বিজ্ঞান/মানবিক/সমমান শাখা: বাংলা ১১. ইংরেজি ২০, গণিত ১১ ও সাধারণ জ্ঞান ১৫ নম্বর। (গণিত, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নপত্রের মাধ্যম হবে বাংলা)

এফ ইউনিট (আইন অনুষদ): বাংলা ২০, ইংরেজি ২০ এবং সাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতা ২০ নম্বর। 'জি' ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন, আইবিএ-জেইউ) বাংলা ৫, গণিত এবং আইকিউ ২০, সম-সাময়িক বিষয় ১০ ও ইংরেজি ২৫ নম্বর। 'এইচ' ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, আইআইটি) বাংলা ৫, ইংরেজি ১০, গণিত ৩০ এবং পদার্থবিজ্ঞান ১৫ নম্বর।

আই ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট): বাংলা ১১, ইংরেজি ১১, বিশ্বসাহিত্য ৮. সংস্কৃতি, নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, নৃজাতিগোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান ৩০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের চেয়ে এবার ৫১ হাজার ৯৮৪ শিক্ষার্থী কম আবেদন করেছে। এ বছর এক হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ সাত হাজার ৯৭৮টি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে।

   

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম কুষ্টিয়া
ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ এবং একই বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন

এছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে

ভুক্তভোগী তাহমিন ওসমান বহিষ্কারারের বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। যে দুইজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে তারা এগ্রেসিভভাবে র‍্যাগ দিয়েছিলো। বাকিরাও জড়িত ছিলো, কিন্তু তারা এক্সট্রিম পর্যায়ের না। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া পরিবেশ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা সহাবস্থানে একে অপরের সহযোগিতা করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শিক্ষাবান্ধব এবং র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি

প্রসঙ্গত গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই ওই তিন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়

এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরেরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করতে গিয়ে উভয় কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়

;

কুবিতে ফুটবলের ফাইনাল শেষে প্রক্টর-খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তঃ বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সময় শিক্ষার্থী ও উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে পরিস্থিতি বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে ২-০ গোলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হারার পর ম্যাচ রেফারির দিকে তেড়ে যায়। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাতে থাকে।

তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি তারা রেফারির সঙ্গে ‘সেল্ফি’ তুলে স্লেজিং করার উদ্দেশ্যে রেফারির দিকে একযোগে যাচ্ছিল। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইন বিভাগের ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হাসান বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। রেফারির আচরণ অন্যরকম মনে হয়েছে এবং দর্শকদের চোখেও এটি লেগেছে। এজন্য সবার মন খারাপ ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ করে কথা কাটাকাটির মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত স্যার এসে হয়তো থামানোর চেষ্টা করেছেন। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেমন যেনো বিষয়টি উলটপালট হয়ে গেছে।

প্রক্টরদের কেউ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্টর স্যার ঘটনাটি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলেন। যেন ঝামেলা না লাগে। প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিয়েছে এমন ঘটনা দেখিনি। বরং তিনি চেষ্টা করেছেন থামানোর জন্য।

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজকে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভূত হয়েছে তা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে আমরা কোনো ভেদাভেদ চাই না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেভাবেই নিচ্ছে। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের ওপর হাত তুলেছেন তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের মারধর করেছেন এখনো কেউ আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যারা এসব ছড়াচ্ছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিল।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্ব পালন করতে মাঠে গিয়েছিলাম। আইন বিভাগ হেরে যাওয়ার পর তারা উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যায়। আমরা যারা প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্বে ছিলাম তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। এরমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমি দুইবার পড়ে গিয়েছি। কেউ হয়তো ধাক্কা দিয়েছিল আমাকে। সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে কাজ করেছেন। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

;

চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল

চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কৃতি সন্তান ড. এস এম রফিকুল আলম সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭:৫০ মিনিটের ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চবি আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ।

অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম রোববার (১ অক্টোবর) রাতে স্ট্রোক করলে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তিনি মারা যান।

অধ্যাপক নেয়ামত বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) তিনি পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। হাসিখুশিভাবে সবার সাথে কথা বলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে চবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ী বাঁশখালী উপজেলার শিলকোপ-এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার নাফিজ মিনহাজ বাশঁখালীবাসীর পক্ষে মরহুমের মাগফেরাতের জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন।

চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলমের আকস্মিক মৃত্যুতে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আবদুল হক, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজউদৌলাসহ অনেকে
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ বাংলাদেশ (সিসিআরবিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ শোক প্রকাশ করে বলেন, ড. এস.এম. রফিকুল আলম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী, সহজ-সরল, জ্ঞানপিপাসু ও প্রচারবিমুখ একজন শিক্ষক। শিক্ষকতা জীবনে তিনি যে মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত রেখেছেন, তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে চবি পরিবার।

;

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান চালু



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রবর্তন করেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরআগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় ছুটির বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিতে প্রচলিত সকল ছুটির সঙ্গে ১৫ দিনের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রণীত হয়েছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা এবং রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী উপস্থিত ছিলেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকগণ পাঠদান করছেন। পাশাপাশি তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। তাদের সন্তানদের দেখাশুনার জন্য আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি আমলে নিয়েছে।

তিনি বলেন, একজন সন্তানের কাছে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক বাবার ভূমিকাও তেমনই। এই দিক বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যারা নব্য বিবাহিত তারা সর্বোচ্চ দুবার পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

শাহ্ আজম আরও বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান থাকার ফলে মায়ের পাশাপাশি পিতাও সন্তানকে দেখাশোনার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগটি তাদের উদ্বেগজনক অবস্থা মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণা হিসাবে কাজ করবে। যার ফলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অধিক মনোযোগী হবে, যা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক লক্ষ্য অর্জনে অগ্রসর হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও উক্ত সিন্ডিকেট সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদিত হয়েছ। প্রণীত শৃঙ্খলা বিধি শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উপাচার্য।

;