নারায়ণগঞ্জে পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং থেকেও নেই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ শহরে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য আধুনিক ও নিরাপদ জেব্রা ক্রসিং নেই। নগরের ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কে পথচারীদের স্বস্তিতে চলাচল ও যাতায়াতের উদ্দেশে জেব্রা ক্রসিং তৈরি করা হলেও বর্তমানে তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

ব্যস্ত রাস্তায় পথচারীদের পারাপারের জন্য সাদা-কালো ডোরা চিহ্নিত নির্দিষ্ট অংশ জেব্রা ক্রসিং নামে পরিচিত। তদারকি ও ব্যবহারে অসচেতনতায় জেব্রা ক্রসিং ছাড়াই পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে পার হন। চালকরা খোদ জেব্রা ক্রসিংয়ে বাস থামিয়ে যাত্রী তুলেন। আবার কখনো গাড়ি চালকরাও জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে গাড়ি থামান না। জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারী পার হতে দেখেও দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে যান চালকরা। যার ফলে জেব্রা ক্রসিংয়ে সড়ক পারাপারের সুবিধা কোনো অংশেই পান না পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই।

নগরীর চাষাঢ়া চত্বরের চারপাশে ৩টি পয়েন্টে জেব্রা ক্রসিং রয়েছে। আর তা হলো- সোনালী ব্যাংক হতে শহীদ মিনার ও খাজা সুপার মার্কেট হতে সুগন্ধা বেকারি, বায়তুল আমান ভবন থেকে আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার পর্যন্ত। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে, কালির বাজার ব্যাংকের মোড়, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, দুই নং রেলগেট সংলগ্ন চত্বরে, ডিআইটি আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনের সামনে। নগরীর জিমখানা মোড়ে গত বছরের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর না পেরুতেই জেব্রা ক্রসিংয়ের রং হালকা হয়ে গেছে। পথচারীসহ চালকদের চোখেই পড়ে না জেব্রা ক্রসিং। সাধারণ নিয়মে জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে সাদা দাগের সামনে গাড়ি থামতে হবে। কিন্তু সে নিয়ম মানেন না কেউই। সড়কে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরাও এ নিয়ে মাথা ঘামান না।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কে নির্মিত একাধিক জেব্রা ক্রসিংয়ের সাদা রং হালকা হয়ে গেছে। আবার কয়েকটি পয়েন্টে জেব্রা ক্রসিংয়ের রং প্রায় উঠেই গেছে। বেশিরভাগ পয়েন্টে জেব্রা ক্রসিংয়ের উপরেও দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। নামে মাত্র জেব্রা ক্রসিং থাকলেও সিগনাল দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো সিগনাল দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় জেব্রা ক্রসিং মানতে বাধ্য করতে পারে না ট্রাফিক পুলিশ। জেব্রা ক্রসিংয়ের কাছাকাছি এলে গাড়ির গতি কমানোর নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ চালক তা মানেন না।

কলেজছাত্রী শবনম বলেন, ‘স্বাভাবিক ভাবেই আমি একজন পুরুষের মতো দৌড়ে রাস্তা পার হতে পারব না। সেজন্য জেব্রা ক্রসিং আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে জেব্রা ক্রসিং থাকলেও এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।’

চাষাঢ়া আমান ভবনের সামনের জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর কাভার্ড ভ্যানসহ একাধিক যানবাহন ট্রাফিক সিগনালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়ালে পুলিশ কিছু বলে কিনা জানতে চাইলে হেসে এক চালক বলেন, ‘ পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু বলে না। মাঝে মাঝে নিজে থেকেই দাঁড়াই। আজকে তাড়া আছে, তাই খেয়াল করি নাই। রংও অনেকটা উঠে গেছে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন বলেন, ‘জেব্রা ক্রসিং মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চালক ও পথচারীদের সচেতনতা জরুরি। অবৈধ পারাপার বন্ধে কাঁটাতার দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চালকদের সচেতন হবার জন্য একাধিকবার আমরা মালিকদের অবগত করেছি। তবে জেব্রা ক্রসিংয়ের রং উঠে গেলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন রং করে দেব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;