খুলনায় উপজেলা নির্বাচন: প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই খুলনার ৯টি উপজেলায় শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া। তবে শীত-কুয়াশা কাটিয়ে খুলনায় শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলা নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অপরদিকে বিরোধী শিবির বিএনপি নির্বাচনী মাঠেই নেই। এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলেই ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিভাগ ভিত্তিক ৫ ধাপে এবারের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা- দিঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২য় ধাপে একই সাথে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা, কুমারখালী, মিরপুর, খোকসা ও দৌলতপুর। ঝিনাইদহ জেলার সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু ও কালীগঞ্জ। যশোর জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর। মেহেরপুর জেলার সদর, মুজিবনগর ও গাংনীসহ মোট ১২৫টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতীকে হবে উপজেলা নির্বাচন। যে কারণে উপজেলা নির্বাচনের ভোট নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ক্ষমতাসীন দলে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় নব-নির্বাচিত এমপিদের কাছাকাছি ভিড়তে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতরা চাচ্ছেন উপজেলায় প্রার্থী হতে। মনোনয়নের দৌড়ে থাকা নেতারা এরই মধ্যে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে সবার কাছে দোয়া চাইছেন। পুরানো প্রার্থীদের সঙ্গে এবার চারদিকে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৪-৬ জন করে সম্ভাব্য প্রার্থী সরব রয়েছেন।

অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে।। প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হলেও বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এজন্য বিএনপির কোন প্রার্থী মাঠে নেই।

এছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবার ঘোষণা দিলেও খুলনার উপজেলার নির্বাচনী মাঠে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। সদ্য শেষ হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনেও খুলনার ৩টি আসনে দলটির প্রার্থী থাকলেও প্রচার প্রচারণা ও ভোটযুদ্ধে মাঠে দেখা যায়নি তাদের।

খুলনার ৯টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ তিন পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করছেন।

এরমধ্যে রূপসা উপজেলায় আ’লীগের ১০জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিৎ অধিকারী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, বেলফুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ অলিউর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আলী আকবার, মালিক সরোয়ার উদ্দিন, নৈহাটি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মিনা, প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সরদার আবুল কাসেম ডাবলু ও সরদার ফেরদৌস আহমেদ।

দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির ডা. সৈয়দ আবুল কাশেমের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি জেলা জাতীয় যুব সংহতির জেলা সভাপতি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এভাবে অন্যান্য উপজেলায়ও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বটিয়াঘাটায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান, এড. নিতাই চন্দ্র রায়, নব কুমার চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন মণ্ডল, মোশারেফ হোসেন মুসা, শেখ হাদিউজ্জামান, মানস পাল, প্রফুল্ল কুমার রায় ও শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী সমিরণ গোলদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. ইকরাম শেখ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইনের নাম শোনা যাচ্ছে।

দাকোপে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও প্রার্থী হতে পারেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এড এম এম রুহুল আমিন।

কয়রায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. তমিজ উদ্দিন, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মো. মহসিন রেজা, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নাম শোনা যাচ্ছে।

ডুমুরিয়ায় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সারোয়ার, কাজী আলমগীর, সুরঞ্জন বৈদ্য, হুমায়ুন কবির বুলু, মোস্তফা কামাল খোকন, সেলিম আক্তার স্বপন, ও শাহনেওয়াজ জোয়ার্দ্দার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা দৌলতের নাম শোনা যাচ্ছে।

পাইকগাছায় বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এড. বাবর আলী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এড. প্রশান্ত মণ্ডল ও গুলজার রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।

ফুলতলায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আকরাম হোসেনসহ একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই সব সময় এলাকায় যাতায়াত করেন, সাধারণ ভোটারদের খোঁজ খবর নেন। আবার অনেকের নামই শোনেনি এমন প্রার্থীও আছে। এছাড়াও কয়েকজন প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও ৫বছরে তাদের একবার এলাকায় দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীরা অংশ নেবে বলে আশা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, খুলনা জেলায় ১৮লাখ ৯৮৯জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৯লাখ ২হাজার ৯৫০জন ও নারী রয়েছেন ৮লাখ ৯৮হাজার ৩৯জন। ভোট কেন্দ্র ৭৮৬টি ও কক্ষ (বুথ) ৩হাজার ৮৫৭টি।

   

ঈদের দিনেও গ্রামে ফিরছেন অনেকে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাবতলী থেকে: আপনজনের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে। গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকালে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা এলাকার লোকজনের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

পাবনাগামী বাংলা এক্সপ্রেস এর এসি সার্ভিস সকাল সাড়ে ৯ টায় পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একই সময়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাইবান্ধাগামী একটি কোচ ঢাকা ছেড়ে যায়। আরও কয়েকটি রুটের গাড়িতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।


শামলী এন আর পরিবহনের সামনে বিভিন্ন রুটের ৪টি বাস যাত্রী তুলছিলেন। তবে এদিন গাড়িগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সময় ঘোষণা করা হচ্ছে না। যাত্রী হলেই ছেড়ে দেবে খানিকটা লোকাল বাসের মতো করে শর্ত দিচ্ছে।

আব্দুলাহ আল মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আফতাবনগর একটি মসজিদে নামাজ পড়ান, সে কারণে ঈদের নামাজ শেষ করে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছেন।

পাবনাগামী সুজন রায় বলেন, ঈদের আগে জ্যাম থাকে, আর আজকে কোনো জ্যাম নেই। ঈদের আগে যারা বাড়ি গেছেন লম্বা সময় লেগেছে। আর আজকে অল্প সময়ে বাড়ি পৌঁছতে পারবো। তাই ঈদের দিনে বাড়ি যাচ্ছি।

ঈদের জামাতের পর সকাল সাড়ে ৮টায় অনেক বাসের কাউন্টার খোলা হয়েছে। এলেই গাড়ির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এসি গাড়ির সংখ্যা কম, দুপুরের পর এসি গাড়ি বাড়বে বলে জানা গেছে।

;

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে সমাজে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

নামাজ আদায়ের পর ঈদ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, আত্নত্যাগের মাধ্যমে ভেদাভেদহীন সমাজ গড়ার যে শিক্ষা ঈদ আমাদের দেয় তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ কোরবানির আত্মত্যাগের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণির কষ্ট উপলব্ধির যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সে শিক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লড়তে হবে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সবার জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সবার উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সবার উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সবার প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।

;

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে বৈরিতা বহুদিনের। রাজনীতির মাঠে যতই ‘প্রতিপক্ষ’ হোক বিপদের মুহূর্তে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে যান সেটিরই নজির দেখা গেল ঈদুল আজহার নামাজে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (১৭ জুন) সকাল আটটার দিকে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রামের ঈদের প্রধান জামাত শেষে মোনাজাতের আগে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সবাই। তখন সবার সঙ্গে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও। তার ডান পাশে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ ও বাম পাশে ছিলেন জাতীয় পার্টির আরেক নেতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। মাহমুদুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বসা থেকে ওঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আ জ ম নাছির আচমকা নিচে পড়ে যান। এ সময় তাকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী, সোলায়মান আলম শেঠসহ অন্যান্যরা।

পরে সবাই আ জ ম নাছিরকে চেয়ারে বসান। এরপর অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে মোনাজাত শেষে আন্দরকিল্লার বাসায় ফেরেন।

আ জ ম নাছিরের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, ‘নামাজ শেষে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকায় পায়ে রক্ত চলাচল কিছুটা কমে গিয়েছিল, এ কারণে ওঠে দাঁড়াতেই পা ঝিম ঝিম করায় তিনি পড়ে যান। এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। বাসায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কাজ সারছেন।’

নামাজের আগে আ জ ম নাছিরকে সুস্থ দেখা গেছে। এ সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি বিএনপি নেতা ও আরেক সাবেক সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছিল। নাছির উদ্দীন সুস্থ থাকার খবরে তাদের সেই উৎকণ্ঠা দূর হলো।

;

ঈদের নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে রাজধানীসহ সারাদেশে পশু কোরবানি শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ শেষে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে পশু কোরবানি। বরাবরের মতই পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলির সড়কে, গ্যারেজে ও ফাঁকা জায়গায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বনশ্রী, মালিবাগ, বাাংলামোটর, রামপুরা, মগবাজার, এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে গরু ও ছাগল কোরবানি করতে দেখা গেছে।

এদিকে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।

এ ছাড়া, কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার ঘোষণা দিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণ সিটির ঘোষণা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে কোরবানির বর্জ্য। এছাড়া কোরবানি বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য বিশেষ পলিথিন দেওয়া হয়েছে বাসা বাড়িতে।

;