রাঙামাটির পর্যটন খাতে ডিসেম্বরে লেনদেন ২৫ কোটি টাকা



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাপ্তাই ঝুলন্ত ব্রিজ/ছবি: বার্তা২৪.কম

কাপ্তাই ঝুলন্ত ব্রিজ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতল হাওয়ায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে হ্রদ পাহাড়ের জেলা রাঙামাটিতে সম্প্রতি পর্যটকদের বেশ সরব আগমন ঘটেছে। যার ফলে পাহাড়ি এই জেলার অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। রাঙামাটির হোটেল-মোটেল, বোট, রিসোর্ট, টেক্সটাইল ও পর্যটন স্পটগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া তথ্যানুসারে ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণে এসেছে।

যার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার পর্যটক রাঙামাটিতে রাত্রীযাপন করছে বলে আবাসিক হোটেল মালিক সমিতিসহ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে।

এসব পর্যটকদের মাধ্যমে জেলার স্থানীয় লঞ্চ, ইঞ্জিন বোট, স্প্রিড বোট, কাপ্তাই হ্রদের ওপারে স্থাপিত পর্যটন কেন্দ্রসমুহ, হোটেল-মোটেল, কটেজ, পার্ক, কাপ্তাই উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোসহ বস্ত্রশিল্প খাতে পার্বত্য রাঙামাটির অর্থনীতিতে গত এক মাসে লেনদেন হয়েছে অন্তত ২৫ কোটি টাকা।

বোটে চড়ে কাপ্তাই লেক ভ্রমণ

স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরে ৫৩টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমশ্রেণির হোটেল ১৮টি। ডিসেম্বরের পুরো মাসেই এসব হোটেল অগ্রিম বুকিংয়ের মাধ্যমে কাস্টমার ভরপুর ছিলো। উদ্যোক্তাদের হিসেবে ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন শুধুমাত্র আবাসিক হোটেল-মোটেল ও কটেজগুলোতে আয় করা হয়েছে গড়ে ৩০ লাখ টাকা। যা মাসিক হিসেবে ৯ কোটি টাকা।

গত একমাসে রাঙামাটির পর্যটক করপোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির রাঙামাটির ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া।

এদিকে, রাঙামাটি শহরসহ ও কাপ্তাই হ্রদের দ্বীপগুলোতে ৫০টিরও বেশি খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়াও অনেক আবাসিক হোটেলের অভ্যন্তরেও রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা রয়েছে। এসব রেস্তোরাঁগুলোতে গত একমাসে আয় হয়েছে ৭ কোটি টাকারও বেশি।

রাঙামাটির অন্যতম সৌন্দর্য বহন করা কাপ্তাই হ্রদে মোট দর্শনার্থীর প্রায় ৯০শতাংশ ভ্রমণ করেন। হ্রদে চলাচলকারি ট্যুরিস্ট বোটগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাসহ পর্যটন ঘাটের নিজস্ব বোটগুলোসহ কাপ্তাই হ্রদে দেশীয় বোটের সংখ্যা প্রায় ৪ শতাধিক। সংশ্লিষ্টদের মতে ট্যুরিস্ট বোটের মাধ্যমে গত এক মাসে আয় করা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

কাপ্তাই ঝুলন্ত ব্রিজে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

অপরদিকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে এখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্র। পাহাড়ি নারীদের হাতে বোনা এসব বস্ত্র কিনতে বেশ আগ্রহী পর্যটকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের টেক্সটাইল মার্কেট, বিভিন্ন খুচরা দোকান এবং সুবলংয়ের নতুন স্থাপনকৃত বৌদ্ধ মুর্তিস্থানে মিলে অন্তত শতাধিক দোকানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্র বিক্রি করা হয়। দোকানিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে গত এক মাসে এই খাতে আয় হয়েছে অন্তত ৩ কোটি টাকা।

জেলায় আগত পর্যটকদের অভ্যন্তরীণ সড়কপথগুলো ঘুরে দেখা যায় নিয়োজিত অতিরিক্ত দুই শতাধিকসহ অন্তত ৭শ সিএনজি অটোরিকশা রাঙামাটিতে চলাচল করছে। যার মাধ্যমে এক মাসে আয় হয়েছে অন্তত ২ কোটি টাকা। 

ডিসেম্বর মাসের প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণে এসেছে

এছাড়াও স্থানীয়ভাবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম রাঙামাটি শহরের পলওয়েল পার্ক, পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত ব্রিজ, আরণ্যক, জেলা প্রশাসনের শিশু পার্ক, সুবলং ঝর্ণা, হ্রদের ওপারে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রসহ-কাপ্তাই সড়কে অবস্থিত, বেরাইন্যা, বড়গাঙ, রাইন্যাটুকুন, কাপ্তাইয়ের জুম প্যানোরোমা, প্রশান্তি, লেক প্যারাডাইস, লেক শো, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, রাঙামাটি শহরের উপজাতীয় জাদুঘর, মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতিসৌধ, চাকমা রাজবাড়ি, শুকনাছড়া ঝর্ণা, ধুপপানি ঝর্ণা, মুপ্পোছড়া ঝর্ণা, পেদা টিং টিং, রাইংখ্যং পুকুর, কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার, নাকাবা ছড়া ঝর্ণা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, কাট্টলী বিল, তিনটিলা বনবিহার এসব এলাকাগুলোর অনেকগুলোতেই টিকিটের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে হয়। যার মাধ্যমে একমাসে আনুমানিক আয় হয়েছে সোয়া কোটি টাকা বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে অনগ্রসর রাঙামাটি জেলায় অর্জিত এই অর্থের আরো তিনভাগ বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব হতো যদি সরকারিভাবে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হতো এমন মন্তব্য করেন জেলার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নেছার আহাম্মদ।

তিনি বলেন, শুধূমাত্র কাপ্তাই হ্রদের অপরূপ সৌন্দর্য আমরা ব্যবহার করতে পারলেই রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে। এখনো পর্যন্ত আমরা নৌ-পথকে আধুনিকায়ন করতে পারিনি। প্রাইভেট সেক্টরকে যথাযথভাবে সুযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;