কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় চলছে ইলিশ প্রতারণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
হোটেলের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে চায়না জাতের ইলিশ,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হোটেলের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে চায়না জাতের ইলিশ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার মানুষের যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হিসেবে ক্ষাত কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। যার ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ  ব্যবহার করছে এ পথ। আর মানুষের চলাচলকে কেন্দ্র করে ঘাটের দুই পাড়ে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। এসব হোটেলে ইলিশের নামে বিক্রি হচ্ছে চায়না জাতের ইলিশ। এছাড়া হোটেলগুলোতে খাবারের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণের বাহিরে।

যাত্রীদের মাঝপথে খাবার গ্রহণে নতুন বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছে এসব অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘক্ষণ ঘাট পাড়ে অপেক্ষাকৃত সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে খেয়ে যাচ্ছেন পদ্মার ইলিশের পরিবর্তে চায়না ইলিশ।

বহু দিন ধরেই দুই ঘাটের ইলিশের চাহিদা সর্বত্র। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে ইলিশ খেতে আসেন ভোজন রসিকরাও। এ বিশাল চাহিদা পূরণে ঘাটের দুই পাড়ে গড়ে ওঠেছে অনেক ছোট-বড় হোটেল। আর এ সুযোগকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর অসাধু খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মানুষের প্রয়োজনকে ব্যবহার করে ব্যবসার নামে করে যাচ্ছে প্রতারণা। প্রতারণার পাশাপাশি দুই ঘাটের হোটেলগুলো অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় নৌরুটে চলাচলরত ১৮টি ফেরী ও ৮৭টি লঞ্চেও একই অবস্থা। প্রতিটি লঞ্চের নিচ তলায় আর ফেরীর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে খাবার হোটেল। সেখানেও একই চিত্র দেখা পরে।

ফেরিতে খাওয়া লোকজন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের দুই পাড়ের অধিকাংশ হোটেলে বড় বড় সাইজের ইলিশ মাছ ভাজাসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই হোটেলের সামনে কর্মরত লোকেরা বলতে থাকেন 'এই মামা আসেন তাজা খেয়ে যান' 'স্যার আসেন পদ্মার ইলিশ' 'এই স্যারকে বড় সাইজের ইলিশটা দাও' বলে ডাকাডাকি ও টানাটানি শুরু করেন।

তাদের ডাকে আর অনুরোধে সাড়া দিয়ে হোটেলের কাছে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার ইলিশের বদলে বিক্রি হচ্ছে চায়না ইলিশ। এ মাছের নেই কোন ঘ্রাণ ও স্বাদ। এসব ইলিশের এক পিচ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে দেড়শত থেকে দুইশত টাকায়। তাতে দেখা যায়, একটি মাছের দাম হয় প্রায় দুই হাজার টাকা।

হোটেলে মাছ বাঁজার দৃশ্য, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দোকানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবি তুলতে গেলে, হোটেলে কর্মরত সকলের মুখ কালো হয়ে যায়। আসল ইলিশের কথা জানতে চাইলে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় হোটেলের পিছনে। সেখানে বাক্সতে বরফ দিয়ে রাখা ৫-৬টি ইলিশ মাছ দেখিয়ে বলেন এটি আপনাদের জন্য। আপনারা সাংবাদিক আগে বলবেন তো স্যার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, 'এখন পদ্মার ইলিশ বেশি পাওয়া যায়না, তাই চায়না ইলিশকে পদ্মার ইলিশ বলে বিক্রি করি। আর এতে লাভও হয় অনেক।

ঘাটে চলমানরত একটি লঞ্চে খাবার খেতে বসা আতিকুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, বাড়ি থেকে আসা যাওয়ার পথে আমি ইলিশ ভাজা আর ডাল দিয়ে ভাত খাই। কয়েকদিন যাবৎ খেয়াল করছি ইলিশের কোনো ঘ্রাণ নেই।

এসব লঞ্চ, ফেরী ও ঘাটে অবস্থিত গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর স্বার্থ না দেখে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে ঘাট এলাকার খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;