টেকনাফে এক বছরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১২৭



নুরুল হক, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে গত এক বছরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ ছিল বলে জানা গেছে। বিশেষ করে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গোলাগুলিতে নিহত হয়।

মাদক নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন বাহিনী তৎপর হয়ে উঠে। গত ২০১৮ সালে সরকার প্রধানের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযানে নামে আইনশৃংখলা বাহিনী। এরপরই শুরু হয় সারা দেশের ন্যায় টেকনাফে সাঁড়াশি অভিযান। তার সূত্র ধরেই টেকনাফে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় ১২৭ জন। এর মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ৭৮ জন, বিজিবির সঙ্গে ৩৬ জন ও র‌্যাবের সঙ্গে ১৩ জন নিহত হয়।

কক্সবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৯৬ জন নিহত হয়েছে। মাদক নির্মূলে পুলিশসহ সকল বাহিনী তৎপর রয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, গত ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর হতে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৯৪ জন। এ সময়ে প্রায় ২৩ লাখ পিস ইয়াবা, ৩৫১টি অস্ত্র, ১ হাজার ৭৩ রাউন্ড কার্তুজ ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় ৫৩১টি মামলায় ১ হাজার ৪৮৬ জনকে আটক করে কারগারে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বলেন, গত এক বছরে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ৩৬ জন। এর মধ্যে এক নারীসহ ১৭ জন মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা)। এসময়ে সাড়ে ৭০ লাখ পিস ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০৩ জনকে আটক করে বিজিবি। তবে সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছে।

র‌্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, গত এক বছরে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা ছিল। এসব ঘটনায় ১২ লাখ পিস ইয়াবা ও ১৫টি অস্ত্রসহ ১২৩ জনকে আটক করা হয়। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সূত্রে জানায়, গত এক বছরে ৩০ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১০৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্যও ছিল। তবে কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;