জিমে নতুন? জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
চিত্র: সংগৃহীত

চিত্র: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং শরীরকে সঠিক মাপে ধরে রাখার জন্য এবং পেশী তৈরিতে জিমে শরীরচর্চা করার কোন বিকল্প নেই। তবে ঝোঁকের বশে জিম শুরু করে কিছুদিন পর জিমে যাওয়া ছেড়ে দিলে খুব একটা উপকার পাওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত জিমে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে, অবশ্যই ভালোভাবে পরিকল্পনা করে এরপর জিমে যাওয়া শুরু করতে হবে।

সম্প্রতি যদি আপনি জিমে জয়েন করার সিদ্ধান্ত  নিয়ে থাকেন, তবে শুরুর দিকে কিছু ব্যাপার নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। তেমন ছোটখাটো কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো।

আরও পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর এই ‘অভ্যাস’গুলো অসুস্থ করে তুলছে আপনাকে!

কোন সময়ে জিম করলে ভালো হবে

নতুন জিমে জয়েন করলে প্রথমেই এই বিষয় নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। পুরো দিনের মাঝে কোন সময়ে জিমে শরীরচর্চা করলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। সঠিক উত্তর হলো, দিনের মাঝে যেকোন সময়েই সঠিক নিয়মে জিমে শরীরচর্চা করলে উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে একটি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হলো ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ প্রতিদিন ঠিক একই সময়ে জিমে শরীরচর্চা করতে হবে। নিজের প্রাত্যহিক কাজের রুটিনের সাথে মিল রেখে জিমে যাওয়ার জন্যএকটি নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে জিমে শরীরচর্চা শুরু করতে হবে। সেটা হতে পারে খুব সকালে, দুপুরের পর, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দিকে।

শুরুতে কি ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে

জিমে শরীরচর্চা শুরু করার প্রথম দিকে খুব ভারী ধরণের কোন যন্ত্র ব্যবহার করা এড়িয়ে যাওয়া শ্রেয়। কারণ শরীর তখনো ভারী কোন যন্ত্রের ভার নেবার জন্য প্রস্তুত হয়নি। বিশেষ করে একদম শুরুতেই ওয়েট লিফটিং বা ভার উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অসাবধানতার ফলে যেকোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জিমে জয়েন করার পর একদম শুরুতে দৌড়ানো জন্য ট্রেডমিল, পায়ের জন্য লেগ প্রেস ও লাইং লেগ কার্লস, হাতের পেশী সুগঠিত করতে ম্যাশিন বাইসেপ কার্ল ও ট্রাইসেপ পুশডাউন, কাঁধের জন্য ম্যাশিন শোলডার প্রেস এবং পেটের মেদ কমাতে অ্যাব ক্রাঞ্চ মেশিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/01/2018-Aug-01_14_52_09_news_post.jpg

পেশীর ব্যথা দেখা দিলে কি একদিন বিশ্রাম করা যাবে?

জিমে শরীরচর্চা শুরু করার প্রথমকিছুদিন পুরো শরীরের পেশীতে ব্যথাভাব দেখা দেয়। এই ব্যথাভাবের ফলে জিমে শরীরচর্চা করতে যাবার ইচ্ছা ও আগ্রহ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে যে, হালকা ঘরানার শরীরচর্চার ফলে শরীরের পেশী সংকুচিত-প্রসারিত হয় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। অনেক সময় কিছুটা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলেও পেশীর ব্যথাভাব কমে যায়। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, এই ব্যথাভাব যদি হালকা থেকে মাঝারি ধরণের হয়ে থাকে  তবে বিশ্রাম না করে হালকা ঘরানার শরীরচর্চা করতে হবে। অপরদিকে ব্যথাভাব যদি প্রবল হয়ে থাকে এবং পেশীতে টান পরে, তবে একদিন বিশ্রাম নিলে উপকার পাওয়া যাবে।

জিমে শরীরচর্চা শুরু করার আগে কী খাওয়া উচিত

এমন চিন্তাভাবনা সাধারণত সবার মাথাতেই ঘুরপাক খাবে। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, হালকা ঘরানার কোন  শরীরচর্চার জন্য বাড়তি খাদ্য বা ক্যালরি গ্রহণের কোন প্রয়োজন নেই। তবে ভারী ধরণের শরীরচর্চার ক্ষেত্রে বাড়তি শক্তি ও ক্যালরি প্রয়োজন হবে। এমন ধরণের শরীরচর্চার তিন ঘন্টা আগে শর্করা ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিদিন কি জিমে শরীরচর্চা করতে হবে

চেষ্টা করতে হবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন জিমে যাওয়ার জন্য। বাকি দিন জিমে শরীরচর্চা করা না হলেও ঘরে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করা যেতে পারে অথবা ঘন্টাখানেক সময়ের জন্য দৌড়ানো যেতে পারে। এতে শরীরচর্চার যে ধারাবাহিকতা সেটা বজায় থাকে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মাঝেই ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: শারীরিক অসুস্থতার কারণ, অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণ

নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে

অনেকেই হুট করে ঝোঁকের বশে জিমে জয়েন করার কিছুদিন পরেই জিম ছেড়ে দেন। সেক্ষেত্রে কখনোই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হয় না। তবে যদি নির্দিষ্ট পরিমান ওজন কমানো, শরীরকে সুগঠিত করে গড়ে তোলার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই লক্ষ্য সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট করতে হবে। খুব বড় কোন লক্ষ্য নির্ধারণ করে, ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেইরূপ কাজ করতে হবে। এতে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।

নিয়ম মেনে জিমে শরীরচর্চা করা হয়তো অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাজের ব্যস্ততা ও পরিবারকে সময় দেওয়ার ফাঁকে জিমে সময় দেওয়া অনেকের কাছেই দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে কি ওজন কমানোর কোন উপায় একেবারেই নেই?অবশ্যই আছে। ঘরেই হাঁটুন, দড়িলাফ খেলুন, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ অথবা ইয়োগা করুন। নিজেকে কর্মক্ষম ও নিয়মের মাঝে ধরে রাখার সুঅভ্যাসটি গড়ে উঠলে, স্বাস্থ্য ও পুরো জীবন ব্যবস্থার উপরেই ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।

   

অত্যধিক গরমে শুধু শরীর নয়, ফোনও খারাপ হয়ে যেতে পারে! সুরক্ষায় যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গ্রীষ্মকাল যাদের পছন্দের ঋতু নয়, এই গরমে তাদের অনেকেরই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। অত্যধিক গরমে শুধু মন নয়, খারাপ হতে পারে ফোনও। তাই গরমে ফোনের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। গরমে অল্প ব্যবহার করলেই ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ফোন গরম হয়ে গেলে, কিভাবে সামাল দেবেন জেনে নিন এর সমাধান- 

১) বাইরে বের হলে ফোন হাতে নয়, ব্যাগের মধ্যে রাখুন। সূর্যের আলোয় ফোন অত্যধিক গরম হয়ে যায়। এখন রোদের যা তেজ, তা ফোন গরম হতে বেশিক্ষণ সময় নেবে না। এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

২) ফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। ফোনে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে খুলে রাখবেন না। এতে ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ফোন ক্রমশ গরম হতে থাকে। তাই যখন যে অ্যাপ প্রয়োজন, সেটাই খুলে রাখুন। বাকিগুলো বন্ধ করে দিন।

৩) একটানা বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটলে গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে অল্প দিনেই ব্যাটারি খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৪) ফোন গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার একটি উপায় হল কুলিং ফ্যান। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। শুধু ফোন ঠান্ডা করতেই নানা ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, মধ্যবয়সী-যুবক প্রচন্ড গরমের সকলের নাজেহাল অবস্থা। তার উপর নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েক ডিগ্রি তাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

সরকারপক্ষ থেকে রাজধানীতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে শহর ভিজিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি দেওয়া বা ছাউনি তৈরি করা৷ এছাড়া গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে জোরদমে৷ তবুও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কমছে না। সাধারণ কিছু গরম জনিত সমস্যা ছাড়াও হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ৷

গরমে সাধারণত দুইটা সমস্যার বেশি আধিপত্য দেখা যাচ্ছে৷ হিট এক্সহসশন বা তাপক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোক৷ হিটস্ট্রোক খুবই গুরুতর একটি সমস্যা, যা মৃত্যু ঘটাতেও সক্ষম৷ হিট এক্সহসশনকে বলা যায় হিটস্ট্রোকের আগের অবস্থা। তবে অনেকেই এই সমস্যা দু'টোকে একই মনে করেন৷ তবে এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷  জেনে নেওয়া যাক সেসব পার্থক্য-

হিট এক্সহসশন বা ক্লান্তি: সাধারণত শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই হয়। গরমের মধ্যে বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হতে থাকে৷ 

তাপমাত্রা এখন দিন দিন আরও বাড়ার কারণে ঘামও তুলনামূলক বেশি হয়৷ এই কারণে শরীর থেকে পানি আর লবণ বের হয়ে যায়৷ ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। একেই হিট এক্সহসশন বলে৷

হিট এক্সহসশনের উপসর্গ হলো হিট ক্র‍্যাম্পস বা পেশিতে ব্যথা হওয়া।

পানিশূন্যতাও এর একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৮.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই হিটএক্সহসশনের সমস্যা দেখা যায়৷

এছাড়া অনেকের বমি হয়৷ বা বমি বমি ভাব হয়৷ হিট এক্সহসশনের সময় হৃদকার্য দুর্বল হয়ে যায়। তবে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে৷

তাপক্লান্তি হলে করণীয়: তাপক্লান্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে৷ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে৷ যেন শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷

দ্রুত হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে৷। বা জলদি শক্তি আনার জন্য এনার্জি ড্রিংক (খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহৃত) খাওয়াতে হবে।

রোগীকে ঠান্ডা স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। তাকে রিলাক্স করতে টান করে শুয়িয়ে রাখতে হবে৷

বমির সমস্যা গুরুতর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বমিরোধী ঔষধ সেবন করাতে হবে।

হিটস্ট্রোক: যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ সংকুচিত হওয়ার কারণে লোমকূপ ঘাম বের হতে পারেনা৷ এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হয়৷

সে কারণে তাপ শরীরের ভেতরেই থেকে যায় আর শরীর শীতল হতে না পেরে স্ট্রোক হয়৷

সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে যায়৷ হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে কম্পিত হতে থাকে৷

হিটস্ট্রোক হলে মানুষ সাধারণত অজ্ঞান হয়ে যায়৷ অথবা সজ্ঞান হারিয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। তাদের চোখ, ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।

ত্বকে লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যায়৷ অনেকের ক্ষেত্রে খিচুনি উঠতে দেখা যায়। শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রোগীর প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হতে দেখা যায়৷

হিটস্ট্রোক হলে করণীয়: রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে৷

রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় এবং জুতা খুলে দিতে হবে৷ যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

শরীর এবং মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়াতেও হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি খাওয়াবেন না। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ আরও বেগতিক হবে৷

শরীরে ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অতি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জরুরি প্রয়োজন ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

;

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;