হলুদ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুষ্টিয়ার কৃষকদের
হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। এতে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতেও পারছেন তারা। গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা এভাবে হলুদের চাষ করে আসছেন। প্রথম দিকে কয়েকজন কৃষক শুরু করলেও বর্তমানে অনেকেই এখন বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে হলুদ চাষে আগ্রহী।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হলুদের ক্ষেত চোখে পড়ে। সার-কীটনাশক ছাড়াই কেবল জৈব সার ব্যবহার করে ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কৃষকরা হলুদের আবাদ করছেন। বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের হলুদ চাষে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ব্লকের মালিপাড়া এলাকার কৃষাণি আফছারী বেগম তার বাড়ির আঙ্গিনায় হলুদ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো বাড়তি খরচ নেই বলে বাড়ির পাশেই হলুদের চাষ করেছি।’
একই এলাকার আবুল বাশার এক বিঘা পতিত জমিতে হলুদের আবাদ করেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবার ডিমলা জাতের হলুদের চাষ করেছি। এতে করে খরচ একেবারে নেই বললেই চলে। কৃষি কর্মকর্তারাও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেরর পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ হায়াত মাহমুদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘হলুদ লাগানোর আগে বীজ শোধন করে নিলে অনেক ছত্রাকজনিত রোগের হাত থেকে ফসল রক্ষা পায়। নিয়মিত আগাছা দমন ও আন্তঃফসল হিসেবে হলুদের সাথে মরিচের চাষ করলে খরচ অনুপাতে তিন গুণ লাভ করা সম্ভব।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কোনো অনাবাদী জমি পড়ে থাকছে না। কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। তারই আলোকে কৃষকরা বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমিতেও হলুদ চাষ করেছেন। এবার কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলায় ৫২৫ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে।’