ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ৫৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সংস্থার সাড়ে চার হাজার কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সেনাবাহিনীও।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৮নং বুলেটিন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কক্সবাজার উপকূল থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার স্বাভাবিক ও ঝড়ো-দমকা হাওয়ায় ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগ ধারণ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিক থেকে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হতে পারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহায়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ক্রমন্বয়ে সরে যাচ্ছে। কক্সবাজার উপকূলে এই মুহুর্তে তেমন ঝুকি না থাকলেও পরবর্তীতে বুলবুল যদি গতিপথ পরিবর্তন করে তখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষ। তাই এখনো ৪নং হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। সকল ধরনের নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল করবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা (মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়েছে আরও ১০ লাখ টাকা), ২০৬ মেট্রিন টন চাল, ৯৭টি মেডিকেল টিম। আর বাতিল করা হয়েছে সকল সরকারি কর্মকর্তার ছুটি। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে প্রস্তুতির কমতি না হয়। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এটি মোকাবেলা করতে হবে। জেলার সংশ্লিষ্ট সকলকে বলা হয়েছে যার যার অবস্থান থেকে সবাই যাতে প্রস্তুতি রাখে। আশ্রয় কেন্দ্র এবং মেডিকেল টিম থাকবে।