হাজির না হয়ে দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন এনামুল বাছির
পুলিশের (বরখাস্ত) ডিআইজি মিজানুর রহমানের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে তলব করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ আসেননি (বরখাস্ত) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির । তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুদকের কাছে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন বলে জানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সোমবার (১ জুলাই) এনামুল বাছিরের দুদকে হাজির না হবার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন দুদক পরিচালক ফানাফিল্যা।
ফানাফিল্যা বলেন, তিনি ( এনামুল বাছির) কমিশনকে জানিয়েছেন আজ আসতে পারছেন না। তিনি চিঠির সঙ্গে মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠিয়েছে। আমরা কমিশন থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।
জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। এর আগে সকালে বরখাস্ত পুলিশ ডিআইজি মিজানুর রহমান হাজির হওয়ার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে দুদকে আসেননি মিজান। পরে যেকোন দিন দুদকের ডাকে হাজির হবেন বলে কমিশনকে জানিয়েছেন ডিআইজি মিজান। এরপর দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরও এক সপ্তাহ সময় চেয়ে দুদকের কাছে আবেদন জানান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঘুষ কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক।
জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের অভিযোগের তদন্ত করছিলেন দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির। সে সময় এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনে। এ প্রেক্ষিতে দুদক অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা, সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে অভিযোগটি অনুসন্ধান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এদিকে, ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদেরর তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।