নৌপথে মিয়ানমার থেকে ১১০৩টন পেঁয়াজ আমদানি
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে নৌপথে মিয়ানমার থেকে ১১০৩টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই পেঁয়াজগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
তবে মিয়ানমার থেকে আগের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও স্থানীয় বাজারে পেয়াঁজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার একদিনে ১১০৩ দশমিক ১৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে ১৭ হাজার ৯৫২ দশমিক ৯৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বন্দরের কার্যক্রম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাসে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হচ্ছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই পেঁয়াজগুলো ১২জন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছেন।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে এই বন্দর দিয়ে চলতি নভেম্বর মাসের ২৫ দিনে ১৭ হাজার ৯৫২ দশমিক ৯৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর আগের সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এর আগে আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
তবে বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সমূহ দ্রুত খালাস করে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশের সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে । আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।