পদ্মায় ভাঙন: বিপর্যস্ত শিবচরের চরাঞ্চলের জীবনমান



মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মাদারীপুর
নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত জনজীবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত জনজীবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত কয়েকদিনের পদ্মা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরবর্তী মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। ঘর বাড়ি জায়গা জমি হারিয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ বেষ্টিত শিবচরের ১৯টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী বেষ্টিত। এর মধ্য পদ্মা নদী বেষ্টিত উপজেলার বন্দোরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাত ইউনিয়ন। তাছাড়া চরজানাজাত ইউনিয়নটি উপজেলার মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মার চরে গড়ে উঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা এই চরজানাজাত ইউনিয়নসহ বাকি দুইটি ইউনিয়নের হতদরিদ্র হাজার হাজার মানুষ এই নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে। হারাচ্ছে বাড়ি ঘর, ফসলি জমি।

আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙনের ঝুঁকিতে শিবচরের বাতিঘর

বাড়ি ঘর হারিয়ে কেউ রাস্তায় পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর বানাচ্ছে, কেউ চলে যাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায়, কেউ বা আবার ফরিদপুরের সদরপুরে।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা পানি বৃদ্ধি ও নদী ভাঙনের ফলে প্রতিদিনই ভেঙে চলেছে এ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। গত এক সপ্তাহ ধরে এ তিনটি ইউনিয়নে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। পদ্মার আগ্রাসী ভাঙনের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষ। বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি হারিয়ে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছে এই এলাকার শতশত মানুষ। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে এ এলাকার অধিকাংশ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ভাঙনের আগাম অবস্থা বোঝাও কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাছপালা, বাড়ি ঘর, মসজিদ, মন্দির চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। কোনো মতে বাপ দাদার রেখে যাওয়া বসতবাড়ি ভেঙে নিয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এসব এলাকা থেকে জানা যায়, গত ৭ দিনে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বন্দোরখোলা ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এ ইউনিয়নে নদী ভাঙন আতঙ্কে কমপক্ষে আরও তিন শতাধিক পরিবার ঘর-বাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙন: মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন

চরজানাজাত ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েক কিলোমিটার রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বন্দোরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,বন্দোরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবন, বন্দোরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীরসূরা হাট, ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩টি মোবাইল অপারেটরের টাওয়ারসহ শতশত ঘর-বাড়ি, ব্রিজ, কালভার্ট, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কিছু জিও ব্যাগ ও কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে কিছু স্থাপনা এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে এগুলো কিছু দিনের মধ্য বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী।

শিবচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি এম আতাহার জানান, গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনে কাঁঠালবাড়িসহ তিনটি ইউনিয়নে অসংখ্য বাড়িঘর স্কুল, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বসতভিটা হারিয়ে সড়কে, খোলা স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন: শিবচরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শতাধিক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল নোমান বলেন, ‘গত কয়েকদিনের পদ্মা নদীর ভাঙনে শিবচরের চরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, একটি স্কুল, একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

নদী ভাঙনে ভেঙে গেছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নদী ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ও জেলা প্রশাসন ভাঙন কবলিত এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;