ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে সাত দিনের ব্যবধানে আবারও ‘ধর্ষণ মামলার’ এক আসামির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের একটি ইটভাটার পাশের নির্জন মাঠে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণকারী উল্লেখ করে নিহতের গলায় ঝুলানো একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘আমি রাকিব, ধর্ষণের পরিণাম এমনই হয়, ধর্ষকরা সাবধান’।
নিহতের নাম রাকিব হোসেন মোল্লা (২৮) পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটা বাড়িয়া গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে। সে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র বলে জানাগেছে।
গত ১২ জানুয়ারি সকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে পানের বরজের ভেতর গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার দুই জনকে আসামি করে গত ১৭ জানুয়ারি ভান্ডারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২নং আসামি সজল জোমাদ্দারের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ গত ২৬ জানুয়ারি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই মরদেহের গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো ‘আমার নাম সজল’, একই মাদরাসা ছাত্রী নাম উল্লেখ করে আরও লেখা ছিলো ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।’
এদিকে, শুক্রবার রাজাপুরে উদ্ধার হওয়া নিহত যুবকের মরদেহ একই ভাবে পাওয়া যায়। নিহত যুবকের মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
সে ভান্ডারিয়ার ওই মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার ১ নং আসামি রাবিক হোসেন মোল্লা। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানার পুলিশকে অবহিত করে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত মো. মঈনুদ্দিন।