‘পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অসহযোগিতা করলেই পেনাল কোড’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জনগণের প্রতি বাড়ি ও বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জনগণের প্রতি বাড়ি ও বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযানে কেউ অসহযোগিতা করলেই পেনাল কোডে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা শুধু সরকারের কাজ না, জনগণেরও দায় আছে। নিজের ঘর যেমন পরিষ্কার রাখেন, তেমনি করে শহরটাকেও পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে কেউ অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোমবার (২৬ আগস্ট) ডিএনসিসি কর্তৃক পরিচালিত চিরুনি অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ও নূরজাহান রোডের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় মেয়র সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সরকারি অফিস-আদালত, পুলিশ স্টেশন এবং স্কুল-কলেজের প্রধানদের প্রতি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাই বাসস্থান ও কর্মস্থল পরিষ্কার না রাখলে জরিমানা ছাড়াও আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

‘আমরা বলেছি, সরকারি কাজে বাধা দিলে আমরা পেনাল কোডে যাব, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তাই নগরবাসীকে বলছি, আমাদের বাধ্য করবেন না। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে শহর পরিচ্ছন্ন করে দেয়, কিন্তু দুঃখের বিষয়, দোকানের কর্মচারীরা সকাল ৯টায় দোকান পরিষ্কার করে রাস্তায় ও ফুটপাতে ময়লা ফেলতে শুরু করেন,’ যোগ করেন মেয়র।

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার বাড়ির ময়লা আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিন, আমাদের ডাস্টবিনে ফেলুন, আমরা পরিষ্কার করে দেব। দয়া করে শহরটাকে নোংরা করবেন না। যার যার দায়িত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। আমাদের সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব আছে, সেটা আমরা পালন করছি।’

তিনি দুই বাড়ির মাঝখানের ময়লা পরিষ্কারের জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘ঘরের ময়লা কেন আমরা দুই বাড়ির মাঝখানে ফেলব? এ শহরটা আপনার আমার সবার। আমি অনুরোধ করব, যে ময়লাগুলো আছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। প্রথমবার সিটি করপোরেশন করে দেবে। এরপর থেকে কিন্তু স্থানীয় জনগণ ও সোসাইটির উদ্যোগে পরিষ্কার করতে হবে।’

দুই ভবনের মাঝখানের ময়লার স্থায়ী সমাধানের জন্য এলাকা ভিত্তিক সমিতিগুলোর সঙ্গে বসারও আগ্রহ প্রকাশ করেন মেয়র আতিক। রোববারের অভিযানে ২৫২টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলেও জানান মেয়র।

https
জনগণের প্রতি বাড়ি ও বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

তিনি বলেন, ‘গতকাল ১০ হাজার বাড়িতে চিরুনি অভিযান আমাদের টার্গেট ছিল। আমরা নয় হাজার ৭০০টি বাড়িতে গিয়েছি। ২৫২টি বাড়িতে আমরা লার্ভা পেয়েছি।’

আগামী ২০ দিন এ অভিযান চলবে জানিয়ে উত্তরের মেয়র জানান, ১০ দিনের মধ্যে পুরনো ৩৬টি ওয়ার্ড এবং বাকি দিনগুলোতে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে অভিযান চালাবেন তারা।

এদিকে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুলশানের ‘এক্সিকিউটিভ ইন লিমিটেড’কে তিন লাখ টাকা এবং ‘মিরাকি রেস্টুরেন্ট’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই অপরাধে অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান গুলশানের শান্তা প্রোপার্টিজকে এক লাখ টাকা, শাহজাদপুরে ‘অনওয়ার্ড প্রোপার্টিজ’কে ৫০ হাজার টাকা এবং শাহজাদপুরের একটি ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির ‘চিরুনি অভিযান’ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

   

পুলিশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ

ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় বারবার বেদখল হওয়া ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে পুলিশ। ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ করে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। 

‘দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাটি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এদিন প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে নিম, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সুশৃঙ্খলভাবে দখলমুক্ত ফুটপাতে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচলের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি মো. সারোয়ার আলম, ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ।

ঢাকা জেলা এসপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক আগেই সাভার, আশুলিয়ার মহাসড়কের পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। কিন্তু তারপরেও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় প্রায়ই ফুটপাত দখল করে বাজার বসানো হত। বিভিন্ন হকাররা ব্যবসা করত। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে অভিনব কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। বৃক্ষরোপণ করতে সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করে গাছ রোপণ করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে অন্যান্য স্থানেও এই কর্মসূচী পালন করা হবে। যেন অবৈধ দখলদারেরা আর ফুটপাত দখল করতে না পারে।

প্রধান অতিথি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছিলেন। অনেকে নাকি এখান থেকে ভাড়াও তুলতো। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছি কে ভাড়া তোলে? কেউ আমার কাছে কখনও স্বীকার করেননি। আমি জানি এই ফুটপাতে চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ পথচারীরা ছিনতাই সহ বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। এখন আর এমন হওয়ার সুযোগ নেই। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় পুলিশের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বৃক্ষরোপণের এমন আয়োজনে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারীসহ সাধারণ জনগণ। পথচারী পোশাক শ্রমিক আয়শা আক্তার বলেন, আগে এখান দিয়ে যাওয়া আশার সময় আর ভীড় লেগেই থাকত। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গেলে নারীদের শরীরে হাত দেয়ার ঘটনাও ঘটত। চুরির ঘটনাও ঘটত। এখন আমরা অনেক খুশি। নিরাপদে চলাচল করতে পারব। এমপি সাইফুল ইসলাম সহ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

;

ধামরাইয়ে ঝড়ে ঘরের চাল ভেঙে ২ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে ঝড়ে ঘরের চাল ভেঙে দুই নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

রোববার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বরাকৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কফিল উদ্দীনের ছেলে আনিসুর রহমান (৫৩) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে শাহারুল আলম (৫২)।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- আল মামুন (৩২) ও হামিদ আলী (২২)। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বরাকৈর এলাকার এসএস এগ্রো লিমিটেডে ফার্মে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বলেন, একটি কক্ষে ৬ জন নিরাপত্তাকর্মী ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১১টার দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে টিনের চালা উড়ে যায় ও চালের সঙ্গে লাগোয়া ইটের দেয়াল ভেঙে পড়লে চারজন চাপা পড়ে আহত হয়। পরে তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

;

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম



Rasel
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসময় নবনিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যে রকম সম্ভব তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব। উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি, তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতে আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।

এ সময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম। সভাপতিত্ব করেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ।

;

খিলক্ষেত এলাকায় নকশা বহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনের আংশিক অপসারণও করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্ব এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের জোন ৪/৩ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। রাজউকের কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়ার পর তার ব্যত্যয় করা গুরুতর অপরাধ। একই সঙ্গে এই ব্যত্যয় ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ রাজউক যখন একটি নকশার অনুমোদন দেয় তখন অনেক কিছু বিবেচনা করেই দেন। আমরা অভিযানে দেখলাম নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় করা হয়েছে। এ সময়ে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদিত নকশা মেনে যাতে ভবন নির্মাণ করে সে বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’

এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৪ এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম, অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক , ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবে এবং রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেই বিষয়ে জনসচেতনতা করা হয়েছে। নকশা মেনে ভবন নির্মাণ না করা হলে বাসিন্দাদেরই বিপদ হতে পারে। আর নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় রাখার মাধ্যমে দুর্ঘটনা যেমন ঘটে একই সাথে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।

অভিযানের সময় স্থানীয়রা জানান, সামান্য লাভের জন্য নকশা অনুযায়ী অনেকে ভবন নির্মাণ করেন না। রাজধানীতে লাখ লাখ ভবন অনেক ভবনের বাসিন্দারাও জানেন না তার ভবনের বারান্দাটি নকশায় নেই। এটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। ভবন মালিক রাজউকের নকশা না মেনে কাজ করায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অনেকে এসে কয়েকটি ভবনের আংশিক উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদ করা না হলে তারা জানতেনও না এই ভবনে নকশার এতো ব্যত্যয় করা হয়েছে। অভিযানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলাকার মানুষ সহযোগিতা করেছে। এলাকাবাসী মনে করেন রাজউক নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলমান রাখলে কেউ নকশা ছাড়া ভবন করতে সাহস পাবে না। এতে দুর্ঘটনা কমবে।

;