জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সময়সূচি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা, আবেদনের সময়সূচি, ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, আবেদনের পদ্ধতি এবং পরীক্ষার পদ্ধতি ও নাম্বার বণ্টন সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা: যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৬ বা ২০১৭ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা আবেদন করতে পারবে।

ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা)-এর জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০ (তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০ এর নিচে নয়) থাকতে হবে। এই ইউনিটের জন্য পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত অথবা জীববিজ্ঞান।

ইউনিট-২ (মানবিক শখা)-এর জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ (তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০ এর নিচে নয়) থাকতে হবে। এই ইউনিটের জন্য পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও সাময়িক বিশ্ব এবং সাধারণ বুদ্ধিমত্তা।

ইউনিট-৩ (বাণিজ্য শাখা)-এর জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ (তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০ এর নিচে নয়) থাকতে হবে। এই ইউনিটের জন্য পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা এবং ভাষাজ্ঞান (সমসাময়িক ব্যবসায় ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলা এবং ইংরেজিতে সীমিত সংখ্যক বাক্য লিখতে হবে)।

বিশেষায়িত বিভাগে (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন) আবেদনের জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মোট জিপিএ ৭.০ (তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ২.৫ এর নিচে নয়) থাকতে হবে। এই ইউনিটের জন্য ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

আবেদনের সময়সূচি: ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা), ইউনিট-২ (মানবিক শখা) এবং ইউনিট-৩ (বাণিজ্য শাখা) এর জন্য ১০০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ২০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদন করা যাবে। ইউনিট ১, ২ এবং ৩ এ মেধার ভিত্তিতে বাছাইকৃত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী লিখিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৬০০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে ২৩ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। বিশেষায়িত বিভাগে (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন) শুধুমাত্র ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫০০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে ২৩ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। bKash অথবা SureCash অথবা Teletalk অথবা Rocket এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দেয়া যাবে।

পরীক্ষার পদ্ধতি ও নাম্বার বণ্টন: ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা), ইউনিট-২ (মানবিক শাখা) এবং ইউনিট-৩ (বাণিজ্য শাখা) এ মেধার ভিত্তিতে বাছাইকৃত ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার সময়কাল হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। লিখিত পরীক্ষায় ৭২ নম্বর, এসএসসি থেকে ১২ নাম্বার, এইচএসসি থেকে ১৬ নাম্বার মোট ১০০ নাম্বার।

ইউনিটসমূহে প্রত্যেক বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে ৬টি। প্রতি প্রশ্নের মান ৪ নাম্বার করে এক বিষয়ে ২৪ নাম্বার হবে এবং তিনটি বিষয়ে সর্বমোট ৭২ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা হবে।

বিশেষায়িত সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন এই চারটি বিভাগে লিখিত পরীক্ষা হবে না। শুধু বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগে নেয়া হবে। এই বিভাগগুলোতে এসএসসি থেকে ২০ নাম্বার, এইচএসসি থেকে ৩০ নাম্বার এবং ৫০ নাম্বারের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা হবে।

আসন সংখ্যা: এবার তিনটি ইউনিটে ‘ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা)-৮২৫টি, ইউনিট-২ (মানবিক শাখা)- ১,২৭০টি, ইউনিট-৩ (বাণিজ্য শাখা)- ৫২০টি এবং বিশেষায়িত চারটি বিভাগসহ (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ- মোট ১৫০টি)’ সর্বমোট ২,৭৬৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি: ইউনিট-৩-এর ভর্তি পরীক্ষা ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার), ইউনিট-২-এর ভর্তি পরীক্ষা ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) এবং ইউনিট-১-এর ভর্তি পরীক্ষা ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল (১০টা হতে ১১.৩০টা) এবং বিকেলে (৩টা হতে ৪.৩০টা) দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিশেষায়িত বিভাগসমূহের ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা ২৯ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে শুরু হবে।

   

বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার তাগিদ ইউজিসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সভাকক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ইউজিসি’র আয়োজনে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, আর স্বনির্ভরতা অর্জনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বা যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি দেশে বেকার সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তোলা, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করাসহ উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের পরামর্শ দেন। ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে শুধু লাইক, কমেন্টস ও শেয়ারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার।

এছাড়া, কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান এপিএ বাস্তবায়নে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ তৈরি এবং ভালো কাজের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আগামী অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

;

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। তাদের সামনে এখন ভালো কলেজের ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন। এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। সেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২৬ মে।

ভর্তি তারিখ, ফিসহ আনুষ্ঠানিক নানা বিষয় চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার (১৩ মে) বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। এবারও ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। কেবল অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে এবং নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

এবার হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মিশনারি পরিচালিত নটরডেম, হলিক্রস ও সেন্ট জোসেফ কলেজ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
অনলাইনে আবেদন

অনলাইনে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করা যাবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে এর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আগে প্রাথমিক নিশ্চায়ন ফি ছিল মোট ৩২৮ টাকা। রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪২ টাকা করায় মোট ফি বেড়েছে।

যারা ম্যানুয়ালি আবেদন করবে

পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হলেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান অথবা বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অথবা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

ভর্তিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করতে হবে।

;

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, যেভাবে করবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম আজ (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

রোববার ফল প্রকাশের পর আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

আবেদনের উপায়: প্রার্থীরা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।

এরপর ফিরতি এসএমএস-এ আবেদনের জন্য কত টাকা কেটে নেয়া হবে সেটি জানিয়ে একটি পিন দেয়া হবে। এতে প্রার্থী সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।
ফল পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী একই এসএমএস’র মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। প্রতিটি পদের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হবে অ্যাকাউন্ট থেকে।

পুনর্নিরীক্ষণে খাতার চার বিষয় দেখা যায়: শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে প্রার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এসব হলো―উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এই চারটি বিষয় পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেয়া হয়। এই চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ফের ফল প্রকাশ করা হয়।

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার বিষয়ে আশাবাদ শিক্ষামন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে রবিবার (১২ মে) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজের জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা নয়টি কর্মদিবস পাইনি, আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্ম দিবসগুলো পাওয়ার চেষ্টা করছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কিনা, সেটার জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছে কিনা, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখনফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।’

;