ডাক আছে ঘর নাই



মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর
রঘুনাথপুর ডাকঘর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রঘুনাথপুর ডাকঘর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুর জেলায় দেড় শতাধিক ডাকঘরের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। এসব ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে দোকানপাট, সরকারি বিভিন্ন পরিত্যক্ত কক্ষে, নিজস্ব টাকায় ভাড়া করা ঘরে। ফলে স্থানীয় লোকজন ডাকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

চাঁদপুর পোস্ট অফিসের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলা দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি চাঁদপুর সদর শাখা ও অন্যটি হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা। দুইটি কার্যালয় থেকে উপ-শাখাগুলো পরিচালিত হয়। চাঁদপুরের ৯৮টি ও হাজীগঞ্জে ১০১টি ডাকঘর পরিচালিত হয়ে আসছে। যেমন- হাজীগঞ্জ কার্যালয়ের অধীনে হাজীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ১৬টি ডাকঘর, বলাখাল শাখার মাধ্যমে ১৩টি ও কচুয়া শাখার মাধ্যমে ১৩টি ডাকঘর পরিচালিত হয়। ওইসব ডাকঘরগুলো অধিকাংশের নির্দিষ্ট কার্যালয় নেই। পোস্ট মাস্টাররা নিজ বাসভন, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফেরারী হয়ে, সরকারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

সরেজমিনে কচুয়া-হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী রঘুনাথপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ডাকঘরটি অকেজো হয়ে রয়েছে। তবে সেখানে একজন পোস্টমাস্টার, পোস্টম্যান ও রানার নিযুক্ত আছেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা ডাকঘর

রঘুনাথপুর বাজার ডাকঘরে পোস্টম্যান হিসেবে ত্রিশ বছর দায়িত্ব পালন করছেন শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, একটা ইন্টারভিউ কার্ড আসলে খুব কষ্ট পাই। ঠিকমতো পৌঁছাতে পারি না। রঘুনাথপুর বাজারে দ্রুত ডাকঘরের নির্দিষ্ট কার্যালয় হলে এলাকার মানুষ খুবই উপকৃত হবে। এই ডাকঘরে ১৭টি গ্রামের মানুষের চিঠিপত্র, মামলা-মোকাদ্দমার কাগজপত্র আসে।

রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, রঘুনাথপুর বাজারটি খুবই জনবহুল একটি বাজার। এখানে পোস্ট অফিসের অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি।

রঘুনাথপুর ডাকঘরের অধীনে কচুয়া উপজেলার কাদলা, দেবীপুর, বরৈগাঁও, মুরাদপুর, নোয়ার্দ্দা, তেগুরিয়া, শাশনখোলা, আয়মা, হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপাল্লা, ফিরোজপুর, সাতবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর, মহব্বতপুর, সিহিরচোঁ গ্রামের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

হাজীগঞ্জ শাখার অধীনে রয়েছে টঙ্গীরপাড়, বলিয়া বাজার, ধড্ডা, পাতানিশ, কালচোঁ, সুহিলপুর, আলীগঞ্জ, উয়ারুক, আহাম্মদপুর, বড়কুল, পালিশারা, কাশিমপুর, সেন্দ্রা, ঘনিয়া, মনতলা, চৌধুরী বাজার প্রমুখ।

ডাকবাক্সের বেহাল দশা

এ প্রসঙ্গে ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া বলেন, ডাকঘরের জন্য স্থায়ী সম্পত্তি না থাকায় ভবন করা যাচ্ছে না। রঘুনাথপুরের ডাকঘরটি ব্রিটিশ আমলের ডাকঘর। এই ডাকঘর পুনরায় সচল করা প্রয়োজন।

গ্রামাঞ্চলের ডাকঘরগুলোতে ঘর না থাকা প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সরদার আবুল বাসার বলেন, ডাকঘরগুলোর নিজস্ব ভবন নেই। রঘুনাথপুরের মতোই জেলার অধিকাংশ ডাকঘরের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। ডিজিটাল ডাকঘরের ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালিত করতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন করা খুবই জরুরি।

কচুয়া শাখার পোস্টমাস্টার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শাখা ডাকঘরগুলোর কার্যক্রম ও সেবা গ্রহীতার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও নিজস্ব ভবন না থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

হাজীগঞ্জ কার্যালয়ের পোস্ট মাস্টার কেফায়েত উল্লাহ ও সহকারী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের নিজস্ব কার্যালয় নেই। নেই চেয়ার-টেবিল। অন্যের দোকানে রাজস্ব, ডাকটিকিট, খাম বিক্রি করছি।

বাংলাদেশ পোস্টাল ইডি কর্মচারী ইউনিয়ন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এ বিএম হানিফ মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বেতন বৃদ্ধি ও উৎসব ভাতার দাবির পাশাপাশি গ্রামীণ ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে আন্দোলন করে আসছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের বরাবর ১০ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক কাঞ্চন সাহা বলেন, পোস্ট অফিসের শাখা অফিসগুলোতে কেউ তিন শতাংশ সম্পত্তি অনুদান দিলেই আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে থাকি। বিষয়টি কুমিল্লা আঞ্চলিক পোস্ট অফিস তদারকি করছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;