টনসিল অপারেশনে শিশুর মৃত্যু, ২ চিকিৎসক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
নিহত শিশু তাওহিদ হোসেন ইয়াকুব

নিহত শিশু তাওহিদ হোসেন ইয়াকুব

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় বেসরকারি ক্লিনিকে টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে তাওহিদ হোসেন ইয়াকুব (৯) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে পুলিশ দুই চিকিৎসককে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এরপর রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডা. সাইদুজ্জামন ও ডা. নিতাই চন্দ্র সরকারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক দুজনই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক।

মৃত শিশু ইয়াকুব সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং বগুড়ার মাঝিড়া শহীদ ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দুই চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ

জানা গেছে, টনসিল অপারেশনের জন্য শিশু ইয়াকুবকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া ডক্টরস ক্লিনিক-২-এ ভর্তি করানো হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাত ৮ টার দিকে অপারেশনের জন্য শিশুটিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

তিন ঘণ্টাব্যাপী সময়েও অপারেশন শেষ না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীকে বের করার জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে রোগীর লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা ক্লিনিকে হৈ-চৈ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিক ঘেরাও করেন। এরপর অপারেশন থিয়েটার থেকে ইয়াকুবের নিথর দেহ বের করা হয়।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোগীর স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সার্জন ডা. সাইদুজ্জামান ও অ্যানেসথেশিয়ান ডা. নিতাই চন্দ্র সরকারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

দুই চিকিৎসককে আটক করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে পুলিশ ইয়াকুবের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিক ঘেরাও করেছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্লিনিক ভাঙচুর করা থেকে উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;