বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের বিশ্বের ১৮টি দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনায় সরকার অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্য রাশিয়া, কম্বোডিয়া, সিসেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।
দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুন:প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী শিক্ষা ও কাজের (RPL Recognition of Prior Learning) স্বীকৃতি এবং তার সনদ প্রদান করা হচ্ছে ফলে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই লক্ষ্য এক লাখ ড্রাইভার তৈরির জন্য সরকার "দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান" শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা সফলভাবে চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তীতে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিদেশে প্রেরিত কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।ক
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ ও বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।
একই সাথে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী (আইএমটি) তে ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব দক্ষ জনবলের দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে।