ক্রিকেটে এবার আসছে মাইক্রো-চিপের স্মার্ট বল!



স্পোর্টস এডিটর,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তির স্ফুরণ ঘটছে। আলট্রা এজ, হক আই, হটস্পট, স্ট্যাম্পড মাইক্রোফোন, বল ট্র্যাকিংয়ের পর এবার আসছে স্মার্ট বল! অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোকাবুরা বাজারে আনছে নতুন প্রযুক্তির এই বল।

-কি আছে এই বলে?

বলের ভেতরের অংশে একটা মাইক্রো-চিপ থাকবে। কুঠুরিতে তার দিয়ে জড়ানো একটা গোল সকেটের সঙ্গে চিপের সংযোগ থাকবে। রাবার ও কর্ক দিয়ে মোড়ানো সেই সকেটের আকৃতি থাকবে ডিমের মতো। এমনভাবে সেই সকেট বসানো হবে যাতে বলের ওজন না বাড়ে। বলের সেলাই, আকৃতি সবকিছুই থাকবে আর দশটা স্বাভাবিক ক্রিকেট বলের মতোই। শুধু ভেতরে থাকা সেই মাইক্রো- চিপের সাহায্য জানা যাবে অনেক তথ্য।

-কি ফায়দা হবে এই বলে?

বলের ভেতরে থাকা মাইক্রো-চিপের তথ্যাদি স্মার্টফোন, ফোন অথবা ট্যাবলেট অ্যাপের সাহায্য পাওয়া যাবে। একজন বোলার তার প্রতিটি বল ডেলিভারি থেকে শুরু করে উইকেটকিপারের কাছে বল জমা হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যাদি জানতে পারবে। শুধু বলের গতি নয়, বলের সুইং, বাঁক, স্পিনের ধরণ এমনসব তথ্যের ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও জানা যাবে। বলের পারফেক্ট রিলিজ টাইমের তথ্য মিলবে। কতটুকু বাউন্স হলো সেটা জানা যাবে। মাটিতে পিচ হওয়ার পর বলের গতি কেমন ছিলো তারও সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। পিচ হওয়ার পর কতখানি গতি নিয়ে উইকেটকিপারের কাছে গেলো সেই সম্পর্কেও ধারণা মিলবে। বর্তমানে স্পিডগানে শুধুমাত্র বলটা প্রথমবার ল্যান্ড করার পর যে গতি পায় সেটাই পাওয়া যায়। কিন্তু স্মার্ট বলের প্রযুক্তিতে বাউন্সের সঠিক ডিগ্রী, সুইং, বাঁক বা নিচু হওয়া সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত তথ্য দেবে।

এসব তথ্য নির্দিষ্ট বোলারের বোলিং সম্পর্কে ডাটা বিশ্লেষকদের কাজ অনেক সহজ করে দেবে। বোলারের ভুল কোথায় হচ্ছে বা কোন জায়গায় বাকিদের চেয়ে তার পার্থক্য-এমনসব বিষয় নিরূপণ করার কাজ স্মার্ট বল প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দেবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/14/1565755242266.jpg

-আম্পায়ারদের কাজে সহায়ক হবে কি?

হ্যাঁ হবে। এই বলের প্রস্তুতকারকরা জানাচ্ছেন-বলে ব্যাটের সামান্যতম খোঁচাও এই প্রযুক্তির সহায়তায় ধরা পড়বে। অনেক সময় স্নিকোমিটারেও ক্ষুদ্রতম খোঁচা ধরা পড়ে না। তবে স্মার্ট বলে সেই সুযোগ নেই। খোঁচা হলে ধরা পড়বেই। তাছাড়া লো ক্যাচ নিয়েও অনেক সময় দ্বিধায় পড়েন আম্পায়াররা। আলট্রা ম্যাগনিফাইং ক্যামেরা জুম করেও বোঝা যায় না ফিল্ডারের আঙ্গুল বলের নিচে ছিলো নাকি বল আগে মাটি ছুঁয়েছে? স্মার্ট বলে এই আউটপুট একেবারে নিখুঁত আসবে। ক্যাচটা ঠিক হয়েছে কিনা- তা একশভাগ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।

নতুন এই স্মার্ট বলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পরীক্ষণের সময় লাগবে প্রায় বছর খানেকের মতো। তারপর এই বল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ব্যবহার করা যাবে কিনা-তা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে সমস্যাও কিন্তু কম নয়। কোকাবুরা বলের স্থায়িত্ব খুব বেশি নয়। খেলার স্বাভাবিকত্ব এবং মান যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে এই বলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে গোলাপি বলের ব্যবহার বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলো। ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপি বলে সুইং নাকি অতিমাত্রায় হয়। তাছাড়া লাল বল ৮০ ওভারের মধ্যে দুই থেকে তিনবার বদল করতে হয়। টেস্ট ম্যাচে বোলাররা ডিউক বলই বেশি পছন্দ করেন। কোকাবুরার সাদা বলের আকৃতিও দ্রæত নষ্ট হয়ে যায়। টি-টুয়েন্টি ধাঁচের ক্রিকেটে বল একটু বেশি পিটুনি খায়! অতিরিক্ত সেই পিটুনির চোটে উন্নত প্রযুক্তির দামি মাইক্রো-চিপ যে
ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- সেই নিশ্চয়তা কোথায়?

বানিজ্যিক একটা ব্যাপারও আছে। মাইক্রো-চিপ সম্বলিত এই বলের দামও নিশ্চয়ই কম হবে না। নেট অনুশীলনের জন্য এমন বলের ব্যবহার বেশ ব্যয়বহুল হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় সামনের মৌসুমের বিগব্যাশ ক্রিকেটে এই স্মার্ট বল ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদি সেই পরীক্ষণ সফল হয় তবে টেস্ট ক্রিকেটেও এই স্মার্ট বল ব্যবহার করতে চায় কোকাবুরার প্রস্তুতকারক অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান।

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;