পাটুরিয়া ফেরিঘাট
দূরপাল্লায় ভোগান্তি, লোকালে শান্তি
পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে: একটু আরাম আয়েশের জন্য বাড়তি টাকা ব্যয় করে ভোগান্তিহীন যাত্রার লক্ষ্যে দূরপাল্লার পরিবহনে যাত্রা করেছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। তবে সেই আরামের যাত্রাই তাদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়ক ও ফেরি ঘাট এলাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
অপরদিকে অল্প টাকায় লোকাল বাসের যাত্রীরাই তুলনামূলকভাবে আরামে পাড়ি দিচ্ছেন মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। দূরপাল্লা ও লোকাল বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে এমনটা জানা গেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ৩ কিলোমিটার বাসের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির সারিও একই রকম। জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও গরুবাহী খালি ট্রাক ছাড়া অন্যান্য ট্রাক পারাপার বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় মাগুরাগামী যাত্রী আরাফাত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় গাবতলী থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লোকাল বাসে রওনা হয়ে সকাল ১১ টার দিকে ঘাট এলাকায় পৌঁছান তিনি। মহাসড়কে থেমে থেমে যান চলাচল করলেও বড় ধরনের কোন যানজট ছিল না। এখন লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গোয়ালন্দ থেকে ফের লোকাল বাসে করে বাড়ি যাবেন।
ঈগল পরিবহনের যাত্রী আরমান আলী জানান, শুক্রবার রাত ১২টায় গাবতলী থেকে রওনা হয়ে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ঘাট এলাকায় পৌঁছান তিনি।। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শেষে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিঘাট এলাকায় এসে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানান এ ভুক্তভোগী।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় কোন যানজট না থাকলেও থেমে থেমে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়। ঘাটমুখী প্রচুর লোকাল বাসের চাপ রয়েছে। লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিতে করে নৌরুট পার হন হাজারো যাত্রী।
লোকাল বাসের যাত্রীদের তেমন একটা ভোগান্তি না হলেও দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে ফেরি পারাপার হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা হয়েছে ঘরমুখী ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির যাত্রী ও চালকদেরও।
বিআইডব্লিটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানান তিনি।