মেয়রের নির্দেশ মানছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি দামে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি দামে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছর রমজান এলেই গরুর মাংসসহ অন্যান্য মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেন সিটি করপোরেশনের মেয়ররা। তবে, সেই নির্ধারিত দাম কমই মানেন ব্যবসায়ীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

রমজান শুরু হওয়ার আগে ৬ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে গত বছরের চেয়ে ৭৫ টাকা বাড়িয়ে দেশি গরুর মাংসের কেজি ৫২৫ টাকা করে দিয়েছেন। আর আমদানি করা ভারতীয় গরুর মাংস ৫০০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা ও ভেড়ার মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে, খেয়াল খুশি মতো দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ বাজারে নেই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য তালিকা।

ক্রেতাদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, সিটি করপোরেশনের সঠিক তদারকির অভাবে মানুষকে জিম্মি করে বাড়তি দাম নিচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তাদের যুক্তি, বাড়তি দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাই মাংসের দামও বেশি।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মো. পারভেজ বাড়তি দাম প্রসঙ্গে বলেন, আমরা দেখেছি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে কোনো তালিকা আসেনি। তালিকা এলে তখন দেখবো।

তার দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ৫৫০ টাকা। বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ‍শুধু আমরা যারা দোকানে বসি, তাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু যারা রাস্তায় ভাগা দিয়ে মাংস বিক্রি করেন, তাদের কিছু বলতে পারে না। সেসব জায়গায় ৬০০ টাকার কমে কোনো মাংসই নাই।

পাশেই খাসির মাংস বিক্রি করছেন ওয়াজির আলম। তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই সিটি করপোরেশনের বেধে দেওয়া দামে বিক্রি করছি। তবে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে চালান থাকে না।

রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচাবাজারে ৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে। সেখান থেকে মাংস কেনার পর ইয়াসির আরাফাত জানান, এখানে কোনো দোকানেই ৬০০ টাকার নিচে মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। নেই সিটি করপোরেশনের মূল্য তালিকাও।

তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের দাম নির্ধারণ আসলে ‘আই ওয়াশ’। রাজধানীর কোনো বাজারেই ৫৫০ টাকার নিচে গরুর মাংস পাবেন না। এটা দেখবে কে?
 

Beef
বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন এক বিক্রেতা/ছবি: শাহজাহান মোল্লা

 

রাজধানীর মধ্য বাড্ডাতেও ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই না মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, মিরপুর-১ কাঁচাবাজারসহ অধিকাংশ বাজারেই নেই সিটি করপোরেশনের মূল্য তালিকা।

মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে বাজার করেন তৌফিকুল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বাজারে রোজা শুরুর আগেই ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। আজও একই দাম। সিটি করপোরেশনের কোনো মূল্য তালিকা তো চোখে পড়েনি।

মাংস ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নয়। তাই যে যার খুশি মতো মাংস বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সিটি করপোরেশন দাম বেধে দিলে কী হবে? আমাদের নিজেদের বসার কথা ছিল, সেই সুযোগটুকু পাইনি। কাজেই, কে কীভাবে বিক্রি করছে আমরা বলতে পারব না। আমাদের বসার ঠিকানা ছিল গাবতলীতে। সেখানে ইজারাদাররা আমাদের ঢুকতে না দেওয়ায় মাংসের দাম নিয়ে কিছু করার নেই।

এ বছর রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫২৫ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা ও ভেড়ার মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

গত রোজায় দেশি গরুর মাংসের কেজি ছিল ৪৫০ টাকা, বিদেশি গরুর কেজি ছিল ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ছিল ৪২০ টাকা, খাসির মাংস ছিল ৭২০ টাকা, ভেড়ার মাংস ছিল ৬৫০ টাকা।

প্রতি বছর রোজা আসার আগেই গরুর মাংস চড়া দামে বিক্রি হয়। পরে সেই দামের হার ধরে মেয়র দাম নির্ধারণ করে থাকেন। কাজেই দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা কয়েক মাস আগে থেকেই কৌশল চালতে শুরু করেন।

   

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ভাইকে হত্যা করেন মনির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে হাবিবুর রহমান রুবেল (৩১) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচাতো ভাই মনির হোসেন (২৫) বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় নিহত রুবেল নানাভাবে মনিরকে হয়রানি করতেন। এমন কি নিজে কাজ না করে মনিরের আয় করা টাকা জোর করে নিয়ে নিতেন। টাকা না পেলে মনিরের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করতেন। ফলে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, গত ২ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে তোষকে পেচানো অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার লাশটি তার স্বামী হাবিবুর রহমান রুবেলের বলে শনাক্ত করেন। রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত রুবেলের মা মিনু বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, মামলার তদন্তে নেমে খিলগাঁও এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে পুলিশকে জানায়, রুবেল তার আপন চাচাতো ভাই। গত ১ মে রাত ১১টার দিকে রুবেল তার চুল কাটার দোকান মনির হেয়ার স্টাইল সেলুনে আসে। চুল কাটার সময় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে কমিশনার গলি এলাকার একটি দোকান থেকে তোষক এনে মৃতদেহটি পেচিয়ে তার সেলুনে থাকা বস্তায় ভরে পাশের গলিতে ফেলে দেয়।

চাচাতো ভাইকে হত্যার বিষয়ে মনির জানায়, জমিজমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ ছিল। রুবেল কাজ করত না। বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত। টাকা না পেলে ঝগড়া বিবাদে জড়াত। কিছুদিন আগেও টাকা না দেওয়ায় ১৫ দিন সেলুন বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ১২ হাজার টাকা দিলে সেলুন খুলতে দেয়। সব কিছু মিলিয়ে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে রুবেলকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল।

;

গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারা’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষিখাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

শনিবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষিখাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে সেনাবাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসাথে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ওআইসি’র ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পাওয়ায় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. হাছান মাহমুদ অভিনন্দন জানান এবং গাম্বিয়া ওআইসি’র সভাপতি থাকাকালীন সংস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

;

বৃষ্টি আর গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি ঝড়লেও তারপর থেকে আবার বাড়ছে গরম। এমন অবস্থায় সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

সংস্থাটি জানায়, আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।

এই অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

 

;

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেক তার সেই আগের সৌন্দর্য রূপে নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

জেলেদের উদ্দেশ্যে করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল এগুলো ব্যবহার করবেন না। জাটকাসহ ছোট মাছ ধরবেন না। আপনারা নিজ সন্তানকে যেমন পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলেন তেমনি মাছকেও বড় হতে দিতে হবে। শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয় একজন নাগরিক হিসেবেও কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের লেকের মাছ আপনারাই ধরবেন। অন্য এলাকা থেকে কেউ এসে এই মাছ ধরবে না। সুতরাং এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাঙামাটির বর্তমান ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারটি সংস্কার করে আধুনিক ও উন্নত মানের ফিস ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আপনারা যাতে বংশ পরম্পরায় কাপ্তাই লেকের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় তিনি কাপ্তাই লেকে পোনা অবমুক্ত করেন এবং জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

;