প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বজনদের হাতে যুবক খুন!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
নিহত কামাল মিয়া, ছবি: সংগৃহীত

নিহত কামাল মিয়া, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কামাল মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে হাওরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল মিয়া উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।

রাতে কামাল মিয়ার ক্ষত-বিক্ষত লাশ নিয়ে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আসেন দুই নারী। তাদের একজন কামাল মিয়ার মা ও অপরজন খালা বলে দাবি করে।

হাসপাতালে তারা জানান, সোমবার কামাল মিয়াসহ তিনজন গুঙ্গিয়ারজুরি হাওয়ে একটি খাল সেচে মাছ ধরতে যান। এ সময় কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল মিয়া মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা অন্য দুইজন পালিয়ে গেছে। এ সময় তাদের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাঁধা প্রদান করেন। এ ছাড়া তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলে খালা পরিচয়ধারী নারী উত্তেজিত হয়ে উঠেন।

কিছুক্ষণ পর সদর হাসপাতালে আসেন সহকারী পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ সেলিম। তখন কৌশলে ওই দুই নারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে ফজল মিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে সালমান মিয়ার। গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সালমান মিয়ার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ফজল মিয়ার বুকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর নিহত ফজল মিয়ার বাবা বজলু মিয়া বাদি হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সালমান মিয়াসহ দুইজন এখনও জেলে। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

নিহত কামাল মিয়া ফজল মিয়া হত্যা মামলার ১২ নাম্বার আসামী। নাম-পরিচয় গোপন করার শর্তে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, নিহত কামাল মিয়া সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। ফজল মিয়াকে খুন করার পর ফুল মিয়া গংরা ওই খুন ঢাকার জন্য এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই কামাল মিয়াকে খুন করেছে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বনিয়াচং সার্কেল) শেখ সেলিম রাত দশটায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। হাসপাতালে নিহতের স্বজনদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মামলা করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;