অসহায়দের পাশে জার্নি অফ ইউনিটি



মো. নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
অসহায় মানুষদের পাশে জার্নি অফ ইউনিটি, ছবি: বার্তা২৪.কম

অসহায় মানুষদের পাশে জার্নি অফ ইউনিটি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'জার্নি অফ ইউনিটি'। সমাজের অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। অসহায়দের সাহায্যের পাশাপাশি করে যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজ। জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে গড়ে তুলেছে সংগঠনটি।

জানা যায়, ২০১৯ সালের নভেম্বরের দিকে দশজন সদস্য নিয়ে সংগঠনটি তাদের যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ। শীতে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ, ভালোবাসা দিবসে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়া, বিভিন্ন দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচালনা করছে আসছে এই 'জার্নি অফ ইউনিটি' সংগঠনটি।

গেল বছরের ৩ নভেম্বর নিজেস্ব অর্থায়নে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি কম্বল বিতরণ, ১০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুদানে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫৫ জন অসহায় দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ, ২১ ডিসেম্বর আবারো জেলা প্রশাসকের অনুদানে আকচা ইউনিয়নে ৬০টি কম্বল বিতরণ, চলতি ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ছিন্নমূল শিশুদের পাশে দাঁড়ানো, একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি জানানোসহ ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরের লিভিংস্টোন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি।

তাদের এই কার্যকলাপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ মামুন। সেই সাথে এই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিভাবকবৃন্দরা।

'জার্নি অফ ইউনিটি'র শীতবস্ত্র বিতরণ

কথা হয় সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক মিথিলা দাসের বাবার সাথে। তার নাম প্রদীপ দাস। সন্তানের এমন কার্যকলাপের বিষয়ে তার কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি এভাবেই দরিদ্রদের সাহায্য করে তাহলে হয়তো আস্তে আস্তে এই দরিদ্রের সংখ্যা কমে যাবে। আর আমার সন্তানের পাশাপাশি যারাই এখানে আছেন সকলেই আমার সন্তানের মতোই। তারা নিজেরা মিলে যে সব কাজ করছে সেটাতে আমি অনেকটাই আনন্দিত। পড়াশুনার পাশাপাশি তারা অবসর সময়টি সমাজের মানুষের কল্যানের ভাবছে এটাই অনেক।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সভাপতি রাকিব আল রিয়াদ জানান,বিভিন্ন সময় দেখি সমাজের অসহায় ও দারিদ্র মানুষদের কষ্ট পেতে। কেউ রেল লাইনের ধারে শুয়ে আছে,কেউবা রাস্তার সাইডে বসে আছে। এমন অনেক কিছু চোখে পড়লে খারাপ লাগে। মাঝে মধ্যে নিজের পকেট থেকে যা পাড়তাম দিতাম। তখনি ভাবতাম যাদি আমার মতো আমার বন্ধুরা বা আমার ছোট ভাই ও বোনেরা এভাবেই এই অসহায়দের পাশে আশে তাদের সাহায্য করে তাহলে হয়তো এই মানুষগুলোর কষ্টটা কিছুটা কম হবে। এমনি চিন্তা নিয়ে আমি আমার কলেজের বন্ধু,বিভিন্ন স্কুলের ছোট ভাই তাদের সাথে নিয়ে এই সংগঠনটি তৈরী করেছি। আমরা প্রতিটি সময় চেষ্টা করবো সমাজের অসহায়দের পাশে থাকার।

জার্নি অফ ইউনিটি

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মিথিলা দাস জানান,আমরা সকলেই যারা আছি স্কুল কলেজের ছাত্র। আমাদের পড়াশুনার পাশাপাশি যে অবসর সময়টি পাই সেটাতে আমরা ভাবি যে কি করলে আসলে একজন অসহায় মানুষের সাহায্য হবে। প্রথমে আমাদের পাশে কেউ ছিলেন না। এরপর আমাদের কার্যকলাপ থেকে সকলেই আমাদের সাথে এসে জয়েন করেছেন। আমাদের এই সংগঠনটিকে প্রতিটি সময় সাহায্য করছেন আমাদের জেলার ডিসি ও ইউএনও স্যার। আমার যখন তাদের কাছে যাই তখন তারা আমাদের কখনো নিরাশ করে ফিরিয়ে দেন নি।

স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির কার্যকলাপে আনন্দিত হয়ে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা২৪ কে জানান,প্রথম দিন তারা যখন আমাকে তাদের একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ করেছে আমি একটু চিন্তিত ছিলাম আসলে কি এটা। পড়ে এসে দেখলাম সকলেই স্কুল কলেজের ছাত্র। সুন্দর পরিবেশে তারা একটি শীতবস্ত্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে তারা এই অল্প বয়সে এতো কিছু করতে চাচ্ছে এটাই অনেক।

তিনি আরো বলেন,আমি চাইবো এই সংগঠনটি তাদের এই ধরনের কার্যকলাগুরো বজায় রাখুক। আমরা চেষ্টা করবো তাদের পাশে থাকার।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;