সরোজিনীর মহাত্মা গান্ধীকে ‘মিকি মাউস’ ডাকার ইতিহাস



যাকওয়ান সাঈদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
গ্রাফিক : বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গ্রাফিক : বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরোজিনী নাইডু মাহাত্মা গান্ধীকে ‘মিকি মাউস’ বলে ডাকতেন। অর্থাৎ গান্ধীজির সঙ্গে সরোজিনীর ছিল গভীর অন্তরঙ্গতা। কিন্তু কী ছিল সেই অন্তরঙ্গতার অন্তর্সূত্র? ছিল হলো—তারা দুইজনই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের দুই মূল হোতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রায়োগিকভাবে ভারতবর্ষের নারীদের মধ্যে সবচাইতে অগ্রবর্তী ভূমিকা রেখেছিলেন সরোজিনী নাইডু।

এই রেডিকেল সত্তার বাইরেও সরোজিনী নাইডুর অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় ছিল। তিনি ছিলেন কবি। পৃথিবীবিখ্যাত তার কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে।

এই ফিচারটি লেখা হচ্ছে সরোজিনীর জীবন কিংবা পরিচয়কে উদ্দেশ্য করেই, তবে খুব সংক্ষিপ্তভাবে—

এক.
ছোটবেলা থেকেই সরোজিনী নাইডু ছিলেন অত্যন্ত রকম মেধার অধিকারী। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি ভাষা তিনি রপ্ত করে নিয়েছিলেন খুব অল্প বয়সে। বাংলা আর ইংরেজি ছাড়াও তিনি শিখেছিলেন ঊর্দু, ফারসি এবং তেলেগু ভাষা। মাত্র বারো বছর বয়সে সরোজিনী মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেট্রিক পরীক্ষা পাশ করার সময়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

স্বভাবতই সরোজিনীকে নিয়ে তার বাবা অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তার প্রধান স্বপ্ন ছিল, তিনি চাইতেন তার মেয়ে গণিতজ্ঞ বা বিজ্ঞানী হবেন। পক্ষান্তরে সরোজিনীর স্বপ্ন তার বাবার চিন্তা অনুযায়ী ছিল না। সেই বয়সেই তার মধ্যে সাহিত্যের আকুতি লক্ষ করা গিয়েছিল। অ্যালজেবরা করার খাতাতেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন।

এরকমভাবে লিখতেই লিখতেই হঠাৎ একদিন দেখা গেল সরোজিনী নাইডু ১৩০০ লাইনের এক বিশাল কবিতা লিখে ফেলেছেন। ইংরেজি ভাষায়। কবিতাটির শিরোনাম ছিল ‘দ্য লেডি অব দ্য লেক’। সরোজিনীর বাবা কবিতাটি পড়ে বিস্মিত হয়ে পড়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ তার চিন্তাও পাল্টে গিয়েছিল। গণিত কিংবা বিজ্ঞানের বিষয়ে ভাবনা বাদ দিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েকে কবিতা এবং লেখালেখির বিষয়েই উৎসাহ দেবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566386933772.jpg
◤ পারিবারিক মধ্যাহ্নভোজে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ও সরোজিনী নাইডু


পিতার উৎসাহ সরোজিনীকে গভীর শক্তি প্রদান করেছিল। সেইসূত্রেই, কয়েকদিনের মধ্যে তিনি ফরাসি ভাষায় একটি নাটক রচনা করে ফেললেন, নাটকটির নাম ছিল ‘মাহের মুনির’। নাটকটি পড়ে তারা বাবা আবারও অভিভূত হয়ে পড়লেন এবং সেটি নিজের সহকর্মীকে পড়তে দিলেন। যাদের মধ্যে নিজাম নামক তার এক বন্ধুও ছিলেন, যিনি ১৫ বছর বয়সী একজন মেয়ের লেখা এই নাটক পড়ে চূড়ান্তরকমের অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনিই সরোজিনীকে ইংল্যান্ডে পড়তে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দেন।

বাবার বন্ধু নিজামের পরামর্শের সূত্রেই সরোজিনী নাইডু ১৬ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান।

দুই.
তিনি প্রথমে লন্ডনের কিংস কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কলেজের পড়াশোনা শেষে তিনি কেমব্রিজে পড়তে যান। আর কেমব্রিজেই তার সঙ্গে অনেক বিখ্যাত ইংলিশ কবি-সাহিত্যিকদের পরিচয় হয়।

সেইসব কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে তার বিশেষ সখ্য হয়েছিল দুইজনের সঙ্গে, একজন ছিলেন আর্থার সিমন আর অন্যজন ছিলেন এডমন্ড গস। মূলত এডমন্ড গসই সরোজিনীকে এই পরামর্শ দেন, ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও তিনি যেন নিজের দেশকে এবং দেশের সংস্কৃতিকে অস্বীকার বা অগ্রাহ্য না করেন। এডমন্ড গসের এই পরামর্শ সরোজিনী গভীরভাবে গ্রহণ করেছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566387371429.jpg
◤ সরোজিনী নাইডুর ব্রিটিশ কবিবন্ধু এডমন্ড গস ◢


এই ভারতীয় প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করেই তিনি পরবর্তী সময়ে প্রচুর কবিতা লিখেছিলেন। যেসব দিয়ে তিনি তিনটি বইও বের করেন। বই তিনটি তৎকালীন ইংল্যান্ড এবং ভারত উভয় জায়গাতেই বিস্তর আলোড়ন তৈরি করেছিল।

ইংল্যান্ডে থাকাকালে সরোজিনী একজন ভারতীয় ডাক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। সেই ডাক্তারের নাম ছিল গোবিন্দরাজুলু নাইডু। যেহেতু সরোজিনী ছিলেন ব্রাহ্মণ আর গোবিন্দরাজুলু ছিলেন অব্রাহ্মণ, ফলত এই সম্পর্ক নিয়ে সরোজিনীর বাবার আপত্তি থাকবার কথা ছিল, কিন্তু সেরকম কিছু দেখা গেল না।

গোবিন্দের সঙ্গে সরোজিনীর যখন সম্পর্ক হয়েছিল তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। আর যখন তার বিবাহ সম্প্ন হলো তখন বয়স ১৯ বছর, অর্থাৎ সরোজিনী পড়াশোনা শেষ করবার সঙ্গে-সঙ্গেই গোবিন্দের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করে নিয়েছিলেন। তৎকালে অসবর্ণ বিবাহ নামের একটা বিষয় সমাজে নিষিদ্ধ ছিল। কাজেই কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে সরোজিনীর সঙ্গে অব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে গোবিন্দের এই বিবাহ একটি সামাজিক রীতিবিরুদ্ধ ঘটনা ছিল।

সরোজিনী আর গোবিন্দের সংসারে চারজন সন্তান এসেছিলেন। জয়সুর, পদ্মজা, রণধীর, এবং লীলামণি। এদের মধ্যে পদ্মজা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।

তিন.
পি বি শেলি নামের এক কবি ছিলেন সরোজিনী নাইডুর প্রিয়। যিনি শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন একই সঙ্গে বাগ্নী বা বক্তাও। বলা যেতে পারে, পি বি শেলির এই প্রভাব সরোজিনীর মধ্যেও পড়েছিল। তার মধ্যেও বাগ্মিতা, বা রাজনৈতিক পক্ষালম্বন, বা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাবার মতো বিষয়গুলো ধীরে ধীরে লক্ষ করা গিয়েছিল। সম্ভবত সরোজিনীই একমাত্র নারী, যিনি একাধারে ছিলেন কবি এবং রাজনীতিবিদ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566386876725.jpg
◤ সরোজিনী নাইডুর প্রিয় কবি ও ব্যক্তিত্ব পি বি শেলি ◢


সরোজিনীর সাহিত্যজীবনে ২৫ বছরের ব্যাপ্তি থাকলেও সেই তুলনায় তার বইয়ের সংখ্যা খুবই কম, মাত্র তিনটি। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘দ্য গোল্ডেন থ্রেশল্ড’। বইটি ১৯০৫ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য বার্ড অব টাইম’, এটি প্রকাশ হয় ১৯১২ সালে। অন্য বইটির নাম ‘দ্য ব্রোকেন উইং’। এটির প্রকাশ-সন ১৯১৭। অবশ্য ‘দ্য ফেদার অব দ্য ডাউন বার্ডস অব টাইম’ নামেও তার একটি সংকলিত কবিতার বই রয়েছে।

সরোজিনী নাইডুই সেই বিরলজ বাঙালি কবি, যার সব রচনাই ছিল ইংরেজি ভাষাতে। আসলে নাইডুর খ্যাতির আরম্ভটুকু ইংরেজি ভাষার বদৌলতে এসেছিল, এরকম বলা যায়। ইংল্যান্ডে তার বইগুলোর একাধিক সংস্করণ সেই বার্তাই ধারণ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566386191820.jpg
◤ সরোজিনী নাইডুর বইয়ের প্রচ্ছদ ◢


সরোজিনীর বেশ কয়েকটি কবিতা বিপুলভাবে চর্চিত, বা প্রসিদ্ধ। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘ওয়ান্ডারিং সং’, ‘ভিলেজ সং’, ‘ক্রাডেল সং’সহ আরো অনেক কবিতা। এই কবিতাগুলোই পরবর্তীকালে যথাক্রমে ‘চারণ’, পল্লিগীত’ বা ‘ঘুমাপাড়ানির গান’ নামে অনূদিত হয়ে হয়ে বাংলাভাষাভাষিদের কাছেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। যারা সরোজিনীর কবিতা অনুবাদ করেছেন তাদের মধ্যে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

চার.
সরোজিনীর এই কবি-পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের একজন প্রথম সারির নেত্রী। একজন সৎ ও সচেতন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি প্রখ্যাত ছিলেন। ১৯২৪ সালে সরোজিনী কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে সভানেত্রী হওয়ার বিরল সম্মাননা অর্জন করেছিলেন।

ভারতবর্ষের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি কোনো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমনকি তিনি দেশভাগের পরে উত্তর প্রদেশের গভর্নর পদেও নিযুক্ত হয়েছিলেন।

মূলত বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই সরোজিনী নাইডু রাজনীতির মাঠে এসেছিলেন, ১৯০৫ সালে। এই আন্দোলন ছিল স্বাধীনতারই আন্দোলন। এই সময় থেকেই মূলত তিনি অন্যান্য রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী, গোপালকৃষ্ণ গোখলে, মুহাম্মদ আলি জিন্না, অ্যানি বেসান্ত, রামস্বামী আইয়ার প্রমুখ।

পাঁচ.
১৯১৫ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত সরোজিনী নানান বিষয়ে বিপ্লবী বক্তৃতা প্রদান করছিলেন ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে। এই সময়েই তার সঙ্গে জওহারলাল নেহরুর পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের সূত্রে তিনি চম্পাচরণে নীলচাষীদের হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566386594363.jpg
◤ আন্দোলনের একই মঞ্চে নেহরুসহ সরোজিনী নাইডু ◢


১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার রাওলাট আইন নামে একটি আইন করেছিল। এই আইনের মাধ্যমে সকল রাজদ্রোহমূলক লেখাপত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তখন মহাত্মা গান্ধী এই আইনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের আরম্ভ করলে সরোজিনী সেখানেও যোগদান করেন।

তিনি ভারতের নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের দাবিসহ আরো অন্যান্য অনেকগুলো দাবি নিয়ে ইংল্যান্ডে যাত্রা করেন সেই বছরই। সেইসূত্রে ১৯২০ সালে ভারতের নারীরা ভোটাধিকার পেতে শুরু করে। প্রথমে পেয়েছিল কেরালার নারীরা, তারপরে একসময়ে বাংলার নারীরাও।

১৯২৮ সালে তিনি নিউইয়র্ক যান। সেসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও সমালোচনা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আফ্রিকান এবং ইন্ডিয়ানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের তিনি নিন্দা জানিয়েছিলেন। নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরবার পরে তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হন।

ছয়.
১৯৩০ সালে কংগ্রেস কর্তৃক ব্রিটিশ সরকারের সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা ঘোষিত হলে মে মাসে মহাত্মা গান্ধী গ্রেফতার হন। তার কয়দিন পরেই সরোজিনী নাইডুকেও গ্রেফতার করা হয়। ১৯৩১ সালের জানুয়ারি মাসে গান্ধীজি এবং তিনি একসঙ্গে মুক্তি পাওয়ার অদ্যবধি পরে সেই বছরই তারা পুনরায়, এবার একত্রে গ্রেফতার হন। এই দফায় গান্ধীজি ১৯৩৩ সাল পযন্ত কারাগারে বন্দি থাকলেও সরোজিনী স্বাস্থ্যহানির কারণে আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566386688688.jpg
◤ চার্লি চ্যাপলিন ও মহাত্মা গান্ধীর সাথে সরোজিনী নাইডু ◢


১৯৪২ সালের আক্টোবর মাসে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুনরায় তাকে এবং মহাত্মা গান্ধীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই দফায় তারা দুজন দীর্ঘ ২১ মাস কারারুদ্ধ ছিলেন। একসঙ্গে দীর্ঘ কারাবাসের কারণেই হয়তো রাজনীতিকে ছাপিয়ে এই দুইজনের মধ্যে একটি গভীর অন্তরঙ্গতা তৈরি হয়েছিল। যার সূত্রেই সরোজিনী নাইডু মহাত্মা গান্ধীকে ‘মিকি মাউস’ বলে ডাকতেন।

সাত.
সরোজিনী নাইডুর পৈত্রিক বাড়ি ছিল পূর্ববাংলার মুন্সীগঞ্জ জেলায়। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারতের হায়দারাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবার নাম ছিল অঘোরনা চট্টোপাধ্যায় আর মায়ের নাম ছিল বরদাসুন্দরী দেবী। বাবা ছিলেন বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ, আর মা ছিলেন কবি।

সরোজিনীরা ছিলেন আট ভাইবোন। তার এক ভাই বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতাসংগ্রামী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন বার্লিন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পরবর্তী সময়ে কমিউনিজমে প্রভাবিত হয়ে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

অপর আরেক ভাই ছিলেন নাট্যকার ও অভিনেতা। যার নাম ছিল, হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ বুঝতে পারা যায়, পারিবারিকভাবে সরোজিনীরা ছিলেন বিত্তশালী, তথাপি শিক্ষাদীক্ষা এবং জ্ঞানচিন্তার বিষয়েও প্রগাঢ়ভাবে উৎপাদনশীল।

১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর সরোজিনী নাইডুকে উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। ১৯৪৯ সালে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

   

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব চীনের একটি চিড়িয়াখানা কুকুরকে ‘পান্ডা’ বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে। কুকুরের শরীরে সাদা এবং কালো রং মাখিয়ে আসল পান্ডাদের মতো বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের তাইঝু চিড়িয়াখানায় গত ০১ মে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন অবাক কাণ্ডের তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়- পহেলা মে’র ছুটিকে কেন্দ্র করে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বাড়াতে কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানায় ‘পান্ডা কুকুর’ দেখা যাবে বলে বিজ্ঞাপন দেয়। তাদের বিজ্ঞাপন দেখে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় ছুটে আসে। এসে তাদের এমন কাণ্ড দেখে অনেক দর্শনার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

নিউইয়র্ক পোস্টে বলা হয়, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা দুটি চৌ চৌ কুকুরের মুখ কালো রং করেছেন, যাতে কুকুরগুলোকে ক্ষুদ্রাকৃতির পান্ডাদের মতো দেখা যায়। এই কুকুরগুলোকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে প্রদর্শনের জন্য রেখে দেওয়া হয়, যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় করে তাদের দেখার জন্য জড়ো হয়।

যখন দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন কুকুরগুলো আসল পান্ডা নয়, তখন অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা অভিযোগ করেন, প্রাণীর সঙ্গে এমন আচরণ নিষ্ঠুরতা।

তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে রং তারা ব্যবহার করেছেন তা ক্ষতিকারক নয় এবং এ রঙে কোনো রাসায়নিকও নয়।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় কোনো পান্ডা ভাল্লুক ছিল না। তাই তারা এমনটি করেছেন। মানুষও চুলে রং করে। কুকুরের লম্বা পশম থাকলে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা যায়।

অন্য একজন জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় আসল পান্ডা রাখার জায়গা নেই। এভাবে করলে দর্শনার্থীদের আরও বেশি আনন্দ দেওয়া যাবে বলে তারা এমনটি করেছেন।

উল্লেখ্য, চৌ চৌ একটি স্পিটজ-টাইপ কুকুর, যা মূলত উত্তর চীনে পাওয়া যায়।

;

চম্পারণের ১০৭ বছর



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১০৭ বছর আগে ১৯১৭ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলের কথা। শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার কৃষক বিহারের চম্পারণের মতিহারি রেলস্টেশনে তীক্ষ্ণ চশমা পরা এক লোকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাজকুমার শুক্লা নামে একজন চম্পারণের কৃষক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী জী কে চম্পারণে আসার জন্য অনুরোধ করেন।

তিনি এখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে না আসলেও প্রায় এক বছর ধরে তার উকিল বন্ধু ব্রজ কিশোর প্রসাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, গোরখ প্রসাদ, চন্দ্রভাগা সহায় এবং বাবু ধারনীধরদের নিয়ে ভারতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কৃষকদের সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সাবধানতার সাথে ৪ হাজারের বেশি সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করেন তারা। প্রধানত কৃষকদের দুঃখজনক জীবনের বর্ণনা ও দ্বিগুণ করের আওতায় তাদের শোষণের কথা সমীক্ষায় উঠে আসে।

চম্পারণ সত্যাগ্রহ ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের পদ্ধতি ও মতাদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি অহিংস প্রতিরোধ এবং নাগরিক অবাধ্যতার সাথে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দিকের পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি চিহ্নিত করে, যা পরে তার নেতৃত্ব এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে। চম্পারণ সত্যাগ্রহ ১৯১৭ সাল থেকে ১৯১৮ সালের মধ্যে ভারতের বিহারের চম্পারণ জেলায় সংঘটিত হয়েছিল।

১০০ বছর পর হস্তলিখিত সাক্ষ্যগুলি জাতীয় আর্কাইভস থেকে সংগ্রহ করে সবরমতী আশ্রমের আর্কাইভ বিভাগে প্রতিলিপি করা হচ্ছে। এসব আর্কাইভ আটটি খণ্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে। কীভাবে কৃষকরা তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপিত হতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধিকারের দাবি জানায়। সাক্ষ্য রেকর্ড করার এই সত্যাগ্রহের ফলেই চম্পারণ কৃষি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।

চম্পারণ সত্যাগ্রহ গান্ধীর নিপীড়ক ব্রিটিশ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উপায় হিসাবে অহিংস প্রতিরোধকে নিয়োগ করার প্রথম প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। তিনি এই কৌশলটিকে “সত্যাগ্রহ” বলে অভিহিত করেন, যার অনুবাদ “সত্য শক্তি”।

 চম্পারণের মতিহারি রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

চম্পারণ অভিযানের জনগণের হতাশা একটি কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। গান্ধী জী এবং তার দল রেকর্ড করছিল কিভাবে কৃষকরা নীল চাষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নীলকররা কিভাবে কৃষকদের বাধ্য করছে নীল চাষ করার জন্য এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। নীল চাষ না করলে কৃষকদের উপর দ্বিগুণ করন চাপিয়ে দেওয়া হতো। ব্রিটিশ রোপনকারীরা এজেন্টদের ব্যবহার করে বলপ্রয়োগ ও সহিংসতার মাধ্যমে কর আইন কার্যকর করতো।

সবরমতি আশ্রমের পরিচালকের মতে, গান্ধী ও তার অ্যাডভোকেট বন্ধুরা শ্রোতার ভূমিকা পালন করেন। গান্ধীর মাধ্যমে কৃষকরা নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারেন। তারই ফল হলো আজ আমাদের সাথে কৃষকদের সম্পর্কের বিস্তারিত রেকর্ড রয়েছে জমিদার, ব্রিটিশ নীল কারখানার মালিকদের সাথে সম্পর্ক এবং ভূমি রাজস্ব কাঠামোর শোষণমূলক প্রকৃতি।

তিনি বলেন, চম্পারণ সত্যাগ্রহের সময়, বাপু দেখিয়েছিলেন যে মানুষকে স্বাধীনতার জন্য একটি গণআন্দোলনে আকৃষ্ট করার জন্য তাদের ব্যক্তিগত জীবনে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবেই স্বাধীনতার ধারণা তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চম্পারণ সত্যাগ্রহের ফলস্বরূপ, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কৃষকদের অভিযোগ তদন্তের জন্য চম্পারন কৃষি তদন্ত কমিটি নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এই কমিটি শেষ পর্যন্ত কৃষকদের অনুকূলে সংস্কারের সুপারিশ করেছিল, যা গ্রামীণ জনগণের মধ্যে উন্নত অবস্থা এবং ক্ষমতায়নের বোধের দিকে পরিচালিত করে।

;

রেলস্টেশনে বুকশপ আর চোখে পড়ে না!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন

ছবি: বার্তা২৪, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন রেলের দীর্ঘ যাত্রায় রেলের বগিতে সময় কাটাতে হতো। তখন এই অলস সময় কাটাতে বইয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। যাত্রাপথে বই খুলে গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়তেন। সে কারণে রেলের বগিতে, স্টেশনগুলোতে কিছুক্ষণ পর পর বই বিক্রেতাদের হাকডাকও ছিল বেশ রকমের। স্টেশনেও থাকতো বই বিক্রির দোকান, যা ‘বুকশপ’ নামে পরিচিত ছিল। এখন তা শুধুই স্মৃতি মাত্র!

রেলস্টেশনে এসব বইয়ের দোকানে অনেক ধরনের বই পাওয়া যেতো, যা বাজারের বইয়ের দোকানগুলোতে থাকতো না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সবকিছু। এখন বই কিনে আর কেউ রেলে চড়েন না। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় স্মার্টফোনে সময় পার করেন। রেলের কোচে এখন আর বইয়ের ফেরিওয়ালাও ওঠেন না, বই কেনার কাউকে পাওয়া যায় না বলে।

১৯৮৫ সালে খুলনা রেলস্টেশনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন মো. আবু বক্কার। বিশাল বইয়ের দোকান ছিল রেলস্টেশনে। বইয়ের দোকানের নাম ছিল ‘প্রজ্ঞা রেলওয়ে বুক স্টল’। কিন্তু এখন আর এত বই নেই সে দোকানে। গুটি কয়েক বই রয়েছে সে বুকশপে। তবে এগুলোও বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন পুরনো স্টেশনের সেই দোকানটিতে চা, পান, সিগারেট বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, খুলনার রেলস্টেশনটি এখন আন্তর্জাতিক মানের। যদিও সেখানে বইয়ের দোকান দেওয়ার জন্য কোনো স্থানই আর খালি নেই। আগ্রহও নেই রেল কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞা রেলওয়ে বুক স্টলের মো. আবু বক্কার আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এখন আমার বয়স ৮০। কী আর করবো! কেউ আর বই কিনে রেলে চড়েন না। বই পড়েনও না। অন্য ব্যবসা পারি না। তাই, এখন এই দোকানে বসে চা, পান, বিড়ি বিক্রি করি। কিছু পুরনো বই রয়েছে। কিন্তু বিক্রি হয় না’।

আবৃত্তিকার কামরুল কাজল জানান, রেলে চড়ার অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। প্রতিবার রেলে উঠলে নতুন নতুন বই কিনতাম। অনেক নতুন বই রেলস্টেশনের স্টলে পেতাম, যা খুলনার অনেক বইয়ের দোকানে পেতাম না। আবার রেলে উঠলে অনেক হকার বই বিক্রি করতেন। সেই সব বইগুলো ছিল সময় কাটানোর বড় অনুষঙ্গ। কিন্তু এখন বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখি না।

রেলস্টেশনে বুকশপ বা বইয়ের স্টল এখন আর চোখেই পড়ে না! খুলনা রেলওয়ে স্টেশন, ছবি- বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন বিশ্বাস জানান, এখনকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। আগ্রহ তৈরিতে এলাকাভিত্তিক পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বইয়ের চাহিদা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনের (রাজশাহী) ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানালেন, পুরনো রেলস্টেশনগুলোতে বই বিক্রির জন্য স্থান থাকলেও নতুন যেসব স্টেশন তৈরি হয়েছে, সেসব স্টেশনে আলাদা স্থান রাখা হয়নি। এছাড়া যারা স্টেশনে ব্যবসা করার জন্য আবেদন করেছেন, তারা বেশির ভাগ খাবারের দোকান হিসেবে বরাদ্দ চান।

 

;

প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে ‘সোনালু ফুল’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজের ফাঁকে উঁকি দিয়ে হলুদ আভায় মুগ্ধতা ছড়ানো ফুল সোনালু। নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুখরিত এই ফুল পথিকের মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তির ছোঁয়া। পরিবেশ ও প্রকৃতির শোভা বর্ধনে সোনালু দারুণ এক নিসর্গ মায়া এনে দিয়েছে। এই ফুলের দেখা মিলছে নওগাঁর বিভিন্ন পথে প্রান্তরে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, নওগাঁ শহরের বরেন্দ্র অফিসের পাশে থোকায়-থোকায় হলুদ আভায় ঝুলে আছে সোনালু। ফুলের মাথা হতে লম্বা লতার মত বড় হয়েছে।

শীতকালে সব পাতা ঝরার পর বসন্তে একেবারেই মৃতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছটি। গ্রীষ্মের শুরুতে দু’একটি কচিপাতার সাথে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালি রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছজুড়ে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে দেখা যায়।


জানা যায়, সোনালু গাছের পাতাঝরা মাঝারি আকৃতির । এটি আট থেকে ৯ মিটার উঁচু হয়। হলুদ বরণ এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি আছে তার বাহারি নামও। পরিচিত নামগুলো হলো সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠিসহ আরো অনেক। ফুল থেকে ধীরে ধীরে লাঠির মত কালো রঙের ফল হয়ে সেটি কয়েক সেন্টিমিটার অব্ধি লম্বা হয়ে থাকে।

পথচারী আলমগীর বলেন, সোনালু দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর শহরের মধ্যে চোখে পড়েনা বললেই চলে। যতবার দেখি খুব সুন্দর লাগে। মনের মধ্যে এনে দেয় এক প্রশান্তি। 

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু বলেন, আমি মোবাইল দিয়ে প্রচুর ছবি তুলেছি এই ফুলের। আমার খুব ভালো লাগে সোনালু ফুল। তবে এই ফুল যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের গাছ লাগানো উচিৎ। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক সোনালু গাছ আছে যা আমাদের মুগ্ধ করে।


নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন- এটি মূলত সৌন্দর্য বর্ধনে রোপণ করা হয়। গ্রাম বাংলায় এই ফুলকে বাদর লাঠি গাছ বলেও ডাকা হয়। এটির বৈজ্ঞানিক নাম 'কেসিয়া ফিসটুলা (Cassia Fastula)। এই উদ্ভিদ বাংলাদেশে অনেক জাতের আছে। ফুলটার জন্য বেশি খ্যাতি রয়েছে বলে অনেক জায়গায় লাগানো হয়। গাছের কাঠগুলো জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা হয়।

;