শোকে স্তব্ধ এরশাদের আতুর ঘর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রংপরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রংপুরের ছাওয়ালখ্যাত’ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই।  সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে জায়গা করে নিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ।  তাঁর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে আতুর ঘর রংপুর।

দল-মত নির্বিশেষে সবার চোখ এখন অশ্রুসিক্ত। দীর্ঘদিনের অভিভাবককে হারিয়ে আহাজারি থামাতে পারছেন না তাঁর (জাতীয় পার্টি) দলের নেতা-কর্মী থেকে সমর্থকরাও।

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। সেখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকার সঙ্গে উড়ছে কালো পতাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563089332094.jpg

ঘড়ির লম্বা সেকেন্ডের কাটার মত দূর দূরান্ত থেকে অনবরত আসতে থাকে লোকজন। মুহূর্তেই হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয় সেখানে। কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। চাপা কান্নাও যেন বাঁধ ভেঙে প্রিয় মানুষটিকে হারানোর চিৎকারে প্রকম্পিত হয়।

দলীয় কার্যালয়ের মতোই পুরো রংপুর জুড়ে এরশাদ ভক্তদের শোকবহ হৃদয় এখন কালো মেঘে আচ্ছন্ন। তার এই মৃত্যুতে রংপুরবাসী অভিভাবকহীন হলে পড়ল বলেও মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

আর অন্য দলের নেতারা বলছেন, এরশাদের জীবদ্দশার কর্মকাণ্ডই তাকে মূল্যায়ন করবে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল বারী। দলীয় প্রধানের সঙ্গে একই বহুবার বক্তব্য রেখেছেন। কত কথা বলেছেন প্রিয় নেতার পাশে বসে। সেই নেতাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তিনি। রংপুরসহ সারা দেশে রাজনীতিতে এরশাদ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য নেতা। তার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূখী ভাবনায় তাকে এদেশের মানুষের মাঝে বেঁচে রাখবেন। এমনটাই বিশ্বাস করে রংপুর জাতীয় পার্টির এই নেতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/14/1563089347155.jpg

এরশাদের হাত ধরে তৃণমূল থেকে রাজনীতির মঞ্চে সফলতার দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি এখন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগরের সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র। কান্না জড়িত কণ্ঠে মোস্তফা বলেন, 'আজ আমার পিতাকে হারালাম। আমার জীবনের পরম অভিভাবক ছিলেন। তাঁকে প্রস্থানের পরও মানুষ আজীবন মনে রাখবে।

তিনি বলেন, স্যার সব সময়ই দেশের জন্য চিন্তা করতেন। রংপুরের মানুষের কথা বলতেন। আজ স্যার নেই। রংপুরের মানুষ একজন অভিভাবককে হারালো।

এদিকে এরশাদের মৃত্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'তার মতো নেতা আর হবে না। তিনি আমাদের এমপি ছিলেন। দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রংপুরবাসী আজ তাকে হারিয়ে মর্মাহত। আমরা আর রাষ্ট্রপতি পাব না।'

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজা মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাদ জোহর রংপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় তাঁকে দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও রংপুরের সর্বস্তরেরর মানুষ চাইছেন রংপুরই হোক এরশাদের শেষ ঠিকানা।

   

ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হামিরদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাশেম শিকদার (৪০), তার ছেলে মোরসালিন (৮) ও তার আপন ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭)। তারা গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহেল বাকী।

তিনি জানান, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরগামী একটি ইটবোঝাই ট্রাক হামিরদি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান সবাই।

তিনি আরও জানান, নিহতরা ফরিদপুর থেকে কাজ শেষে তাদের গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ঘাতক ট্রাক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত তিনজনের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিলসহ ১০ দফা দাবি ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে, বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।

এ সময় তারা ৯ম পে-স্কেল প্রদান, বেতন বৈষম্য দূরীকরণে শতকরা ১.৫ হারে বেতন স্কেল প্রদান, সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ২৫ হাজার ২শ টাকাসহ শতকরা ৪০ ভাগ মহার্ঘভাতা প্রদানের দাবি জানান।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে সংগঠনের বিভিন্ন নেতা বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি মো. আজিম। তিনি বলেন, ৯ম জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে শতকরা ১.৫ হারে বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ২৫ হাজার ২শ টাকাসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের সঙ্গতি রেখে শতকরা ৪০ ভাগ মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো. আজিম বলেন, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে, রাজস্বখাতে জনবল নিয়োগ করতে হবে। আউটসোর্সিং ও প্রকল্প/ডে-লেবার/শিক্ষাখাত/গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সব দপ্তরের মাস্টার রোলে নিয়োগ করা জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।

এ সময় বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে তিনি আরো বলেন, বাড়ি ভাড়া শতকরা ৮০ ভাগ, চিকিৎসা ভাতা ৩ হাজার টাকা, শিক্ষাভাতা ২ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা এক হাজার পাঁচশ টাকা, টিফিন ভাতা ১ হাজার টাকা এবং ধোলাই ভাতা ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর মতো রেশন প্রদান করতে হবে ও নার্সদের মতো পোশাকের টাকা বেতনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে।

এছাড়া তিনি আরো যে সব দাবি উপস্থাপন করেন, সেগুলি হচ্ছে- সচিবালয়ের মতো পদবি পরিবর্তন করে ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন সব কর্মচারীদের শতকরা ৫০ ভাগ পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের মতো শতকরা ৪০ ভাগ পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখতে হবে।

আগের মতো শতভাগ পেনশন উত্তোলনের সুবিধাসহ পেনশন গ্র্যাচুয়িটির হার ১ (এক) টাকায় ৫শ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের সুদমুক্ত গৃহঋণ প্রদান করতে হবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে এবং পার্বত্য জেলাগুলিতে পাহাড়িভাতা আগের মতো বহাল রাখতে হবে।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, মো. নিজামুদ্দিন পাটোয়ারী, আব্দুল মান্নান, সেলিম ভূঁইয়া, মনির আহমেদ, এম এ হান্নানসহ আরো অনেকে।

;

বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট ৩৪ বাংলাদেশির মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ৩৪ সীমান্তবর্তী মানুষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাতি যখন ফসল এবং ঘরবাড়ি নষ্ট করে তখন মানুষ হাতিকে মেরে ফেলে, আর এর জন্য বনবিভাগ এবং স্থানীয় থানা পুলিশ জনগণকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরর্দী পাহাড়ি এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভারত বাংলাদেশ দীর্ঘ পাহাড় ঘেষা সীমান্তবাসী। নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি পাহাড়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে ৫০-৬০টি হাতির একটি দল। দিনে জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও, রাত নামতেই খাবারের খোঁজে তারা হানা দিচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই হাতির পাল ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। সামনে কাউকে পেলেই আক্রমণ করে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান কৃষক উমর আলী। দুই মাসের ব্যবধানে হাতির আক্রমণে এ নিয়ে দু’জন প্রাণ হারালেন।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে এক দল ভারতীয় বুনো হাতি সীমান্তবর্তী বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ক্ষেতে নেমে খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে ফসল নষ্ট করছে। বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল রাতেও এক দল হাতি বাতকুচি গ্রামে ধানক্ষেতে আসে। এ সময় উমরআলীসহ গ্রামবাসী তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে চিৎকার করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে হাতির পাল একটু পিছু হটলে নিজ বাড়ির দিকে যেতে থাকেন উমরআলী। পথিমধ্যে কয়েকটি হাতি তাকে ঘিরে ফেলে পা দিয়ে পিষে ও শুঁড়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে।

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরকারিভাবে নিহত কৃষকের পরিবারকে সরকারিভাবে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু ভারতের সরকার বা আসাম রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এমনকি নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেনি।

এর আগে, ২৯ মার্চ একই উপজেলার নাকুগাঁও এলাকায় ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির ধাওয়া খেয়ে জেনারেটরের খোলা জিআই তারে জড়িয়ে উসমান আলী নামে একজন মারা যান।

তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলো সড়কে ও লোকালয়ে চলে আসছে। হাতির পাল ফসলের ক্ষেতে এসে তাণ্ডব চালায়। এ সময় বাড়িঘর, গাছপালা ভাঙচুর করে। হাতির বিচরণ বেড়ে যাওয়ায় পাহাড় বেষ্টিত জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কে আছেন। হাতির ভয়ে আমাদের নির্ঘুম রাত কাটছে। শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এলাকার মানুষকে হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা ৬ টি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো-

নিহত প্রত্যেক পরিবারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সহযোগিতা ও পুনর্বাসন করতে হবে।

হাতিদের খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট হাতি অভয়ারণ্য কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে ভারত বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে।

ফসল ক্ষয়ক্ষতির শিকার কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা ও পুনর্বাসন করতে হবে।

শেরপুর জেলাকে পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

মানুষ ও হাতির মৃত্যু রোধ নিশ্চিত করতে হবে।

বনে আগুন জ্বালিয়ে বনভূমি ধ্বংসকারী দের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অবৈধভাবে বালু, চিনামাটি উত্তোলন এবং গাছপালা নিধন করা বন্ধ করতে হবে।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন সংহতি প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির, হাফিজুল করিম, মোঃ সুমন আহমেদ, সালাউদ্দিন নেট ভাসানীর স্বপন সাহা, ডাক্তার আমিনুল প্রমুখ।

;

বাগেরহাটে বজ্রপাতে ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রপাতে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। নিহতরা হলেন- মিলন (৩৫) এবং মোস্তফা (৪৫)। নিহতদের বাড়ি মোরলগঞ্জ উপজেলায়।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বান্ধাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণখোলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রিয় গোপাল রায়।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএসএম কামরুজ্জামান জানান, বান্দাঘাট এলাকায় কার্গো থেকে বালু উঠাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। বৃষ্টি শুরু হলে তারা পাশের একটি টিনের চালার নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় পর পর দুটি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মিলন এবং মোস্তফা মারা যান।

আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

;