অরণ্য রক্ষায় রাঙামাটিতে ২৭২ বন মামলা



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে থাকা পাহাড়ি বনাঞ্চলের গাছ চুরি হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। বন উজাড় হওয়া থেকে শুরু করে গাছ পাচার নিয়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি কমতে শুরু করেছে পাচারের হার।

গাছ চোর ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় পার্বত্যাঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও প্রাকৃতিক এবং ব্যক্তিগত বনগুলোতে বিগত কয়েক দশকের লুটপাটের মহোৎসব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কমে এসেছে। আইনি ব্যবস্থা এবং ধারাবাহিক অভিযান পাচারকারীদের থামতে বাধ্য করছে বলে দাবি বনবিভাগ সূত্রের।

বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ মতে, রাঙামাটির আদালতের মাধ্যমে অন্তত দেড় শতাধিক আসামি বনজ সম্পদ ধ্বংসের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেছে। তারমধ্যে একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানও রয়েছেন।

রাঙামাটিস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিগত সোয়া এক বছরে রাঙামাটি জেলাধীন বনাঞ্চলগুলোতে সংঘবদ্ধ কাঠচোর ও বনবিভাগের জমি অবৈধ দখলকারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ অন্তত ২৭২টি মামলা রুজু করার পাশাপাশি প্রায় আড়াই কোটি টাকারও অধিক অর্থ রাজস্ব আদায় করেছে।

এছাড়াও অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অন্তত ২৫ একর জমিও উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জার মো: মোশারফ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, রাঙামাটির আদালতে ২৬০টি মামলা চলমান। এছাড়া ঢাকায় উচ্চ আদালতে সিভিল কোর্টে চলমান ১০টি রিট পিটিশন ও ২টি সিভিল স্যুট মামলা। বিগত ছয় মাসে দক্ষিণ বনবিভাগের মাধ্যমে ৮২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তারমধ্যে ৬০টি মামলায় অন্তত দেড় শতাধিক আসামির সাজা হয়েছে। বনবিভাগের এই ধরনের সফলতা বিগত বছরগুলোতে আর কখনো দেখা যায়নি।

এদিকে রাঙামাটির আদালতে বনবিভাগের পক্ষে মামলা দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ডিসেম্বরে ১৬টি, জানুয়ারিতে ১৩টি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯টি মামলা। সদর রেঞ্জেই বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার বিপরীতে সাজা হয়েছে ৪৯ জনের।

২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ৬ মাসে প্রায় ১০ হাজার ঘনফুট সেগুন, গামারী ও কড়ই প্রজাতির কাঠ ও ১৫টি ইঞ্জিন চালিত বোট ও মিনিট্রাক আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে অবৈধ কাঠ পাচার রোধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৩ হাজার ঘনফুট সেগুন, গামারী ও কড়ই প্রজাতির কাঠ জব্দ ও ২০টি ইঞ্জিন চালিত বোট ও মিনিট্রাক আটক করে দক্ষিণ বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ।

বন বিভাগের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, আমি কোর্টে মামলা চালানোর দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র ছয় মাস হলো। এই ছয়মাসে ৬০ মামলায় প্রায় দেড় শতাধিক আসামির সাজা আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী অনেকেই রয়েছে।

তিনি জানান, আমি চাকুরি জীবনে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকুরি করেছি। কিন্তু একমাত্র রাঙামাটিতেই কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বা বড় ধরনের কোনো চাপ পাইনি। এখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে শুরু করে আমাদের বনবিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। যার ফলে সরকারি বনাঞ্চল ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা, তাদের ধরে আদালতে সোপর্দ করা থেকে শুরু করে মামলাগুলো সুষ্টভাবে পরিচালনা করে আদালতকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিতে পেরেছি। সেই আলোকে আদালত আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের অনেক বাসিন্দা বিগত দিনগুলোতে তেমন একটা সহযোগিতা করতোনা, কিন্তু বর্তমানে বনবিভাগের ব্যাপক সচেতনতামূলক ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে মানুষের মাঝে সচেতনতা পূর্বের চেয়ে অনেকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আমরাও সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য স্থানীয়দের কাছ থেকে পাচ্ছি। সেই মোতাবেক স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বন ধ্বংসকারি চক্রের সদস্যদের হাতেনাতে ধরতে পারছি এবং তাদের শাস্তিও নিশ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়দের মাঝে নিজেদের সম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি যতবেশি হবে পাহাড়ের বনজ উজাড় হওয়া থেকে ততো বেশি রক্ষা পাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;