'শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি'



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কবিগুরু শরৎ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন,  'শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি। শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে বনের-পথে-লুটিয়ে ।' ভাদ্র মাস দিয়ে সেই শরতে সূচনা হলো বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) প্রত্যুষে।

শরৎ বাংলাদেশের কোমল, স্নিগ্ধ, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল এক ঋতু। মূলত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুই ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন রূপের পসরা দিয়ে সজ্জিত। তবে গ্রীষ্ম ও শীতের মাঝখানে শরৎ অনন্য ও অনুপম।

বৈচিত্রময় বাংলাদেশে এক-একটি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ফুলে ও ফলে, ফসলে ও সৌন্দর্যে সেজে ওঠে প্রকৃতি। পৃথিবীর আর কোনও দেশের প্রকৃতিতে ঋতুবৈচিত্র্যর এমন সম্ভার বিরল। ঋতুবৈচিত্রে বাংলাদেশ এক অপার সৌন্দর্যভূমি।

ঋতু পরিক্রমায় বর্ষা অশ্রুসজল চোখে বিদায় নেয় শ্রাবণে। তারপর ভাদ্রের চোখে সূর্য মিষ্টি আলোর স্পর্শ নিয়ে প্রকৃতি ঘোষণা করে শরতের আগমন বার্তা। থেমে যায় বর্ষামেঘের কাজল-কালো বুকের ভেতর দুঃখজলের বর্ষণ। আসে ঝকঝকে নীল আকাশে শুভ্র মেঘ, ফুলের শোভা আর শস্যের শ্যামলতা।

আলোয়, রঙে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে শরৎ। প্রকৃতির কন্ঠে কন্ঠে মিলিয়ে কবিকণ্ঠ ঘোষণা করে: ‘আজি ধানের খেতে রৌদ্র ছায়ায়/ লুকোচুরির খেলা/ নীল আকাশে কে ভাসালে/ সাদা মেঘের ভেলা ’

ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাস বাংলাদেশে শরৎকাল। ঋতুবৈশিষ্ট্যে শতের সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে রূপময়। গাছপালার পত্রপল্লবে প্রদোষকালীন গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার ফিকে হয়ে আসতেই পাখপাখালির দল মহাকলরবে মাতায়। প্রভাতে আবার ডানা মেলে উড়ে যায় নীল আকাশে। আকাশের উজ্জ্বল নীলিমা শরতের বিশেষ উপহার, সে দিগন্তময় আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মত উড়ে যায় পাখির ঝাঁক।

আকাশে শরতে শিমুল তুলোর মতো ভেসে চলে বৃষ্টিহীন সাদা মেঘের খেয়া। চারদিকে সজীব গাছপালার ওপর বয়ে যায় শেফালিফুলের মদির গন্ধভরা ফূরফুরে মিষ্টি হাওয়া। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের ওপর চাদরের মত বিছিয়ে থাকে সাদা আর জাফরন রং মেশানো রাশি রাশি শিউলিফুল। শরতের ভোরের এই সুরভিত বাতাস মনে জাগায় আনন্দের বন্যা। জীবনে জাগে উষ্ণ ও শীতলতার মাঝামাঝি রোমাঞ্চকর আমেজ।

শরতের সূর্য ওঠে স্বর্ণপ্রভায়। তসপহীন নির্মল আলোয় ভরে যায় চরাচর। গ্রাম-বাংলার মাঠে মাঠে উচ্ছ্বসিত ধানের সবুজ চারার ওপর ঢেউ খেলে যায় উদাসী হাওয়া।বআদিগন্ত সবুজের সমারোহে দেখা পাওয়া যায় প্রকৃত রূপসী বাংলার। । কাশবনের সাদা কাশফুল শারদীয় হাতছানিতে ডাকে: ‘পুচ্ছ তোলা পাখির মতো/কাশবনে এক কন্যে/তুলছে কাশের মযূর-চূড়া/কালো খোঁপার জন্যে।’

চিরায়ত সুন্দর শরতে নদীর বুকে রঙিন পাল তুলে মালবোঝাই নৌকা চলে।  মাঝি হয়তো গেয়ে ওঠে ভাটিয়ালি গান। পুকুরপাড়ে আমগাছের ডালে মাছরাঙা ধ্যান করে। স্বচ্ছ জলে পুঁটি, চান্দা বা খলসে মাছের রূপালি শরীর ভেসে উঠলে সে ছোঁ মেরে তুলে নেবে তার লম্বা ঠোঁটে। নদীর চরে চখাচখি, পানকৌড়ি, বালিহাঁস বা খঞ্জনা পাখির ঝাঁক খেলা করে। কলসি কাঁথে মেঠো পথে হেঁটে চলে গাঁয়ের বধূ। ছবির মতো মনে হয় রূপসী শরতকে।

শরতের এক বিশেষ ছবি দেখা যায় বিলের জলে। নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে সাদা ও লাল শাপলা। সকালের হালকা কুয়াশায় সেই শাপলা এক স্বপ্নিল দৃশ্যের দ্যোতনা জাগায়।

শরতের স্নিগ্ধ মনোরম প্রকৃতি তাপিত মানবজীবনেও আনে প্রশান্তির আমেজ। শহরের মানুষও অবকাশ নিয়ে শরতের মনোরম প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর নদী তীরের সাদা কাশফূল আর ভোরের হালকা শিশির ভেজা শিউলি ফুলে অমলি শরৎ যেন শুভ্রতার ঋতু।

শরৎকালে রাতের বেলায় জ্যোৎস্নার রূপ অনিন্দ্য প্রভায় ঝিকমিক করে। মেঘমুক্ত আকাশে মনে হয় কল্পকথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে নশ্বর পৃথিবীতে। শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না ।

শরৎ বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু । নরম, কোমল, মায়াবী স্পর্শে দোলা দেয় শরৎ। অরুণ আলোর অঞ্জলিতে ভরে সমগ্র প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর-বাহির।

   

‘বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে।

শেখ তাপস বলেন, আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। মান্ডা খালের পাড় দিয়ে প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে। কিন্তু এই খালগুলো (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল) এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।

আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কি.মি.)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কি.মি.), জিরানি (৩.৯ কি.মি.) এবং কালুনগর (২.৪ কি. মি.) খাল। সেই প্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে। আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে।

উল্লেখ্য যে, ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ৮.৭ কি. মি. দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ, ৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।

;

বগুড়ায় প্রিজাইডিং অফিসার-এজেন্ট আটক, দুইজনকে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুটি বুথে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা ও ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ও প্রার্থীর এজেন্ট এরশাদ আলী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।

তিনি জানান, প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুরি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।

ভোট কেন্দ্রের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে স্থানীয় লোকজন হৈচৈ শুরু করে। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবে বলে মোবাইল কোর্ট জানায়।

এদিকে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দাবি, ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।

;

খাদ্যে ভেজাল রোধে ‘মনের ল্যাবরেটরি’ পরিষ্কার করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যে ভেজাল রোধে সরবরাহকারী, উৎপাদনকারী বা ভোক্তাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর শাহবাগস্থ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত 'বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার' উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে দেশের ৭ বিভাগের সাতটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু করা হয়েছে। শুধু ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশব্যাপী খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে চলেছি। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা যতই মোবাইল ল্যাবরেটরি দিই না কেনো; যারা ভোক্তা, যারা সরবরাহকারী, যারা উৎপাদনকারী তাদের মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে, যতই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করি না কেনো, আমার মনে হয় কোনো কাজ হবে না।'

তিনি বলেন, ‘দেশে এক সময় মঙ্গা ছিল, তখন মানুষ খাবার পেত না। চালের দাম বেড়ে গেলে মানুষ হইচই করে, আবার কমে গেলে কৃষকেরা হইচই করে। দেশে এখন আর খাদ্যের অভাব নাই। এটা সরকারের একটি বিরাট অর্জন। 

এ সময় তিনি নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বাসনা তা পূরণ করার জন্য জনগণকে নিয়োজিত হবার নির্দেশনাও দেন।

সবাইকে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে সচেতনতা বৃদ্ধি করি, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করি, অনিরাপদ খাদ্য বর্জন করি এবং যারা খাদ্য অনিরাপদ করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।’

কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি।

সচিব বলেন, 'খাদ্যের মান বোঝার সবচেয়ে বড় উপায় হলো খাদ্যপরীক্ষা। পরীক্ষা করতে না পারলে নিরাপদ বা অনিরাপদ কি-না বুঝতে পারবো না। জাতীয় পর্যায়ে দেশে ল্যাব সক্ষমতা খুবই সীমাবদ্ধ। ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে জেলা বা বিভাগে পরীক্ষা করা ছিলো অকল্পনীয়। তাই আজকের দিনটি বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।'

এসময় তিনি ভ্রাম্যমাণ মোবাইল ল্যাব সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ অন্যান্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব জাকারিয়া। তিনি দিনটিকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিতের জন্য একটি স্মরণীয় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ে খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা সহজতর করার জন্য চীন থেকে সাতটি মোবাইল ল্যাব ক্রয় করা হয়।

যেসব পরীক্ষা করা যাবে এই মোবাইল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে:

দুধে ডিটারজেন্ট, ষ্টার্চ, ইউরিয়া এর উপস্থিতি, ঘি-তে বনস্পতি/হাইড্রোজিনেটেড এডিবল ফ্যাট এর উপস্থিতি, হলুদ গুঁড়ায় লেড ক্রোমেট এর উপস্থিতি, মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়ার উপস্থিতি, গোল মরিচে পেঁপে বীজ মেশানো। নারিকেল তেলে ভেজাল। শাকজি, ফলমূলে রং দেয়া। শাক-সবজি, ফলমূলে বালাইনাশকের মাত্রা নির্ণয়। মধুতে চিনির মিশ্রণ। পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি।খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রং এর উপস্থিতি।
খাদ্যে ক্ষতিকর ভারী ধাতুর উপস্থিতি সহ আরো অনেক পরীক্ষা স্বল্প সময়ে করা যাবে এই মোবাইল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে।

;

উদ্যোক্তাদের পথ দেখাতে কাজ করছে ইডিইউ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিকুলতা নিরসনের পন্থা উদ্ভাবনে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টার্টল ভেঞ্চার এক্সিলারেটরের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪০ জন ভবিষ্যৎ ব্যবসা-উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ইডিইউ চট্টগ্রামের আউটরিচ অ্যান্ড এক্সটার্নাল এঙ্গেজমেন্টের নির্বাহী ইন্দ্রাণী গুহ বলেন, ব্যবসা-উদ্যোগ সহযোগী প্রতিষ্ঠান টার্টল ভেঞ্চারের লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারী ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী উদ্যোক্তাদের প্রতি, যাদের চিন্তাভাবনা ও ধ্যানধারণাকে পরিশীলিত করে তাদের ব্যাবসামনস্ক করে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করা।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে নতুন উদ্যোক্তাদের যেসব ক্ষেত্রে প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হয় এমন ২৪টি ক্ষেত্র চিহ্ণিত করে সেগুলো নিরসনের পন্থা উদ্ভাবনে ৪ মাসব্যাপী কর্মযজ্ঞের কৌশল নির্ধারণই ছিলো কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন টার্টল ভেঞ্চারের প্রোগ্রাম সহযোগী এ কে এম ফিরোজ ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন ইডিইউ স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ফাউন্ড্রি পরিচালক এম ওয়াহিদুল ইসলাম। ২৪০ জন পূর্বনির্ধারিত অংশগ্রহণকারী ও বিভিন্ন দেশের ৩০ জন মেন্টর অনুষ্ঠানে সরাসরি ও অনলাইনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।

কর্মশালার শেষ পর্যায়ে ছিলো এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যাতে অংশ নিয়ে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে অবহিত হন। এছাড়াও কর্মশালায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সহায়ক এরকম আরো অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ব্যবসাবাণিজ্যের উদ্যোগের ক্ষেত্রেও নবউদ্যোক্তাদের জন্য নিত্যনতুন পন্থা উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

;