রোহিঙ্গা ডাকাতের খোঁজে হেলিকপ্টারে র্যাবের অভিযান
রোহিঙ্গা ডাকাত দলের খোঁজে কক্সবাজারের টেকনাফের শরণার্থী শিবিরের নিকটবর্তী পাহাড়গুলোতে হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় আকাশপথ ছাড়াও স্থলপথে অভিযান চালায় র্যাব।
হেলিকপ্টার অভিযানে নেতৃত্বে দেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। এসময় র্যাব ১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব (এক্স), সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, বিএন সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম আরও উপস্থিত ছিলেন।
আজিম আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাত দলের খোঁজে র্যাব প্রথমে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালায়। কিন্তু পাহাড়গুলো অনেক বড় হওয়ায় ড্রোনে ডাকাত দলের সন্ধান পাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছিলো। যার ফলে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার সর্ব প্রথম র্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে হেলিকপ্টার এনে অভিযান চালানো হয়েছে। হেলিকপ্টার অভিযানে বেশ কয়েটি দুর্গম পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ এসব পাহাড়গুলোতে কয়েকটি ডাকাত দলের সক্রিয় রয়েছে। তারা খুন, ধর্ষনসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আস্তানাগুলো চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পরে এসব আস্তানায় অভিযান চালানো হবে। আশা করছি অতি দ্রুত তারা র্যাবের জালে ধরা পড়বে।’
সন্ত্রাসীদের নির্মূলে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে ড্রোন ব্যবহার করে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় বিভিন্ন পাহাড়ে ডাকাত গ্রুপের আস্তানার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসময় ড্রোনের সাহায্যে ডাকাত দলের চার থেকে পাচঁটি আস্তানা ধ্বংস করে দেয়া হয়। র্যাব জানিয়েছে এসব আস্তানা ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে ব্যবহার হতো।