আবরার হত্যায় ইফতির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইফতি মোশাররফ সকাল বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক। এই হত্যা মামলায় ইফতি ৫ নম্বর আসামি। রিমান্ডের প্রথম দিনেই ইফতি আবরার হত্যার কথা স্বীকার করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ইফতি বলেন, আমি অপরাধবোধে ভুগছি, আর নিতে পারছিনা।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ ও ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা গ্রেফতার 

আবরার হত্যা: ১০ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

অমিত সাহা আটকে আবরারের বাবার স্বস্তি

   

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদের আদালত রায়ের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।

আসামিদের মধ্যে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমন কারাগারে আটক আছেন।

ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।

মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

 

;

খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ২১ জুলাই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত মামলা দুটির অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে এই তারিখ ধার্য করেন।

ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

;

আইসসহ গ্রেফতার সংগীতশিল্পী রেবেল কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটি টাকার মাদক ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) গ্রেফতার সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেলের দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম দুইদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সাব্বির আহম্মেদ মিঠুন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এনামুল কবির রেবেল ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের একজন সংগীতশিল্পী। ২৬ এপ্রিল রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর ২৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, রেবেল সঙ্গীতের আড়ালে মাদকের কারবার করতেন।

তিনি বলেন, রেবেল মাদক ব্যবসায়ী মো. রিপন ওরফে লিটু ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতো। তার (রেবেল) দেওয়া তথ্যে বাড্ডা এলাকায় মো. লিটুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লিটুকে না পাওয়া গেলেও তার বাসা থেকে মাদক আইসসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লিটুর মাদক ব্যবসায় রেবেল ও তার গাড়িচালক অমি সহযোগিতা করতো। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিটুর মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল।

;

২ মে পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। দীর্ঘ এক মাস বন্ধের পর রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর হাইকোর্ট এ নির্দেশ দিল।

এদিকে, রমজান, ঈদ ও গরমের কারণে টানা ৩২ দিনের ছুটি শেষে রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিল।

তীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। স্ট্রোকজনিত কারণসহ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্যালাইন ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

;