শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা : পলাতক আসামির ফাঁসির আদেশ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামকে হত্যার দায়ে তার এক সময়ের কথিত বন্ধু পলাতক আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার রোববার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি মৃধাপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন আকন্দের ছেলে আমিনুল বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) সংগঠক এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। দণ্ডিত মোস্তাফিজুর রহমান মাগুরা জেলার কাদিরপাড়া (পূর্বপাড়া) এলাকার সমসের কারিগরের ছেলে। তিনি মামলার শুরু থেকেই পলাতক বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল সাভারের বাইপাইল থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা পুলিশ ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশ থেকে তার লাশ থেকে উদ্ধার করে। কিন্তু তখন পরিচয় না জানায় এবং ‘কোনো দাবিদার না থাকায়’ ঘাটাইল থানা পুলিশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসেবে লাশটি দাফন করে। পরে পত্রিকায় ছাপা হওয়া লাশের ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা আমিনুলকে শনাক্ত করেন। তখন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে লাশ তুলে গাজীপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় আমিনুলকে। এক সময় ডিইপিজেডের নতুন জোনের শাশা ডেনিম টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে কাজ করলেও ২০০৬ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি শ্রমিক সংগঠনের কাজে পুরো সময় দিতে শুরু করেন। দণ্ডিত আসামি মোস্তাফিজকে মানুষ তার বন্ধু হিসেবেই চিনত। ওই হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন মানবাধিকার ও শ্রমিক সংগঠন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। আমিনুলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ফাহিমাও সে সময় বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে আশুলিয়ার বিভিন্ন গার্মেন্ট কারখানার মালিকদের ‘শত্রু’ হয়েছিলেন তার স্বামী। এ কারণে মালিকরা ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে’ তাকে হত্যা করিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি সে সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোড়ন তোলে। ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, আমিনুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে বিদেশি ক্রেতারা ‘ভুল সঙ্কেত’ পাবে। আমিনুলের লাশ উদ্ধারের পর ঘাটাইল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আমিনুলের ভাই রফিকুল ইসলাম ঘাটাইল থানায় আরেকটি এজাহার দেন; সেখানে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা বোরকা পরা অজ্ঞাতনামা এক নারীকে আসামি করা হয়। ওই এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় আমিনুলের সংগঠনের কার্যালয়ে যান মোস্তাফিজুর। সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। তারা আমিনুলকে ডেকে নেওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এজাহারটি পুলিশের করা হত্যা মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। প্রথমে ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় যায়। ২০১২ সালের নভেম্বরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকার সিআইডি। এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবীর টাঙ্গাইল জেলা আদালতে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলার বিচার চলার মধ্যেই বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন (বিজিআইডাব্লিউএফ) ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডাব্লিউএস) নতুন করে তদন্ত করার দাবি জানায়। তাদের বক্তব্য ছিল, কেবল মোস্তাফিজকে আসামি করে এ হত্যার পেছনের ‘আসল ব্যক্তিদের’ আড়াল করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপের মধ্যে সরকার সে সময় আসামি মোস্তাফিজুর রহমানের সন্ধান চেয়ে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। কিন্তু তাকে আর পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন আইনজীবি মুলতান উদ্দিন আহমেদ। আর পলাতক মোস্তাফিজের পক্ষে মামলা লড়েন রাষ্ট্র-নিযুক্ত আইনজীবী গোলাম মোস্তফা। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুলতান উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।”
   

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;