টাঙ্গাইলে ঠাঁয় দাঁড়ানো সেতুমুখী যানবাহন



 সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
টাঙ্গাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়ানো সেতুমুখী যানবাহন

টাঙ্গাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়ানো সেতুমুখী যানবাহন

  • Font increase
  • Font Decrease

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) থেকে:  দুই ঘণ্টায় দু'দফায় একশ মিটার গড়িয়েছে গাড়ির চাকা। বলা চলে প্রায় ঠাঁয় দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধু সেতুমুখী সকল ধরণের যানবাহন।

দিনের বেলা এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা নজীরবিহীন। অতীতে দিনে থেমে থেমে চলেছে, নজরদারির ঘাটতি থাকায় রাতের বেলা এমন দীর্ঘ সময় ধরে জট লক্ষ্যণীয় ছিলো। কিন্তু এবার অবাক করে দিয়ে জট চিরাচরিত ব্যাকরণকেও হার মানিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565423363377.jpg

গুগলম্যাপ বলছে ৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৌঁছতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। যদিও এই পেডিকশনের পারদ সময়ের ব্যবধানে আরও বাড়তে পারে। যে বাসগুলো এখন টাঙ্গাইল এলাকায় অবস্থান করছে। এই বাসের যাত্রীদের বাস পেতেই ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।

এখন রাস্তায় এসেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না তাদের। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাথার উপর চড়া রোদ। এসির তাপমাত্রা ১৮ সেটিং করেও গাড়ি শীতল হচ্ছে না। বাইরের তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। রিয়েল ফিলিং আরও বেশি। বাতাস নেই বললেই চলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565423388396.jpg

নন এসি বাসের যাত্রীদের ত্রাহি অবস্থা। গাড়ির মধ্যে পুরুষরা অনেকে গায়ের কাপড় খুলে সেই কাপড় দিয়ে বাতাস করার চেষ্টা করছেন। তবুও দরদর করে ঘামছেন অনেকে। এ অবস্থার মধ্যেও অনেকে ট্রাকে পিকআপে করে যাত্রা করেছেন বাসের টিকেট না পেয়ে। তারা কেমন আছেন সে প্রশ্ন এখানে বাহুল্যতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565423579160.jpg

সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় রয়েছে নারী শিশুরা। না আছে খাবারের ব্যবস্থা,  না আছে টয়লেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ। ট্রাকে যাত্রীদের অনেককে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা গেছে। সঙ্গীরা তাদের মাথায় পানি ঢেলে এবং হাতপাখার বাতাস দিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ঢাকা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি চলনসই বলতে হয়। ধীরগতি লক্ষ্যণীয় হলেও দেলদুয়ারের মতো আটকে থাকতে হচ্ছে না।

আরও পড়ুন, 

রাতের বাস মিলবে সকালে, দিশেহারা ঘরমুখো মানুষ

   

সাংবাদিকদের উপর মামলা-হামলার প্রতিবাদে বিডিজেএ'র সমাবেশ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংবাদ প্রকাশের কারণে আলাদাভাবে ৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিডিজেএ)।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচীতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। 

এসময় বক্তরা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বরগুনায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বের প্রত্যাহার করার দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো মিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা করেন বক্তারা।

সভায় ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ । টানা ১৫ বছর এই সরকার ক্ষমতায় আছে । শুধুমাত্র বিচারহীনতায় এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৫৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মঠবাড়িয়ার সাবেক এমপির মদদে নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী যে হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অপরাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এরমধ্যে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। আমাদেরকে রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। এতে কি প্রমাণ হয়। এদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, নির্যাতিত ওই সাংবাদিকদের নিয়োগপত্র আছে কিনা। আমি বলতে চাই তাদের নিয়োগপত্র আছে কিনা তা কি আপনার দেখার দায়িত্ব নেই। বাংলাদেশে যেখানেই সাংবাদিকদের ওপরে হামলা, মামলা হয় এর পেছনে পুলিশের ইন্ধন থাকে । এই হামলার বিচার না হওয়াতে বার বার সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হলে স্বধীন সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই।

এ সময় সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতে সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডিইউজেএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, ডিইউজেএ’রসাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) এর সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, বিডিজের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সানবীর রূপল ও রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব জুয়েল, দফতর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, সদস্য ইউসুফ আলী বাচ্চু, সংহতি প্রকাশ করেন রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম বিপু, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাজেদা হক, ডিআরইউ নির্বাহী সদস্য মহিবুর রহমান, ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক লাভলু, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ প্রমুখ।

এ ছাড়া ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব।

;

গাইবান্ধায় নির্বাচনী প্রচারণায় শিশুদের ব্যবহার!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শিশুদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকলেও গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। অর্থের প্রলোভন দিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। যার লোভে পড়ে শিশুরা তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে আঠা দিয়ে দঁড়িতে লাগানো পোস্টার টানাতে ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন বিভিন্ন গাছে।

শনিবার (৪ মে) এমন কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়া ছবিগুলো ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজের।

প্রকাশিত ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায় ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার টানানোর জন্য গাছে উঠছে এক কিশোর। আর তাকে নিচে থেকে সহযোগিতা করছে আরেক শিশু।

অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের সাথে তিন শিশু আঠাযুক্ত পোস্টার লাগাচ্ছে দঁড়িতে। যা টানানো হবে ওই এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে।

ফেসবুকে পোস্ট করা ওই সব ছবি আজ শনিবার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া এলাকা থেকে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তিনজনেই স্কুল শিক্ষার্থী।

অর্থের বিনিময়ে পোস্টার টানাতে শিশুদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চেয়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান মোবাইল ফোনে বলেন, পোস্টারতো যে কেউ লাগাতে পারে। তবে ছোট শিশু না।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান। বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি, আপনাকে পড়ে জানাবো বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫০ উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধার ফুলছড়িতেও অনুষ্ঠিত হবে ভোট।

;

পঞ্চগড়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৫ প্রার্থীকে বহিষ্কার বিএনপির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দল থেকে পাঁচ প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।

বহিস্কার হওয়া পাঁচ প্রার্থী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহব্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

বহিষ্কার নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহব্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে। এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে বোদা উপজেলা পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদিকে একই দিন দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে অংশনিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন বিএনপির আরো চার জন প্রার্থী। পরে গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সকলেকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

;

‘পরিবেশ বিপর্যয়ে কম দায়ী হলেও বাংলাদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ বিপর্যয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কিন্তু উন্নত দেশগুলো তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশকে ধ্বংস করছে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

পরিবেশকে সুরক্ষিত রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে চান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ক্ষতি বা উন্নয়ন বিষয়ক রিপোর্ট করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী বা পরিবেশ উন্নয়ন বিরোধীরা সমস্যা করলে সরকার সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে। তথ্য দেবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদেরও বিরূপ মনোভাব দূর করতে হবে। গণমাধ্যম প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে কর্মকর্তারা তা দিতে বাধ্য।

আলোচনা সভায় জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ডক্টর মো লিয়াকত আলী ১৯৫৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যে প্রভাব পড়েছে তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।

;