আসামে বাদ পড়াদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আসামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ, ছবি: সংগৃহীত

আসামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের আসাম রাজ্য শনিবার (৩১ আগস্ট) চূড়ান্ত নাগরিকত্বের তালিকা প্রকাশ করে স্বীকৃতি দিয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ বাসিন্দাকে। কিন্তু সেই রাজ্যে বসবাসরত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন বাঙালিকে চূড়ান্ত নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে তারা। এর ফলে এসব নাগরিক রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে শনিবার (৩১ আগস্ট) জানান, আসলে যতক্ষণ পর্যন্ত ভারত বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ততক্ষণ সরকারেরও কিছুই করার নেই। তবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, কারণ এটিকে বোঝা হিসেবে বাংলাদেশের ঘাড়ে ফেলার চেষ্টা হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সে কথায় আস্থা রাখতে হবে। আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে।

কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায়ই তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ে জাতীয় নিরাপত্তা নষ্ট করছে এবং এদের ঠেকানোর জন্যই নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) মতো পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’ তিনি এও বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’

এ সম্পর্কে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক বিশ্লেষক মো. তৌহিদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভারতের চূড়ান্ত নাগরিকত্বের তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দাকে বাদ দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যদি বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই বলে যাচ্ছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যতক্ষণ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকছে, ততক্ষণ ভালো কথা। কিন্তু এ বাদ দেওয়া লোকগুলো কোথাকার?’

তিনি বলেন, ‘ভারত যদি বলে থাকে, এ মানুষগুলো বাংলাদেশের, তাহলে আমাদের তো এ বিষয়টা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ এসে বলে গেলেন, এটি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের উদ্বেগ হল ভারত বাদ দেওয়া এ নাগরিকদের বিদেশি বলে অভিহিত করছে। তাহলে প্রশ্ন হল- এ মানুষগুলো তো আমেরিকা থেকে উড়ে আসেনি। ভারতের দাবি অনুযায়ী, তারা অবশ্যই পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকে এসেছে। শেষ পর্যন্ত ভারত তাদের বাংলাদেশের ঘাড়ে ফেলার চেষ্টা করবে। অমিত শাহ এর আগে বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’

আরো পড়ুন: আসামে রাষ্ট্রহীন ১৯ লাখ বাঙালি

সাবেক এ পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, ‘সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে কোনো কিছু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে যতক্ষণ পর্যন্ত ভারত বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ততক্ষণ সরকারেরও কিছুই করার নেই। তবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যাতে তাদের বোঝা হিসেবে বাংলাদেশের ঘাড়ে ফেলে দিতে না পারে।’

‘এ ঘটনার পর আসামে নাগরিক ও নাগরিকত্বহীন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কেউ যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেদিকে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে এমনিতেই সঙ্কটে রয়েছি। আরো ২০ লাখ মানুষের ভার আমরা সইতে পারব না,’ যোগ করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘২০ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকা সফরে এসে স্পষ্ট করে গেছেন, জাতীয় নাগরিকপুঞ্জি (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের উদ্বিঘ্ন হওয়ার কারণ নেই। সে হিসেবে ১৯ লাখ মানুষকে যে তারা নাগরিকত্ব দেয়নি সেটা তাদের বিষয়। তাহলে এ ১৯ লাখ মানুষ নিয়ে কি হবে? হিসেব অনুযায়ী ১১ লাখ হিন্দু এবং ৮ লাখ মুসলিম এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বিজেপি এর আগে অনেক জায়গায় বলেছে, হিন্দু যদি হয়ে থাকে, তাহলে তাদের তারা নাগরিকত্ব দেবে। এ হিসেবে আমি ধরতে পারি সঙ্কটটা ৮ লাখে এসে দাঁড়াবে। তাহলে সমাধান কি হতে পারে? ভারতে বিভিন্ন আলোচনায় আমরা শুনেছি, বাদ পড়া লোকদের তারা ওয়ার্ক পারমিট দেবে, কিন্তু ভোটাধিকার থাকবে না। এমন পদক্ষেপ নিলে যারা বছরের পর বছর ভারতে আছে, তারা এটা মেনে নেবে কিনা বা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থাগুলো মেনে নেবে কিনা আমার জানা নেই। ভারত বিশ্বের একটা বড় গণতন্ত্রিক দেশ যেখানে নিয়মিত নির্বাচন হয়। তাদের সুপ্রিমকোর্ট, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থাগুলোই এ সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। তবে বাংলাদেশের আগ বাড়িয়ে কিছু করার নেই। যখনই আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাব, তখন বাংলাদেশে ভারতবিরোধী শক্তি অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার সুযোগ পেয়ে যাবে। জেনে শুনে এটা করতে দেওয়া ঠিক হবে না। ভারতও চাইবে না, এখানে ভারতবিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক। তাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সে কথায় আস্থা রাখতে হবে। আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে।’

   

টিসিবির পণ্য কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর বারিধারা পার্ক থেকে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রয়ের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

টিসিবি কার্ডধারীরা এসময় সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করা হবে।

এসময় জানানো হয়, টিসিবি মাধ্যমে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দীন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিবা বারী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির নবাগত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: ডিএমপি

ছবি: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫৫ পিস ইয়াবা, ১৭৬ গ্রাম হেরোইন ও ১৭ কেজি ৪০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যান-ট্রা‌কের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতীতে কাভার্ডভ্যান ও ট্রা‌কের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষে একজন নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হ‌য়ে‌ছেন আরও দুইজন।আহত‌দের উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর ৫ টার দি‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের উপ‌জেলার সরা‌তৈল টাওয়ার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। তাৎক্ষনিক হতাহ‌ত‌দের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। 

এদি‌কে দুর্ঘটনার কার‌ণে মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল বন্ধ হ‌য়ে‌ যায়। এতে মহাসড়‌কের চার কি‌লো‌মিটার এলাকায় যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হয়। ফ‌লে প‌রিবহনগু‌লো উত্তরবঙ্গ থেকে ছে‌ড়ে আসা প‌রিবহন ও ঢাকা থেকে ছে‌ড়ে আসা পরিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ব‌্যবহার না ক‌রে এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চ‌লিক সড়ক ব‌্যবহার ক‌রে। 

এছাড়া দুর্ঘটনার পরই ক্ষ‌তিগ্রস্ত দুইটি যানবাহন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু ক‌রে পু‌লিশ। গা‌ড়ি দুইটি সড়ক থেকে সরা‌নোর পর মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল শুরু হয়। 

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার উপ‌-প‌রিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, ঢাকাগামী ট্রা‌কের সা‌থে উত্তরবঙ্গগামী কাভার্ডভ‌্যা‌নের সা‌থে মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রা‌ক চালক মারা যান। এছাড়া কাভার্ডভ‌্যা‌নের চালকসহ আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হন। আহত‌দের দ্রুত উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। নিহত ট্রাক চাল‌কের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে মর‌দেহ নিহতের স্বজন‌দের কা‌ছে হস্তান্তর করা হ‌বে।

;

১৪০ উপজেলায় ভোট আগামীকাল, কেন্দ্রে যাচ্ছে সরঞ্জাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটগ্রহণের নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে মঙ্গলবার। বুধবার (৮ মে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট সামনে রেখে সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। দুর্গম উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। রাঙামাটির জুরাছড়ি ও বরকলের দুর্গম ভোট কেন্দ্রগুলোতে এরই মধ্যে হেলিকপ্টারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সরঞ্জাম। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।

সোমবার (৬ মে) সকালে জুরাছড়ি যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে হেলিকপ্টারে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার সাতটি ও বরকলের দুটি দুর্গম কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়।

এদিকে সোমবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাকির হোসেনের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৫ জুন এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আদেশে ওই আসনে আগামী ২১ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।

গতকাল প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ১৪০ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে ও পরে ১৪ দিন নির্বাচনী এলাকায় বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে ছুটির তথ্য জানানো হয়। ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের সব উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোটগ্রহণের দিনও সাধারণ ছুটি থাকবে।

অন্যদিকে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

;