রবার্ট মুগাবে: স্বাধীনতার নায়ক, হতাশার শাসক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে, ছবি: সংগৃহীত

রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সত্তরের দশকে জিম্বাবুয়ে তুমুল জনপ্রিয় এক নাম রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে। ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা রোডেশিয়া অঞ্চলের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭৫-১৯৭৯ সালের দীর্ঘ চার বছরের এই যুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।

তৎকালীন সময়ে স্বাধীনতার নায়ক হিসেবে খ্যাতির পাশাপাশি জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসীন হন মুগাবে। জনপ্রিয়তার মুকুট মাথায় পরে ১৯৮০ সালের নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতায় বসেন তিনি।

এরপর ৩৭ বছর দেশ শাসন করেন। তবে যে জনপ্রিয়তা নিয়ে মুগাবে ক্ষমতায় বসেন তার ছিটেফোঁটাও ধরে রাখতে পারেননি। ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদের এই নেতা শুরুর দিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি ও জাতিগত পুনর্মিলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার শাসনামলে কৃষ্ণাঙ্গদের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আর শুরুর এই সময়টাই ছিল তার শাসনের সোনালি সময়।

রবার্ট মুগাবে: স্বাধীনতার নায়ক, হতাশার শাসক

এরপর শুরু হয় দমন নিপীড়ন। শাসনামলে জিম্বাবুয়ের রাজনীতিতে ভিন্ন মতবাদের প্রবর্তন করেন। দেশের অর্থনীতিকে অনেকটাই ধ্বংস করে দেয় তার সরকার।

আর কিছু দিনের মধ্যেই স্বাধীনতার এক নায়ক দেশের মানুষের কাছে বনে যান স্বৈরশাসক। ম্লান হতে থাকে মুগাবের স্বাধীনতার বীরত্ব।

শাসক হিসেবে মুগাবের আগ্রাসন শুরু হয় ১৯৮২ সালে। জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান পিপলস ইউনিয়নের নেতা তৎকালীন জিম্বাবুয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জশুয়া এনকোমোকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে মুগাবে সরকার। এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন দেশের সাধারণ মানুষ। এরপর তার নির্দেশে দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়। দেশটির শ্বেতাঙ্গদের কঠোর হাতে দমন করে তার সরকার।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্টে পদে আসীন হয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর দেশ শাসন করেন। দীর্ঘ ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ে শাসন করা রবার্ট মুগাবে সামরিক তোপের মুখে ২০১৭ সালের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।

রবার্ট মুগাবে: স্বাধীনতার নায়ক, হতাশার শাসক

সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় মুগাবের বয়স ছিল ৮৯। সে বছরের নির্বাচনে আগে তিনি বলেন, ‘৮৯ বছর অনেক বেশি কিছু না’। এরপর ২০১৭ সালে ক্ষমতা ছাড়ার কিছুদিন আগে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ঈশ্বরই আমাকে এখান থেকে সরাতে পারে’।

ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ছয় মাস যাবত সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

১৯২৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা দক্ষিণ রোডেশিয়ার উত্তর-পশ্চিমে হারারের জিম্বা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

অনেক উত্থান পতনের এই দীর্ঘ জীবনে এখনো কারও কাছে নায়ক অথবা কারও কাছে স্বৈরশাসক তিনি। তবে স্বাধীনতার বীরত্ব এবং দীর্ঘ সময় দেশ শাসনের জন্য জিম্বাবুয়ের ইতিহাস হয়ে থাকবেন রবার্ট মুগাবে।

আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে মারা গেছেন

   

রাফাহ ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশর সীমান্তবর্তী গাজার  দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় স্থল অভিযান চালানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলি অভিযান সত্ত্বেও রাফাহ ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনআরডব্লিউএ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে- ইসরায়েল রাফায় অভিযান চালালেও সেখান থেকে সরে যাবে না ইউএনআরডব্লিউএ। 

সংস্থাটি জানায়, রাফায় অভিযান চালানো হলে তা বেসামরিক লোকদের জন্য দুর্ভোগ ডেকে আনবে। এতে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে।

সংস্থাটি আরও জানায়, যতদিন সম্ভব, ইউএনআরডব্লিউএ রাফায় নিজের উপস্থিতি বজায় রাখবে। ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

;

পশ্চিমাদের হুমকির পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিল রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী সামরিক সমর্থনের হুমকির কয়েক দিন পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বলছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করতে এ মহড়া দেওয়া হবে।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমা এবং ন্যাটো-সদস্য দেশগুলির উস্কানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ার কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক মহড়া ও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা কিছু কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির পরে প্রস্তুতি বাড়াতে ... যুদ্ধের কাজগুলি পূরণ করার উদ্দেশ্যে অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি এবং স্থাপনার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ সামরিক জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র গঠন এবং নৌ বাহিনী মহড়ায় অংশ নেবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে বলেন, কিয়েভ ব্যাকআপের অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। একদিন পরে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা উভয় বিবৃতির নিন্দা করেছেন এবং সতর্ক করে মস্কো এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে। মস্কো দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছে যে সামরিক জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধে তাদের সৈন্য পাঠালে ন্যাটোর সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান বাহিনী প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলি এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলেওরাশিয়ার পারমাণবিক ভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি। দেশ দুটির কাছে বিশ্বের ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি রয়েছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পর চীনের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

;

রাফাহ ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের, হামলা হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের শহরটির একটি অংশ খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফের এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা বেসামরিক মানুষদের নিকটস্থ সুনির্দিষ্ট ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যেতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। 

তবে পূর্বেঘোষিত ‘ব্যাপক পরিসরের স্থল অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে মানুষজনকে রাফাহর একাংশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে কি না, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চরম শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা উপত্যকার রাফায় লাখ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, রাফায় হামাসের অসংখ্য যোদ্ধা রয়েছে। তাদের নির্মূল করতে শহরটিতে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিশরের কায়রোয় শান্তি আলোচনা চলছে। এর মধ্য রাফাহ খালি করার নির্দেশনায় চলমান শান্তি আলোচনা এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।

;

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সোমবার (৬ মে) গোলান মালভূমির একটি ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ‘বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট’ হামলা চালিয়েছে তারা।

সোমবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, লেবাননের সরকারি মিডিয়া জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলে সোমবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় তিন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি, তাদের নিক্ষিপ্ত রকেটগুলো হিজবুল্লাহর একটি ‘সামরিক কম্পাউন্ডে’ আঘাত হেনেছে।

এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের নাফাহ ঘাঁটিতে গোলান বিভাগের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি লেবাননের বেকা অঞ্চলকে লক্ষ্য করে শত্রুর হামলার জবাব।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে স্বাধীনতাকামী হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ’র মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামাস-মিত্র হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের ভূখ-ের গভীরে হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে,‘শত্রুর (ইসরায়েলি) যুদ্ধবিমানগুলো আজ মধ্যরাতের দিকে সিফ্রির একটি কারখানায় হামলা চালালে তিন বেসামরিক লোক আহত ও ভবনটি ধ্বংস হয়।

;