ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, হতাশ বিক্রেতারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ক্রেতাশূন্য পশুর হাট

ক্রেতাশূন্য পশুর হাট

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এদিন মুসলমানরা সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। সেই হিসাবে আজই হাটগুলোতে পশু কেনাবেচার শেষ দিন। তবে কেনাবেচার আমেজ নেই পশুর হাটে।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে কমলাপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা গরু নিয়ে অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ পশু বিক্রি করতে না পেরে আক্ষেপ করছেন।

অন্যন্য বছর কোরবানির আগেরদিন রাজধানীর পশুহাটগুলো জমজমাট থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। প্রত্যাশিত দামে পশু বিক্রি করতে না পারায় বিক্রেতারা রয়েছেন হতাশায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/11/1565515766604.jpg

জামালপুর থেকে ৪৩টি গরু নিয়ে আসা কামরুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমি ৪৩টা গরু আনছিলাম, বেঁচছি ২০টা। সবগুলায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা লস হইসে। কোন কাস্টমার নাই। কোন ঈদে এমন দেহি নাই। যেগুলা কিনছি ৭০ হাজারে, দাম কয় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার। ক্যামনে বেচুম গরু বুঝতাছি না।'

মেহেরপুর থেকে গরু নিয়ে আসা শ্যামল মওলা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, '১০ বছর ধইরা ঢাকার হাটে গরু উডাই। কিন্তু ঈদের আগের দিন এমন ফাঁকা বাজার দেখি নাই। কোন কাস্টমার না থাকলে গরু কিনব কে? এই গরু ফেরত নেওয়াও সম্ভব না। তাইলে আবার হাজার হাজার টাকা খরচ।'

যাত্রাবাড়ি থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল আলম বলেন, গত দুই দিন বাজার ঘুরে দেখলাম, খুব দাম ছিল। কিন্তু আজ দেখছি অধিকাংশ গরুই রয়ে গেছে। তাই ৭৩ হাজার দিয়ে একটি গরু কিনলাম, গতকাল এই সাইজের গরু এক লাখের নিচে নামেনি। মনে হচ্ছে এবার অনেক গরু রয়ে যাবে।

হাট কর্তৃপক্ষ জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম। বিকালে কিছু ক্রেতা আসতে পারে। সেই আশায় তারা আছেন। তবে হাটে অনেক গরু রয়ে গেছে।

   

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। সোমবার (১৭ জুন) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর পরিদর্শনে সব দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু।

তিনি বলেন ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৭ জুন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর সকল দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে এবং ১৮জুন থেকে যথা নিয়মে প্রত্নস্থল ও জাদুঘর (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত) খোলা থাকবে। সবাইকে নির্ধারিত সময়ে প্রত্নস্থল ও জাদুঘর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানবসভ্যতার ইতিহাসের ঐতিহাসিক সাক্ষ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার তথা সোমপুর মহাবিহার যা বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের অনন্য নিদর্শন শুধু দেশের ঐতিহ্যের নয় বিশ্ব ইতিহাসের জায়গা করে নিয়েছেন ও বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন উচ্চ মর্যাদা। দেশের এ পর্যটনশিল্প সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত উপভোগ করতে আসেন দেশ বিদেশের হাজার পর্যটন পিয়াসি মানুষ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাদুঘর ও প্রত্নস্থল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

;

বুবলী দিচ্ছেন গরু কোরবানি, অপু দেবেন ছাগল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। অন্য মানুষের মতো শোবিজ তারকারাও পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর কে কী কোরবানি দিচ্ছেন, তা জানার অপেক্ষায় থাকেন তাদের ভক্তরা।

জানা গেছে, এবারের ঈদে ছেলে আব্রাম খান জয়ের নামে ছাগল কোরবানি দেবেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে সাদা রঙের একটি ছাগলও কিনেছেন এই চিত্রনায়িকা।

অপরদিকে, প্রতি বারের মত এবারও কোরবানি দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি একটি গরু কোরবানি দেবেন।

অপু বিশ্বাসের নাম নিলে এখন আলোচনায় বুবলীর নামও চলে আসে। কারণ উভয়ই শাকিব খানের সন্তানের মা। যদিও শাকিব খান তাদের দু’জনকেই প্রাক্তন বলেই এখন পরিচয় দেন। 

প্রসঙ্গত, এবারের ঈদে অপু বিশ্বাসের কোনো সিনেমা মুক্তি না পেলেও বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এমডি ইকবাল পরিচালিত এই সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক রোশানকে।

;

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

ঈদুল-আজহার প্রাক্কালে রোববার (১৬ জুন) তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,এক বছর পর আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন,‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।’

;

ফেনীতে শেষ মুহূর্তে হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানি পশুর হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানি পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার সরগম হয়ে উঠেছে। শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু থাকলেও ক্রেতার সংকটে ছিলো কোরবানির হাটগুলোতে। শুরুর দিকে গরুর দাম বাড়তি থাকায় শেষদিকের বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিল ক্রেতারা কিন্তু শেষ দিকেও দাম চড়া রয়েছে। শেষ বাজার হওয়াতে বাড়তি দাম হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট ভাবে শেষ হচ্ছে এ বছরের কোরবানির পশুর বাজার।

রোববার (১৬ জুন) ফেনীর ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোরবানি পশুর হাট, মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কসকা বাজার ও শহরের বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে কেনাবেচা। একের পর এক ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে অনবরত দামদর চলছে বেপারি, খামারি কিংবা ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের।

ফাজিলপুর বাজার কমিটির সূত্রে জানা যায়, বাজারে ৫ থেকে ৬ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। শেষদিন হওয়াতে বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে গরু কিনে ফেলছে। এরপরেও দাম ও হাসিল নাগালের মধ্য থাকায় অধিক পরিমান গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু হাটে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। মাঝে দুইদিন গরুর দাম সীমিত ছিল কিন্তু গতকালকের বৃষ্টি পর হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়তি হওয়ার কারনে ক্রেতারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিল যার কারণে শুরুর দিলে বিক্রি কম হলেও শেষ দুই দিনে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।

কালা মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে ৪টি বিক্রি করেছি। বাজারে প্রচুর ক্রেতা আছে। বেচাবিক্রি ভালোই হয়েছে। তিনি জানান, ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু আছে। শেষ মুহুর্তে এসে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

নূর নবী নামের এক খামারি বলেন, হাঁটে ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযর্ন্ত ৪টা গরু বিক্রি করেছি। শুরুতে তেমন ক্রেতা ছিল না যার কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শেষ দুই দিনে গরুগুলো বিক্রি হওয়ায় খুশি।

ফয়সাল মাহমুদ নামে এক ক্রেতা বলেন,রাত পোহালেই কোরবান। বাজারে প্রচুর পরিমাণ গরু উঠেছে। তবে ক্রেতা অন্যদিনের তুলনায় কম। কারণ অনেকে গরু কিনে ফেলেছে। আমাদের রাখার জায়গায় সমস্যা যার কারনে আজ দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির গরু আল্লাহর নামে নিয়ে ফেলেছি।

আরিফ নামের নামের আরেক ক্রেতা বলেন, শুরুতে বাড়তি দাম বাড়তি ছিল, মাঝে কিছুটা কমেছে। তবে শেষ মুহুর্তে দাম আবার বাড়তি রাখছে বিক্রেতারা। হঠাৎ করে গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার বেড়ে গেছে। আমি একটা কিনেছি গরুটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পড়েছে। কিন্তু এর দুদিন আগেও এ গরু ১ লাখ পর্যন্ত মূলামুলি হয়েছে।

সাইফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। শুরুতে দাম নাগালের বাইরে ছিল তাই শেষ দিকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এখন আবারও বেড়ে গেছে।

উল্লেখ্য জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ২০০টি। তারমধ্যে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে ৯০ হাজার ২৫০টি গবাদি পশু। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৮০৪টি গরু, ৫ হাজার ৭২৮টি মহিষ এবং ১৫ হাজার ৭১৮টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত ছিল।

;